বিশ্বজমিন
বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশে ভারতের প্রভাবে পিছুটানের অভিযোগ অস্বীকার
যুক্তরাষ্ট্র আবারও বললো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, বুধবার, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৩৪ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশে ভারতের প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটেছে- এমন অভিযোগ মানতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়- সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক রিপোর্ট অনুসারে, কানাডার একটি তদন্তে জানা গেছে, রাশিয়া এবং চীনের পাশাপাশি দেশটির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে ভারত। এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি। এর জবাব দেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, আপনি কানাডার তদন্তের বিষয়ে যে রেফারেন্স তুলেছেন, আমার কাছে এ বিষয়ে উত্তর নেই। এর উত্তর কানাডাই দিতে পারবে। বাংলাদেশে নির্বাচনের পর তৃতীয়বারের মতো ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। একই সঙ্গে বিরোধী দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করায় উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বনের আহ্বান জানান ম্যাথিউ মিলার। তার কাছে সাংবাদিক মুশফিকের প্রশ্ন ছিল- ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক রিপোর্ট অনুসারে, কানাডার একটি তদন্তে জানা গেছে, রাশিয়া এবং চীনের পাশাপাশি দেশটির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে নির্বাচনে ভারতের যুক্ত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একপক্ষীয় নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনেও তাদেরকে ভারতের সমর্থন দেয়ার কথা গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে বলেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সমালোচকরা বলছেন, ভারতের প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা থেকে পিছিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে আপনার জবাব কি?
মুশফিকের এ প্রশ্নের উত্তরে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনি কানাডার তদন্তের যে কথা বলেছেন, সে বিষয়ে আমার কাছে কোনো উত্তর নেই। এ বিষয়ে কানাডা বলতে পারবে। বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি বলবো- যেমনটা আমরা বহুবার বলেছি বাংলাদেশ ও অন্যদের বেলায়, তা হলো শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তায় অগ্রগতি। এটাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে আছে। গণতান্ত্রিক নীতিকে সামনে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে যোগাযোগ রাখছি আমরা। বাংলাদেশের সব মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যাথিউ মিলারের কাছে মুশফিক আরও জানতে চান- রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মী, যাদেরকে আটক রাখা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন। শাসকগোষ্ঠী ৭ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে জালিয়াতি করার জন্য বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের, বিএনপির নেতাদের সহ বিরোধী ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। নির্বাচনের আগেই ঘোষিত ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতির প্রেক্ষিতে গণতন্ত্রকে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর বাধা দেয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কি পদক্ষেপ নিচ্ছে?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন নিয়ে এর আগেই আমাদের উদ্বেগ জানাতে শুনেছেন আপনি। আমরা দেখতে পেয়েছি ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমি দুটি জিনিস বলবো। এক, গ্রেপ্তার করা সবার বিষয়ে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবং নাগরিক জীবনে বিরোধী দলীয় সদস্য ও মিডিয়ার পেশাদারদের, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ অনুমোদন করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই। এসব দৃষ্টিভঙ্গি সামনে এগিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখবো।
পাঠকের মতামত
আমেরিকা আগে ছিলো শরিফ বর্তমানে শরিফা যার প্রমান তারা বাংলাদেশে দেখিয়েছে ।
amerika patla maree
ম্যাথু মিলার,( একমাত্র ব্যক্তি যিনি বারবার বলছেন যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হয়নি ) ফজল আনসারী,( যিনি সারা বিশ্বকে অবহিত করে যাচ্ছেন যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হয়নি ) ও মানব জমিন ( ম্যাথু মিলার ফজল আনসারী'র প্রশ্ন -উত্তর দেশবাসীকে নিয়মিত ভাবে জানিয়ে যাচ্ছেন )। এখন একমাত্র আশা এরা এক হলে ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল হবে এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।
