অনলাইন
জাপানি তিন শিশুকে বাবা-মায়ের মধ্যে ভাগ করে দিলেন হাইকোর্ট
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ মাস আগে) ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:০৩ অপরাহ্ন
জাপানি শিশু জেসমিন মালিকা (বড়) ও তার ছোট বোন সোনিয়া তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ে বলা হয়েছে, প্রথম ও তৃতীয় মেয়েকে নিয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো বাংলাদেশে বা যেকোনো দেশে বসবাস করতে পারবেন। তবে বাবা সন্তানদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন। একইভাবে দ্বিতীয় মেয়ে লাইলা লিনা বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবেন। তবে জাপানি মা দ্বিতীয় মেয়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে আপিল আংশিক মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার লাভলী। নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
উল্লেখ্য, জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান। মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি নারী।
বাচ্চাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জাপানে যেতে দেওয়া উচিত।
বলা হয়েছে ইমরান শরীফ ছোটো মেয়েকেও দেখতে পারবেন কিন্তু ইমরান শরীফ যদি ছোটো মেয়েকে দেখতে জাপান চলে যান সেক্ষেত্রে সেই দেশের পুলিশ তাকে বাচ্চা শিশুদের অপহরণের দায়ে বন্দিও হতে পারেন কিন্তু আইন এক্ষেত্রে বিষদ ব্যাখ্যা দেয় নাই যদি সে সেই দেশে যায় তবে মায়ের ভূমিকা কি হবে ? তবে সেটাও পরিষ্কার করে বলা উচিত ছিল। দ্বিতীয়তঃ নিষ্পাপ বাচ্চা শিশুদের জীবন গঠনে বাবা মায়ের এ চুল ছেরাছেরির জন্য ওদের অন্তত ৩/৪ বছর জেলসহ জরিমানা করা উচিত ছিল।
সিদ্ধান্তটি ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক হওয়া উচিত ছিল। জাপানী ডাক্তার এরিকোর ইসলামিক ল’ অনুযায়ী লাইফ লিড করা অথবা প্রকৌশলী পিতা অন্তত মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটু ফ্লেক্সিবল হলে বা এপোলজির দৃষ্টিতে নিলে এমনটি হতো না। বিয়ের ক্ষেত্রে কুফু একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্ম। সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা/ধর্মের কমান্ডমেন্ট (আউট অ্যান্ড আউট) প্রত্যেক মুসলমান অনুসরণ করা উচিত বলে মনে করছি। সুখ-শান্তি একটি আপেক্ষিক বিষয়। এজন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করা উচিত। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা অসহায় ফ্যামিলিটির সঠিক বুঝ দান করুণ। আমীন।।
ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী হয়নি রায় টি। আশা করি ইমরান সাহেব উপযুক্ত বিচার পাবেন।
অন্তত বাঙ্গালীদের ইজ্জত রক্ষা হলো ৷ আমি ধরে নিয়েছিলাম জাপানের ঠেলায় প্রধানমন্ত্রীর গুতায় ইমরান শরীফকে সন্তানহারা করবে কিন্ত বিচক্ষণ বিচারক অন্তত ১/৩ সম্পত্তি যথাযথ অভিবাবককে ফেরত দিয়েছেন ৷ এখন ইমরান শরীফের উচিত কাজ হবে তাঁর মেয়েটাকে যথাযথ দ্বীনি শিক্ষা দিয়ে প্রাপ্ত বয়স হবার পর জাপানে প্রেরণ করা এবং বাকী সন্তানদের ইসলামের পথে ফিরিয়ে আনা , না হয় নাকানো চাচী ওদের জাহান্নামের পথে নিয়ে যাবে ৷ এখন আশা করি ইমরান শরীফ ২য় বিয়ে অন্তত দেখে শুনে বাঙ্গালী মেয়ে করবেন না হয় আবার সাদা চামড়ার বিদেশীনিদের খপ্পরে পড়ে সারা জীবন রাস্তায় রাস্তায় কাঁদবেন ৷
Children should be with mother.Mother is the by born guardian of the children.
বিস্তারিত ব্যাখ্যা না করেই বলা যায় "রায় ত্রুটিপূর্ণ"।
ভুল সিদান্ত, তিনটি শিশু তার পিতার কাছে নিরাপধ, জাপানি মা অহংকারি ও অর্থ লোভী।
৩ টা মেয়েকেই জাপানি মায়ের কাছে দিয়ে দেওয়া এবং কুলাঙ্গার পিতাকে ১০ বছরের শাস্তি দেওয়া উচিৎ ছিলো। একটা জাপানি নারীও যদি বিচ্ছেদের আবেদন করেন তাহলে বুঝেন তিনি স্বামী হিসেবে কতটা ব্যর্থ। এই কুলাঙ্গার পুরুষের কাছে পৃথিবীর কোনো নারীই নিরাপদ নয়, পৃথিবীর কোনো নারীই সুখী হবেনা। একবার ভেবে দেখেন জাপানি নারী যদি বিচ্ছেদের আবেদন করে তাহলে দেশের কোটি কোটি নারী কতটা অসহায়, কত নারী যে আড়ালে চোখের পানি ফেলে, কত নারী যে কষ্টে যন্ত্রণায় জীবন পার করে তার হিসাব নাই। তাই এই কুলাঙ্গার প্রকৌশলীর যদি যথার্থ শাস্তি দেওয়া যেতো তাহলে দেশের অন্য পুরুষরা সচেতন সতর্ক হতো
এ সিদ্ধান্ত তিন মেয়ে নিজেরাইতো নিয়েছে। অহেতুক হয়রানি টাকা পয়সা খরচ। মাঝখানে লাভ হলো দুই পক্ষের উকিল ব্যারিষ্টারদের।
পিতা সহ জাপানে গিয়ে সবাই একসাথে থাকতে পারতেন। বাংলাদেশে বড় হয়ে মানুষ কি হবে? আমি হলে সন্তানের ভবিশ্যতের কথা চিন্তা করে জাপান যেতে দিতাম।
বিচারক তো শরীয়া আইন সমন্ধে অজ্ঞ।
ভুল সিদ্ধান্ত । পিতার কাছেই বাকি দুইজন সন্তানকে ফেরত দেওয়া হোক ।
মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী সন্তানের একক কাস্টডিয়ান বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পিতার, প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়ে পিতা ইমরান শরিফের জিম্মায় দেওয়া উচিৎ ছিল, তৃতীয় মেয়ের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য, তবে মানবিক বিবেচনায় আরও কিছু দিন সে মায়ের কাছে থাকতে পারবে যদি মা নিজ হাতে তার পরিচর্যা করে, এক্ষেত্রে পিতাকে তার মেয়ের ভরনপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে, এর ব্যতিক্রম ঘটলে সব সন্তান পিতা জিম্মায় দিতে হবে,কোর্ট এর রায় ভবিষ্যতে বিতর্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
ভূল জাজমেন্ট কি করে মাননীয় বিজ্ঞ বিচারপতি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন?
যুগান্তকারি রায় হয়েছে।পিতার আর্তনাদ আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে।