ঢাকা, ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

ভেতর-বাহির

‘ভালো হয়ে যাও’ মাসুদ-এর পদোন্নতি ও কিছু কথা

ডা. জাহেদ উর রহমান
২৭ জুন ২০২২, সোমবার
mzamin


মানুষ এই পর্যন্ত টিকে থাকার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কারণ তার অসাধারণ অভিযোজন ক্ষমতা। মানুষ যখন বীভৎসতার মধ্যে বসবাস করতে থাকে তখন শুরুতে মানুষকে সেটা আহত করে। কিন্তু কিছুদিন পর টিকে থাকার স্বার্থেই তার ব্রেইন তাকে বিষয়গুলো নিয়ে নির্লিপ্ত হতে শেখায়। এই নির্লিপ্ততার ফল সে পায় হাতেনাতে- আরও বেশি বীভৎসতা আসে তার সামনে। টিকে থাকার জন্য তখন সে বিষয়গুলোকে আরও হালকা করে তোলে, সে তখন বিষয়গুলো নিয়ে মজা করতে শিখে যায়। এখনকার ফেসবুকের যুগে নতুন ট্রেন্ড আসার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন্ডি হতে এই কারণেই আমরা অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে তাতে শামিল হই।

আমাদের মনে থাকার কথা, বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুক ‘এই থাকতে, মনে করেন খুশিতে ঠেলায় ঘোরতে’ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। যেকোনো কাজ কেউ কেন করছে সেটার জবাবে সবাই ওই কথাগুলো ব্যবহার করে মজা করেছে বেশ কিছুদিন। যেমন কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করতো, আমি কেন লেখালেখি করি? তার জবাবে সেই সময়ের ট্রেন্ডে জবাব দিতেই পারতাম ‘লিখি খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে’। 

ফেসবুকে হঠাৎ শুরু হয়ে আমাদের একেবারে আচ্ছন্ন করে ফেলে আবার হারিয়ে যাওয়া ট্রেন্ডের মতো অতি আলোচিত ট্রেন্ডটাও পুরোপুরি হারিয়ে গেছে এর মধ্যেই। তখনো নিশ্চিতভাবেই জানতাম, এরপর আবার নতুন কোনো বিষয় আসবে, আর আমরা মেতে উঠবো সেই নতুন ট্রেন্ড নিয়ে। 
এরপর এলো ‘তাদেরকে বলে দিও....’ ট্রেন্ড। যে কেউ তার যেকোনো বক্তব্যের আগে এই শব্দগুচ্ছ জুড়ে দিয়ে নানা বক্তব্য প্রকাশ করতে শুরু করলো।

বিজ্ঞাপন
যেমন একজনের একটা স্ট্যাটাস মনে পড়ে যিনি লিখেছিলেন, ‘তাদেরকে বলে দিও, আমি আর সাবেক প্রেমিকার বিরহে কাতর নই, আমি আরও অনেক ভালো একজন প্রেমিকা পেয়েছি।’

এই ট্রেন্ডের উৎস ছিল একটা কাগজ যাতে বেশ কাঁচা হাতের লেখায় লিখা ছিল ‘তাদেরকে বলে দিও, আমার মা ছেলে ধরা ছিল না’। জানা যায় ওটা একটা শিশুর হাতে লেখা কাগজ। তসলিমার নাম আমাদের মনে আছে কি-না জানি না, তবে তাকে নিয়ে ঘটা বর্বরতম ঘটনাটির কথা আমাদের মনে এখনো চাঙ্গা থাকার কথা। কিছুদিন আগে ঢাকার একটা স্কুলের সামনে ছেলে ধরা অভিযোগ দিয়ে যে নারীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়, তিনিই তসলিমা। তসলিমার মৃত্যুর পর তার সন্তানদের একজনের লেখা এই কাগজটা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে এরপরে আমরা অনেকেই এটা নিয়ে মজা করতে শুরু করি। নানারকম বিষয় নিয়ে ফেসবুকে মজা হয়, কিন্তু এই দু’টি বিষয়কে  কি আর সবগুলোর মতো একই পাল্লায় মাপা ঠিক হবে?

