নাগরিক ঐক্যের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলা

রাজধানীর খামারবাড়ীতে নাগরিক ঐক্যের গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। এ সময় নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারকে ছাত্রলীগের কর্মীরা মারধরও করেন। এ সময় তারা টেবিল ও চেয়ার ভাঙচুর করে কর্মসূচির ব্যানার, স্বাক্ষরকৃত কাপড়, টেবিল, চেয়ার নিয়ে যায়। কর্মসূচির পাশেই পুলিশ অবস্থান করলেও তারা নীরব ছিলেন। হামলায় ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। তারা বলেছেন, সোমবার খামারবাড়ীতে নাগরিক ঐক্যের ‘গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’- কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের শতাধিক ক্যাডার হামলা চালায়। তারা টেবিল, চেয়ার ভাঙচুর করে কর্মসূচির ব্যানার, স্বাক্ষরকৃত কাপড়, টেবিল, চেয়ার নিয়ে যায় এবং নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগের ১৫ থেকে ২০ জন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারকে ঘিরে ধরে মারধর করে। 

এক পর্যায়ে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোকলেছুর রহমান সবুজ তাকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের ১৫ থেকে ২০ জন ক্যাডার মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আটকে বেধড়ক মারধর করে। পাশেই পুলিশ অবস্থান করলেও তারা এসময় নিরব থাকে।  তারা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। বিরোধী মতকে দমন করতে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের পাশাপাশি দলীয় ক্যাডার বাহিনীকে ব্যবহার করছে। অবৈধ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষরের মতো কর্মসূচিতেও হামলা করছে। কারণ তারা জনগণকে ভয় পায়। তারা জানে একদিন তাদের সব অপকর্মের হিসাব জনগণ নিবে। তাই নাগরিক ঐক্যের গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে সরকারের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। কারণ এই কর্মসূচিতে প্রতিদিন শত শত সাধারণ মানুষ যুক্ত হচ্ছেন, তাদের মতামত দিচ্ছেন এবং গণতন্ত্রের পক্ষে স্বাক্ষর করছেন। বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পণ্ড করা এবং সাকিব আনোয়ারের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার সমুচিত জবাব দেয়া হবে। প্রতিটি আঘাতের হিসাব নেয়া হবে। সময় আসছে। জনগণ স্বৈরাচার সরকার এবং সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ফুঁসে আছে। যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ হবে। সেদিন গর্তে লুকানোর সুযোগও পাবে না অবৈধ ক্ষমতাসীনরা।