শরীর ও মন
লাবণ্যময় ত্বকের প্রয়োজনে
ডা. জেসমিন আক্তার লীনা
১ জুলাই ২০২২, শুক্রবারপ্রতিটি মানুষই চায় তার লাবণ্যময়, সুস্থ ও মসৃণ ত্বক। আর ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে হলে প্রয়োজন পড়ে পরিপূর্ণ ও সঠিক যত্নের। আসুন জেনে নেই ত্বক লাবণ্যময় ও সুস্থ রাখার কিছু পরামর্শ- সূর্যালোক থেকে আগত অতি বেগুনি রশ্মি ‘এ’ এবং ‘বি’ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। অতি বেগুনি রশ্মি ‘এ’ ত্বকে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি তৈরি করে এবং ‘বি’ ত্বক-ক্যান্সার সৃষ্টি করে। ‘এ’ ও ‘বি’ উভয় রশ্মিই ত্বকের মসৃণতা দানকারী ইলাস্টিক তন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে অল্প বয়সেই ত্বকে কুঁচকানো ভাব ও বলিরেখা তৈরি করে এবং মেছতা, তিল, কালো বা বাদামি ছোপ ছোপ দাগ ফেলে। সুতরাং সব বয়সের নারী-পুরুষকে নিম্নলিখিত পরামর্শগুলো মেনে চলা উচিত- সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সরাসরি সূর্যালোকের সংস্পর্শ পরিহার করে চলা। উল্লেখিত সময়ে ঘরের বাইরে বের হলে প্রত্যেকের উচিত এসপিএ-১৫-এর অধিক স্বীকৃত উন্নতমানের ‘এ’ ও ‘বি’ উভয় রশ্মিকে প্রতিরোধকারী সানস্ক্রিন ব্যবহার করে চলা। যে কোনো মানের সানস্ক্রিন সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা পর্যন্ত আপনার ত্বককে রক্ষা করতে পারবে। তাই দুই ঘণ্টা পর অধিক সময় রোদে থাকলে ফের সানস্ক্রিন শরীরে লাগাতে হবে।
প্রখর রোদে চলার সময় অবশ্যই ছাতা, মাথার বড় আকারের টুপি ব্যবহার করা উচিত। রোদে বের হলে ফুলহাতা মোটা সুতির জামা পরিধান করা।
ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে যা করবেন: গোসলের পর শরীরে সামান্য পানির স্তর থাকতে থাকতেই লোশন বা তেল জাতীয় ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করা। হাত, পা, বগল, কুচকি ব্যতীত শরীরের অন্যসব স্থানে প্রতিদিন সাবান ব্যবহার না করাই শ্রেয়। সপ্তাহে দুইদিন পুরো শরীরে সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। যাদের শরীরের ত্বক অতি শুষ্ক তাদের উচিত তেল বা গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার করা। ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা। যাদের কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করতে হয়, বার বার হাত ধুতে হয়, তাদের হাতের চামড়ার আর্দ্রতা রক্ষার্থে ভিনাইল, হাতমোজা বা গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক (চর্ম, যৌন ও এলার্জি রোগ বিভাগ), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকা। চেম্বার: আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল, মিরপুর রোড. ধানমণ্ডি ঢাকা। সেল (প্রয়োজনে) ০১৭২০১২১৯৮২