হাতে অমোচনীয় কালির দাগ নিয়েও ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে লাইন যাতে এগোতে না পারে সে জন্য কিছু নারী লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদেরকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ভোট দেয়ার পরও কেন তারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তার জবাবে তারা বলেছিলেন ‘এই থাকতে, মনে করেন খুশিতে ঠেলায় ঘোরতে’। এই দেশে সংসদ নির্বাচন তো বটেই স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোও এখন একেকটা যাচ্ছেতাই প্রহসনে পরিণত হয়েছে। তাই ওই ঘটনাটি নিয়ে আমরা হয়তো হাসি, মজা করি, কিন্তু গভীরভাবে যদি ভেবে দেখি একটা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে এত হাস্যকর অবস্থায় নিয়ে আসার এক প্রতীকী ঘটনাকে আর যাই হোক হাসি-ঠাট্টার বিষয়ে করে ফেলার তো কথা ছিল না। 

এই রাষ্ট্রে একটা শিশুকে চুরির অপরাধে পিটিয়ে হত্যা করে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়, এখানে মলদ্বারে কম্প্রেসড বাতাস দিয়ে হত্যা করা হয় একের পর এক শিশু, অতি তুচ্ছ কারণে একজন আরেকজন মানুষকে পিটিয়ে বিকলাঙ্গ করে, হত্যা করে। এই সমাজটা এমনই বর্বর একটা সমাজে পরিণত হয়েছে। মানুষের মর্মান্তিক বর্বরতার শিকার হওয়া এমনই একজন নারীর শিশু সন্তান তার মায়ের ওপরে ঘটে যাওয়া বর্বরতার পর আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে তার কষ্টের কথা লিখেছে, তার হতাশার কথা লিখেছে। সেই লিখাটা নিয়েও কি আমাদের মজা করার কথা ছিল? কিন্তু আমরা সেটা করেছি।

এই দুটো ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা যেভাবে মজা করলাম, সেটা ডার্ক হিউমারের পর্যায়ে পড়ে। ডার্ক হিউমার হচ্ছে সে ধরনের বিষয় (যেমন- মৃত্যু, অসুস্থতা, বিকলাঙ্গতা ইত্যাদি) নিয়ে মজা/কৌতুক করা, যে ধরনের বিষয় নিয়ে সেটা করাকে আমাদের কাছে অন্যায় বলে মনে হয়। ডার্ক হিউমারের অস্তিত্ব যতদিন থেকে আছে, ঠিক ততদিন থেকেই এর বিরুদ্ধে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সমালোচনাও আছে। সমালোচকগণ বলেন, যে বিষয়গুলো নিয়ে মজা করা ডার্ক হিউমার হিসাবে গণ্য হয়, সেগুলো নিয়ে মজা করা বিষয়গুলোর গুরুত্বকে নষ্ট করে। আমরা যাই মনে করি না কেন, আমাদের ট্রোল করা কিন্তু শেষ হয় না, চলতে থাকে এমন সব বিষয় নিয়েও যেসব নিয়ে আসলে আমাদের গভীরভাবে ভাবার কথা ছিল। কথা ছিল সিরিয়াস পর্যালোচনা করার।   

‘ভালো হয়ে যাও মাসুদ। তুমি কি আর ভালো হবে না?’ -বেশ কিছুদিন থেকে সবচেয়ে আলোচিত উক্তিগুলোর একটি। আর সব সময়ে আমরা যা করি, তাই করলাম এখানেও। আমরা ট্রোলে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এই ভিডিওটি অনেকেই শেয়ার করেছি, মজা করেছি। বন্ধুদের কাউকে ভালো হবার উপদেশ দিতে গিয়ে এই বক্তব্যের ঢংয়ে সেটা বলেছি। আবার ক্রমাগতভাবে একই খারাপ কাজ বারবার করে যাচ্ছে এমন কাউকে পেলে আমরা তার নাম দিয়ে দিচ্ছি ‘মাসুদ’। 

এই সংক্রান্ত একটা ফেসবুকে স্ট্যাটাস মনে পড়ছে। একটার পর একটা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যখন সরকারি দলের প্রার্থীরা যাচ্ছেতাই রকম ভোট কারসাজির মাধ্যমে জিতে যাচ্ছিল তখন অনেকে বলেছিল নির্বাচন কমিশন ‘মাসুদ’ হয়ে গেছে, সে আর ভালো হবে না।