যুক্তরাষ্ট্র কি বলল সেটা দেখে কি হবে । তাই বলছি যুক্তরাষ্ট্র কি বলে তা আমরা নিরবে দেখে যাই , তাছাড়া আমাদের বাঙালির তো করার কিছুই নেই ।।
আমেরিকা শুধু বড় বড় কথাই বলে যাবে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে কোনো ফায়দা করতে পারবে না,ওদের(আমেরিকায়) দেশে বন্দুক রাইফেল দিয়ে মানুষ মেরে ফেলছে ঐটার সমাধান আগে করুক মানে নিজের চড়কায় তেল দেওক॥
আমরা এখন বুঝতে পারছি লড়াইটা একান্ত আমাদের।,
ম্যাথু মিলার,( একমাত্র ব্যক্তি যিনি বারবার বলছেন যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হয়নি ) ফজল আনসারী,( যিনি সারা বিশ্বকে অবহিত করে যাচ্ছেন যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হয়নি ) ও মানব জমিন ( ম্যাথু মিলার ফজল আনসারী'র প্রশ্ন -উত্তর দেশবাসীকে নিয়মিত ভাবে জানিয়ে যাচ্ছেন )। এখন একমাত্র আশা এরা এক হলে ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল হবে এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।
স্বার্থ থাকলে বাংলাদেশেও তাঁরা মাথা ঘামাতো। ভেনিজুয়েলা বা লিবিয়াতে কি করেছিল সবার মনে আছে নিশ্চয়ই। বাংলাদেশ পাল্টে গিয়েছে। বাজার অর্থনীতির প্রভাবে ভোগবাদী একটা শ্রেণী তৈরি হয়েছে যারা আন্দোলন নামের 'গোলমাল' চায় না। চায় অন্যকেউ পরিবর্তন এনে দিক।
কানাডার নির্বাচনে চীন রাশিয়া ভারতের হস্তক্ষেপের যদি তদন্ত হতে পারে তাহলে আমাদের নির্বাচনে নির্লজ্জ যে হস্তক্ষেপ করেছে এরা তারও তদন্ত হওয়া জরুরি।
সরকারের সাথে যোগাযোগ যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগে থেকেই করে এসেছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। এই সরকারের সাথে যোগাযোগ করে তারা কি হাসিল করবে যা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে? এইসব যোগাযোগ এর ফল (১)ভোটার বিহীন নির্বাচন, (২) রাতের ভোটের নির্বাচন,(৩)ডামি নির্বাচন। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের এইজাতীয় ছেলে ভুলানো কথায় এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কোন কাজ হবে না।আল্লাহর উপর ভরসা করে এদেশের জনগণকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
‘চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি’ ধিক তারে শত ধিক নির্লজ্জ যে জন
যুক্ত্ররাস্ট্র যে স্বার্থের জন্য এতো লাফ ঝাপ দেখাইছে সেটা আওয়ামী লীগ পুরুন করে দিয়েছে। তাই তারা তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। Its simple.
তলে তলে এরাও ঐ
আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।যুক্তরাষ্ট্র জোরালো ভূমিকা পালন করলে এই আওয়ামী লীগ স্বৈরাশাসক সরকার থেকে বাংলাদেশের মানুষের মানুষ মুক্তি পেত।
সাংবাদিক মুশফিকুল ইসলাম ফজলের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার যে জবাব দিয়েছেন তাতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ মোটেই সন্তুষ্ট নয়। বাংলাদেশের ৯৫% জনগণের ইচ্ছা অনুভূতি আবেগকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে বর্তমান আওয়ামী সরকার বলপূর্বক ক্ষমতা তৃতীয় বারের মত কেড়ে নিয়েছে অত্যন্ত নির্বিঘ্ন শীতল মস্তিষ্কে। আরো কতবার এভাবে গণতন্ত্রের ধর্ষণ সম্পাদিত হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কথিত বিধিনিষেধ প্রয়োগে এগিয়ে আসবে? নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এভাবেই কাগুজে বাঘ হয়ে হু্কারই দিয়ে যাবে শুধু! বাস্তবতা কিন্ত তাই বলে।
যুক্তরাষ্ট্র কোথাকার কে? তারা বলল নির্বাচন ভাল হয়নি তাতে কি এসে যায়? ওদের সেই মোড়লপনার দিন শেষ।যা করতে হবে তা দেশের জনগনকেই করতে হবে।### বয়কট ভারতীয় সকল প্রডাক্ট
বিএনপি সহ সকল বিরোধী দলের উচিত এখনি বাংলাদেশের জনগন কে ভারতের আদিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলা। এই সরকারের পতনের আন্দোলনের মধ্যে ভারত বিরোধী একটি এজেন্ডা নিয়ে আসতে হবে। আর এখন ভারত বিরোধী এজেন্ডা জনগন কে সহজে আবেগ তাড়িত করবে।
শুধু মাত্র একজন ভোটার কারনে ১৭ কোটি মানুষ চরিত্রহীন হলো
ভারত চীন যদি ও একে অপরকে বিশ্বাস করে না তথাপি ও আমেরিকা ভারতের সিদ্ধান্তের বাইরে এখানে কিছু করার ক্ষমতা রাখে বলে মনে হয় না।
যুক্তরাষ্ট্রের বলাতে কি আর আসবে যাবে? নির্বাচন শেষ সংসদের অধিবেশনও শুরু হয়ে গেছে। এখন এইরকম করে আগামী পাচ বছর বলতে থাকুক পরে ভেবে দেখা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র আবারও বললো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি, তাতে কি হয়েছে? এটা সংবাদের কি আছে!