বাংলারজমিন
লক্ষ্মীপুরে স্কুল থেকে চুরি হওয়া শিশু ৪ দিন পর উদ্ধার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবারলক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান থেকে ৯ মাসের চুরি হওয়া শিশু মালিহা ইসলাম ওহিকে ৪ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাত দেড়টার দিকে কমলনগর থানার ৫০ গজ দূরে উপকূল সরকারি কলেজের সামনের রাস্তা থেকে শিশুকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটি সুস্থ রয়েছে। পরে উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তার মা মরিয়ম বেগমের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এর ৪ দিন আগে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায় এক নারী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত দেড়টায় লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের উপকূল সরকারি কলেজের সামনে রাস্তার পাশে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে শিশু মালিহা ইসলাম ওহিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। চুরি হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযানের একপর্যায়ে জড়িতরা শিশুটিকে রাস্তার ওপর ফেলে পালিয়ে যায় বলে জানান পুলিশ।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, চুরির ৪ দিন পর সুস্থ অবস্থায় রাস্তা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই নারীকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। তাকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার তোরাবগঞ্জের অগ্রণী স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান থেকে দুপুরে এক নারী শিশু ওহিকে চুরি করে নিয়ে যায়। ওইদিন সকালে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিহা ইসলাম মিহি ও ৯ মাসের শিশু মালিহা ইসলাম ওহিকে নিয়ে মা মরিয়ম বেগম বিদ্যালয়ে আসেন। মিহি যেমন খুশি তেমন সাজো ইভেন্টে অংশ নেয়। এতে ঘটনার সময় ওই শিশুকে তার মা পরিচিত এক ছাত্রীর কাছে রাখে। পরে অপরিচিত এক নারী ওই শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করে। একপর্যায়ে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রতিষ্ঠানের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। এতে দেখা যায় লাল স্কাপ ও কালো বোরকা পরিহিত এক নারী শিশু ওহিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। তবে তাকে কেউ চিনতে পারেনি। এ ঘটনায় রাতে কমলনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে শিশুটিকে উদ্ধারের দাবিতে তোরাবগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।