ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৯ জুন ২০২২, বুধবার

পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’- খুঁজে বের করতে সরকারকে কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন  হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ পাঁচ বছর আগে জারি করা রুলের শুনানির পর এই আদেশ দেন। আদালত আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই কমিশন গঠন করতে বলেছেন। আর কমিশন গঠনের দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।  আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এর আগে সোমবার হাইকোর্ট মন্তব্য করে বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা আমাদের অহঙ্কার। পদ্মা সেতু নিয়ে বিরোধিতাকারীদের খুঁজে বের করতে হবে। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা থাকেন, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু।

বিজ্ঞাপন
 ২০১৭ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান, বিচার দাবি’- শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ কয়েকটি দৈনিকের প্রতিবেদন নজরে এলে ২০১৭ সালের ২০শে ডিসেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। রুলে পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে দোষী ব্যক্তিদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগসচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ প্রেক্ষাপটে কমিশন গঠন ও কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে এর অগ্রগতিও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানাতে বলা হয়েছিল। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের জন্য চুক্তি করেও পরে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে প্রথমে তা স্থগিত এবং পরে বাতিল করে। এরপর নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল কানাডার আদালতে। দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য হন সেই সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। অভিযোগ ছিল সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও। সে সময় সেতু সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে দুর্নীতির মামলায় কারাগারেও যেতে হয়। তবে তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানায় দুদক। পরে ২০১৪ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে পদ্মা দুর্নীতি মামলার অবসান ঘটে। সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ সাত আসামির সবাইকে অব্যাহতি দেন আদালত।

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status