দেশ বিদেশ
রওশনপন্থিদের তৎপরতায় চাপে কাদের
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রবিবারদল গোছানোর কাজ করছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ। ৯ই মার্চ ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় কাউন্সিলের। বাস্তবায়নে নিয়মিত কছেন সভা। তার দলে ভিড়তে শুরু করেছে জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা। অপরদিকে দিনকে দিন কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। দলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাকে করেছেন বহিষ্কার। রওশন এরশাদের কর্মতৎপরতা নিয়ে মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে কথা না বললেও জিএম কাদের বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি এই দল ভাঙার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন।
গত শুক্রবার গুলশানের নিজ বাসায় জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। আবার গতকাল আইডিইবি মিলনায়তনে বর্ধিত সভার আয়োজন করেন। এ সময় তিনি বলেন, দলের অগণিত নেতাকর্মীর দাবির মুখে আমি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি। আজ আপনারা আমার দায়িত্ব গ্রহণকে অনুমোদন দিয়েছেন।
আপনারাই জাতীয় পার্টির সকল ক্ষমতার উৎস। আপনারা যেভাবে চাইবেন, পার্টি সেভাবেই পরিচালিত হবে। জাতীয় পার্টিতে পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক চর্চা হবে। আগামী দশম জাতীয় সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো বিভ্রান্তিতে আপনারা কান দেবেন না।
রওশন এরশাদ বলেন, এবারের নির্বাচনী ইশতেহারের মলাট থেকে এরশাদের ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবার নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোস্টারে ছবি ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার নির্বাচনী পোস্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি রেখেছেন। অথচ জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যানের পোস্টারে এরশাদের ছবি জায়গা পায়নি। আপনাদের ভোটে জয়লাভের সম্ভাবনা ছিল এমন সব প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এসব জনপ্রিয় ও যোগ্য নেতা এবং অভিভাবকহীন অসংখ্য নেতাকর্মী ও প্রার্থীকে বিপদে রেখে আমি নির্বাচনে যেতে পারি না। আমার ছেলের আসন যদি কেড়ে নেয়া হয়, তাহলে আমি কী নির্বাচনে যেতে পারি?
উল্লেখ্য, এর আগে ২৮শে জানুয়ারি রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে নিজেকে জাপা’র চেয়ারম্যান ও কাজী মামুনুর রশীদকে মহাসচিব ঘোষণা করেন।
আবার গতকালই জাতীয় পার্টির বনানীস্থ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে জিএম কাদের বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় মানুষের কাছে এ দলের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। সরকারই ভাঙছে জাতীয় পার্টিকে। ’৯০ সালের পর থেকে ক্ষমতাসীনদের দাপটে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়েছে জাতীয় পার্টি। লোভ- লালসার খোলসে বন্দি হয়ে গেছে দল। এটিকে বড় দুর্বলতা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টি করেও অনেক নেতা ভেতর ভেতরে অন্য দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। যখনই সঠিক রাজনীতির পথে পরিচালিত হতে চায় জাতীয় পার্টি, তখনই দল ভাঙতে তৎপর হয় সরকার।