ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

সেতু নির্মাণে গাফিলতি

ঘিওরে বর্ষায় স্কুলে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা ৬০০ শিক্ষার্থীর

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে
৩০ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার
mzamin

মাধ্যমিক ও প্রাইমারি স্কুলের ৬শ’ শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ৩ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা ছিল মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের কেল্লাই খালের ওপর জরাজীর্ণ একটি সেতু। সেতুটি ভেঙে নতুন সেতুর কাজও শুরু করেছিল প্রায় ৬ মাস আগে। কিন্তু কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টারপ্রাইজ নানা কারণ দেখিয়ে দফায় দফায় সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে। ফলে শিক্ষার্থীরা বর্ষা মৌসুমে তাদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জানা গেছে, কেল্লাই বাজার সংলগ্ন নেতুটি নির্মাণ শুরু হয়েছে প্রায় ৬ মাস আগে। ২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতু নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও এখনো কাজের ১০ ভাগ শুরু হয়নি। কেল্লাই মনসুর উদ্দিন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী খালেদ আল হাসান জানান, বর্ষা শুরু হলে খালে প্রচণ্ড স্রোত পড়বে। নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করা কঠিন হয়ে পড়বে। এমনকি স্কুলে আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা দ্রুত সেতুটি নির্মাণের দাবি করছি।

বিজ্ঞাপন
কেল্লাই মনসুর উদ্দিন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবির উদ্দিন বলেন, সেতুটি নির্মাণ কাজের কোনো গতি নেই। সামনে বন্যা কিংবা সামান্য বর্ষা হলে আমার স্কুলের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারবে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য আফসার মিয়া বলেন, পুরানো সেতুটি ভেঙে দেয়ার পর পাইলিং মিস্ত্রি আনা হলেও তারা প্রায় ২ মাস কাজ না করে বসে থাকার পর মালামাল গুটিয়ে চলে যায়। পাশাপাশি প্রতিদিন গড়ে ২ হাজারের বেশি মানুষ সেতু দিয়ে পারাপার হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মধু বলেন, সেতুটি নির্মাণ নিয়ে ঠিকাদার নানা ধরনে তালবানা করে যাচ্ছে। থেমে রয়েছে নির্মাণ কাজ। সামনে বর্ষা-বন্যা আসছে এতে আরও বেশি দুর্ভোগে পড়বে স্কুল শিক্ষার্থীসহ সেতু পারাপার হওয়া হাজারো মানুষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেতু নির্মাণ তদরারকির দায়িত্বে থাকার নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ার শাহিন শেখ বলেন, আরএল জনিত সমস্যার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম। পরবর্তীতে সেই আরএল এবং ড্রয়িংটা রিভাইজ হওয়ার কারণে সেতু নির্মাণ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। কে কে এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার কবির খান বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য সব ধরনের প্রস্ততি রয়েছে। কাজও চলছে কিন্তু পানির কারণে সমস্যা হচ্ছে। ঘিওর উপজেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাকুর রহমান বলেন, ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর মাঝে সেতুর ডিজাইনের একটু পরিবর্তন হয়েছে। যার কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়। ইতিমধ্যে পানি চলে আসার কারণে সমস্যা হচ্ছে। পানি চলে গেলে পুরোদমে কাজ শুরু করা হবে।  

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status