অনলাইন
বিয়ে-জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজনে অতিথি প্রতি অগ্রিম করের প্রস্তাব
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ মাস আগে) ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৩:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১৪ অপরাহ্ন
বিয়ে-জন্মদিনের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি অতিথি আপ্যায়নে হোটেল, রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দেয়া হলে অতিথি প্রতি ৫০ টাকা হারে অগ্রিম আয়করের প্রস্তাব দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে দেয়া বাজেট প্রস্তাবে তারা বলেছে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীতে ১০০ জনের বেশি অতিথি আপ্যায়নে হোটেল, রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দেয়ার পূর্বে অতিথি প্রতি ৫০ টাকা হারে অগ্রিম আয়কর আরোপের বিধান করা যেতে পারে। এতদিন এসব ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়করের কোনো বিধান ছিলো না বলেও উল্লেখ করেন তারা।
যুক্তি হিসেবে সংগঠনটি বলেছে, এই প্রক্রিয়ায় আয়কর নথি না থাকা করদাতাদের আয়করের আওতায় আনা সম্ভব হবে। ফলে কর আদায় বৃদ্ধি পাবে। যাদের আয়কর নথি আছে, তারা পরিশোধিত অগ্রিম আয়করের ক্রেডিট নিতে পারবেন বলে বাড়তি করের চাপ পড়বে না। করযোগ্য আয় না থাকলে বা কম থাকলে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত যোগ্য হবে।
নতুন সিস্টেমে সাধারন জনগণের পকেট থেকে কি ভাবে অর্থ আত্মসাৎ করা জায়,সে সিস্টেম অবলম্বন করতেছে, বেগম পাড়া করার মন মানসিকতা চেইঞ্জ করেন।
এই ভাবে রাজকোষ সমৃদ্ধ করা যাবে না । টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে । এই সব ফালতু প্রস্তাব ।আপনাদের অনেক বুদ্ধি । গ্যাসের দাম , তেলের দাম বাড়ান , এই জনগণের উপর যতই বোঝা বাড়ান তারা কিছুই বলবে না । বোঝা বইতে বইতে তারা এখন ভীষণ ক্লান্ত ।
জ্ঞানী ব্যক্তির মধ্যে যারা এই প্রস্তাব করল ছবি সহ তাদের পরিচয় জাতির সম্মুখে তোলে ধরলে গোটা জাতি উপকৃত হত।
আর কত তেলবাজি করবেন!!! দেশের জন্য ভাবার সময় হয়নি এখনও আপনাদের ?
আর কত তেলবাজি করবেন!!! দেশের জন্য ভাবার সময় হয়নি এখনও আপনাদের ?
জনগনের উপর আর কত? সাহস থাকলে লুটেরাদের বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাব দিন, ঋণ খেলাপীদের টাকা ফেরত আনার কোন কৌশল জানা থাকলে বলুন। সরকার এত ভ্যাট-টেক্স নিচ্ছে কিন্তু সরকারী প্রতিষ্ঠানে সাধারণ জনগন কি সেবা পাচ্ছে? আমার গ্রামের একজন কানের রোগীকে জেলা হাসপাতাল থেকে পিজি হাসপাতালে রেফার করেছিল, পিজিতে এসে দুই মাস চেষ্ঠা করেও ভর্তি করানো যায়নি, বলে, "সীট খালী নেই"। অবশেষে এক দালাল ডাক্টারের মাধ্যমে দশ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে ভর্তি করানো হয়।
এই প্রস্তাব সমর্থন করতে পারলাম না।দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য দায়ী ব্যাঙক লুটেরা গোষ্ঠী। সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারী দুর্বৃত্তরা। বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি ট্যাক্সের নামে লক্ষ টাকা লুপাটকারীরা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের কথা না বলে যারা জনগনের পকেট কাটার সুপারিশ করে , তারা আসলে ঐ সব লুপাটকারীদেরই অংশ।
ভালো প্রস্তাব, বাস্তবায়ন চাই।
ঐ বেটাগো আর কোন কাম কাইজ নাই। অলস মস্তিক হচ্ছে শয়তানের আড্ডাখানা।
কানাডার আমার কলিগ একাউন্টিং সুপারভাইজার বিয়েতে স্বামী-স্ত্রী মিলে ব্যয় করেছিল $10,000। এতে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া ও অন্তর্ভুক্ত। তবে তাদের নিয়ম হল অতিথি তার নিজের খাবার বিল পরিশোধ করেন। অন্য দিকে বাংলাদেশের লোক কানাডায় বিয়ের আয়োজন করেন বিরাট হল ভাড়া করে বর-কনে পক্ষ মিলে দুই তিন শ অতিথি থাকে । $50,000 - $60,000 খরচ করেন। যা আয় করতে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়। তবে দুর্নীতি করে যারা আয় করেন তাদের কষ্ট হয় না । অপব্যয়ে বাঙালীর জুরি নাই। অবশ্য এখানেও অতিথি এনভেলাপ এ $$$ দেন যার যত ইচ্ছা গিফট।