ফেসবুকের এই ট্রেন্ডের কারণ আমরা জানি, তবুও আবার একটু জেনে নেয়া যাক। বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক মাসুদ আলমকে তার বিরুদ্ধে হওয়া নানা অভিযোগের ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তখনই তাকে ভালো হবার নসিহত করেন তিনি। এটা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। 

সামাজিক মাধ্যমে দু’টি ভিডিও পাওয়া যায়, যায় একটিতে যোগাযোগমন্ত্রী জনাব মাসুদকে বলেছিলেন, ‘তুমি জান না, ভাজা মাছটাও উল্টিয়ে খেতে জান না। ভালো হয়ে যাও মাসুদ। তোমাকে আমি অনেক সময় দিয়েছি। ভালো হয়ে যাও। কত টাকা এই পর্যন্ত কামাইছ? কত ব্যাংক ব্যালেন্স হইছে?’
আরেকটি ভিডিওতে মন্ত্রী জনাব মাসুদকে বলেন, ‘মাসুদ তুমি কি এখানে এসে আবার পুরনো খেলা শুরু করছো? তুমি কি কোনো দিনও ভালো হবে না? তুমি কোনো দিনও ভালো হবে না?’
এরপর জনাব মাসুদ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন,  ‘মাসুদের সঙ্গে দেখা হলেই প্রায় আমি বলি, ‘মাসুদ তুমি ভালো হয়ে যাও’, কিন্তু সে এখনো পুরোপুরি ভালো হয়নি। মাসুদ দীর্ঘদিন বিআরটিএতে আছে। ব্যবহার ভালো, মধুর মতো। কিন্তু যা করার একটু ভেতরে ভেতরে করে।’

নতুন করে আবার আলোচনায় ফিরে এলেন জনাব মাসুদ। সম্প্রতি তাকে নিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে দেশের সব মিডিয়ায়। সংবাদটি এরকম- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের (ইঞ্জি.) দায়িত্ব পেয়েছেন আলোচিত বিআরটিএ কর্মকর্তা মাসুদ আলম। ২১শে জুন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। 
প্রথমে বিআরটিএ যশোর সার্কেল নামক একটি ফেসবুক পেজের এক পোস্টে পদোন্নতি পেয়ে জনাব মাসুদের পরিচালক হওয়ার তথ্য জানা যায়। গত সপ্তাহে বিআরটিএ দেশের ৮টি বিভাগে বিভাগীয় পরিচালক পদ সৃষ্টি করেছে। পদ সৃজনের পর প্রথম পরিচালক হিসেবে খুলনা বিভাগে যোগদান করলেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ আলম। পরে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
জনাব মাসুদের এই পদোন্নতির সংবাদে প্রথমেই মনে যে প্রশ্নটির উদয় হয়, সেটি হচ্ছে তিনি কি অবশেষে ভালো হয়ে গেছেন? তারপর মনে আসে আরও অনেকগুলো সম্পূরক প্রশ্নÑ কবে ভালো হলেন তিনি? কীভাবে ভালো হলেন তিনি? 

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে- এই যে একজন মন্ত্রী তার অধীনস্থ একজন কর্মকর্তা সম্পর্কে দুর্নীতির অভিযোগ করলেন, সেটার কি তদন্ত হয়েছিল? তদন্ত হয়ে থাকলে সেটার ফলাফল কী? তাকে দোষী পাওয়া গিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?
এর বাইরেও এই প্রশ্ন করা জরুরি, একজন মানুষ সম্পর্কে যদি দুর্নীতির অভিযোগ থেকেও থাকে সেটা একজন মন্ত্রী এভাবে প্রকাশ্যে, ক্যামেরার সামনে করতে পারেন কিনা? একজন অভিযুক্ত মানুষেরও সম্মান রক্ষা করা কি জরুরি না? 

