শেষের পাতা
করোনায় আতঙ্কিত নই, তবে চিন্তিত
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ জুন ২০২২, সোমবারকরোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে আতঙ্কিত না হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ চিন্তিত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বি’তে কলেরা টিকা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের টার্গেটকৃত প্রায় সবাইকেই টিকার আওতায় এনেছি। এতে সংক্রমণ এক শতাংশের নিচে চলে এসেছিল। আমাদের মৃত্যু প্রায় শূন্যের কোঠায়। কিন্তু এখন আবার সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশে উঠে এসেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। করোনায় মন্ত্রণালয়ের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসেও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় আমাদের সচেতন হতে হবে।
বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, ডা. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহামিদ আহমেদ, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও ইনফেকশন ডিজিজ ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ। কলেরার টিকা নিলে ১৪ দিন অন্য টিকা নেয়া যাবে না: ঢাকা মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকার প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা প্রদানের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আইসিডিডিআর,বি’র সহযোগিতায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মুখে খাওয়ার কলেরার এই টিকা দুই ডোজ গ্রহণ করতে হবে। প্রথম ডোজ নেয়ার অন্তত ১৪ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলজিক্স কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি ইউভিকল প্লাস নামের কলেরার দুই ডোজের টিকা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদেরকে প্রদান করা হবে। এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। গর্ভবতী মহিলা এবং যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা গ্রহণ করেছে তারা ব্যতীত সবাই এই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এই টিকা নেয়ার ১৪ দিনের মধ্যে করোনার টিকাসহ অন্য কোনো টিকা নেয়া যাবে না। এই টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর ১৪ দিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে। ২৬শে জুন থেকে শুরু হওয়া টিকাদান ২রা জুলাই পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রথম ডোজ কলেরা টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
যাত্রাবাড়ীর প্রায় ৫ লাখ, সবুজবাগের প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার, দক্ষিণখানের প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার, মিরপুরের প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার এবং মোহাম্মদপুরের প্রায় ৪ লাখ অধিবাসীকে কলেরার টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রায় ৭০০টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রতি এক হাজার বাড়ির জন্য একটি টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ইপিআই কর্মসূচিতে ব্যবহৃত টিকাদান কেন্দ্র, সূর্যের হাসি ক্লিনিক রয়েছে।