ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠানগুলো জবরদখলের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে বিশিষ্ট নাগরিকদের বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার

(৭ মাস আগে) ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রবিবার, ৯:০০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪১ অপরাহ্ন

mzamin

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো জবরদখলের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। 

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করার প্রচেষ্টা সংক্রান্ত বিভিন্ন সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম সহ এসব প্রতিষ্ঠান জবরদখল করার প্রচেষ্টা হিসেবে এতে অনধিকার ও জোরপূর্বক প্রবেশ এবং ভবনটির সামনে রাজনৈতিক সমাবেশ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব এ কে এম সাইফুল মজিদ একপর্যায়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন করা হয়েছে বলে দাবী করেন। এরমধ্যে ড. ইউনূসের পরিবর্তে তিনটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে জনাব সাইফুল মজিদের নিজের লেখা চিঠিতে তিনি নিজেই মনোনীত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত এসব অলাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সংশোধিত আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন অনুসারে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন আনার এখতিয়ার গ্রামীণ ব্যাংকের নেই বলে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এরপরেও এবিষয়ে কোনো আইনগত দাবী থাকলে তা আদালতের কাছে উপস্থাপন করার উদ্যোগ গ্রামীণ ব্যাংক গ্রহণ করতে পারতো। কিন্তু সেটি না করে যেসব প্রক্রিয়ায় ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো দখলের চেষ্টা বর্তমানে করা হচ্ছে তা বেআইনী, অনৈতিক ও অরুচিকর বলে আমরা মনে করি। সাংবাদিক সম্মেলনে ড. ইউনূস সম্পর্কে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব মজিদ যেসব একতরফা, বেপরোয়া ও মানহানিকর অভিযোগ করেছেন আমরা তার নিন্দা করছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,  ইতোপূর্বে হিসাব তলব, তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের নামে ড. ইউনূসকে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়রানি করেছে। শ্রম আইন সংক্রান্ত দেওয়ানী চরিত্রের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করে তা অস্বাভাবিক দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে তার বিরুদ্ধে নানাধরনের প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনাবলী থেকে ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠানগুলো দখলের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলোকে পৃথকভাবে দেখার সুযোগ নেই বলে আমরা মনে করি।

ড. ইউনূস অতিদরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে বিশ্বে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন। আইনগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপের মোড়কে তার এবং তার গড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবস্থা গ্রহণ তার কর্মযজ্ঞকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং বিশ্বের কাছে নেতিবাচক বার্তা প্রদান করছে।

ড. ইউনূসের গড়া প্রতিষ্ঠানগুলো জবরদখলের প্রচেষ্টাসহ তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক সকল পদক্ষেপ বন্ধের জন্য আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

 

বিবৃতিদাতাগণঃ

মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুজনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহ্দীন মালিক, সারা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক আলী রীয়াজ, অধ্যাপক স্বপন আদনান, অধ্যাপিকা ফিরদৌস আজিম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার, অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও অধ্যাপিকা শাহনাজ হুদা, মানবাধিকার কর্মী শারমীন মুরশিদ, শিরিন প হক, সঞ্জীব দ্রং, জাকির হোসেন, নূর খান লিটন, রেহনুমা আহমেদ, ফরিদা আখতার, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নায়লা জেড খান, নৃবিজ্ঞানী সায়েমা খাতুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ড. নাসরিন খন্দকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম ও আর রাজী, গবেষক রোজিনা বেগম, সাংবাদিক সায়দিয়া গুলরুখ, আইনজীবী এডভোকেট সালমা আলী, তবারক হোসেইন, সুব্রত চৌধুরী, অরূপ রাহী, রেজাউর রহমান লেনিন, ব্যাংকার সৈয়দ নাসের বখতিয়ার আহমেদ।

 

 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status