জনাব ওবায়দুল কাদেরের আরও দু’টি ঘটনা স্মরণ করছি এই প্রসঙ্গে। ২০১২ সালে জনাব তিনি ছিলেন রেলমন্ত্রী। ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন পরিদর্শনের সময় যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দাবির অভিযোগ শুনে মহানন্দা এক্সপ্রেসের এক এফআইকে চড় মেরেছিলেন তিনি। ওই সময় সাংবাদিকসহ অনেকেই সেখানে ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে যোগাযোগ মন্ত্রী হিসাবে-মহাসড়ক পরিদর্শনের সময় এক ব্যক্তিকে কান ধরে উঠবোস করান তিনি। শুধু সেটাই না, সেই ছবি শেয়ার করেন নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে।

এই দেশে বীভৎস সব কাণ্ড ঘটে কিছুদিন পরপর। একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান একজন কর্মকর্তাকে মেয়ে একজন মন্ত্রী যা বলেছেন বা করেছেন, এরপর যা হয়েছে সেগুলো বিশাল সব ঘটনার সামনে আপাত বিচারে তেমন কিছু না। কিন্তু আসলেই কি তুচ্ছ ঘটনা এটা?

একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তির কাছে একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার দুর্নীতি হাস্যরসের বিষয়, ছেলেখেলার বিষয়। আর আমাদের কাছেও এটা একটা হাস্যরসের বিষয়, যা নিয়ে আমরা ট্রোল করে বেড়াই। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, স্বয়ং মন্ত্রী কর্তৃক প্রকাশ্যভাবে দুর্নীতিবাজ হিসাবে চিহ্নিত ‘ভাইরাল’ এমন একজন ব্যক্তি পদোন্নতি পেয়ে বিআরটিএ-এর পরিচালক হয়েছেন। 

এই দেশের দুর্নীতি কোন পর্যায়ে গেছে, সেটা খুব ভালোভাবে জানে এই দেশে বসবাসকারী প্রতিটি নাগরিক। কিন্তু প্রকাশ্যে চলে আসা একজন দুর্নীতিবাজকে পদোন্নতি দিয়ে এটা প্রমাণ করলো সরকার, তারা এখন মানুষকে আইওয়াশও আর দিতে চায় না। রাষ্ট্রকে নিয়ে এ এক যাচ্ছেতাই ছেলেখেলা, যা ঘটলো আমাদের চোখের সামনে। 

জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকা একটা সরকারের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকবে, এটা আশা করার কোনো কারণ নেই। সেই সরকার জনগণের দুর্ভোগ কমানোর জন্য, জনগণের জীবনকে একটু সহজ করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেবে, এটা আশা করার কারণ নেই। কিন্তু জনগণও যদি সেটাকে একেবারে গা-সওয়া করে ফেলে তাহলে সেই জাতির ভবিষ্যৎ কোনদিকে যাবে, সেটা বুঝি তো আমরা?
মানুষ এই পর্যন্ত টিকে থাকার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কারণ তার অসাধারণ অভিযোজন ক্ষমতা। মানুষ যখন বীভৎসতার মধ্যে বসবাস করতে থাকে তখন শুরুতে মানুষকে সেটা আহত করে। কিন্তু কিছুদিন পর টিকে থাকার স্বার্থেই তার ব্রেইন তাকে বিষয়গুলো নিয়ে নির্লিপ্ত হতে শেখায়। এই নির্লিপ্ততার ফল সে পায় হাতেনাতে- আরও বেশি বীভৎসতা আসে তার সামনে। টিকে থাকার জন্য তখন সে বিষয়গুলোকে আরও হালকা করে তোলে, সে তখন বিষয়গুলো নিয়ে মজা করতে শিখে যায়। এখনকার ফেসবুকের যুগে নতুন ট্রেন্ড আসার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন্ডি হতে এই কারণেই আমরা অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে তাতে শামিল হই।

এর মানে হলো এই সব বীভৎসতার সঙ্গে বসবাস করতে আমরা শিখে গেছি। এসব বীভৎসতার মধ্যে বসবাস করেও আমরা এখন নিজের মতো করে ভালো থাকতে পারছি। টের পাচ্ছি তো আমাদের সমাজের পচনটা কোন জায়গায় গেছে, এবং এটাও বুঝতে পারছি তো সেই পচনে আমাদের আর তেমন কিছুই যায় আসে না। আমরা এখন একেকজন সর্বংসহা মানুষে পরিণত হয়েছি।
আমরা ক্রমে ক্রমে ঠিক তেমন একটা জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছি যেমন একটা জনগোষ্ঠী একটা চরম কর্তৃত্ববাদী সরকারের পরম আরাধ্য। এমন জনগোষ্ঠী তারা চায় কারণ তাদেরকে নিয়ে করা যায় যা খুশি তা। 

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status