ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

চৌমুহনীতে ৩৩টি সরকারি পুকুর ও দীঘি দখল

নাসির উদ্দিন বাদল, নোয়াখালী থেকে
২৭ জুন ২০২২, সোমবার
mzamin

নোয়াখালীর চৌমুহনী শহরে পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ৩৩টি সরকারি পুকুর ও দীঘি অবৈধ দখলে করা হয়েছে। এতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে জনমনে ক্ষোভ ও অসন্তোষ চলছে। বৃহত্তর নোয়াখালীর রাজধানী খ্যাত চৌমুহনী শহরের সরকারি ৩৩টি পুকুর ও দীঘি রয়েছে। যেগুলোর চার পাড়ের বিশাল জায়গায়  বৈধ-অবৈধ দোকান নির্মাণ করায় জনসাধারণের পানি ব্যবহারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগে পানি ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। সুপেয় পানি এবং যেকোনো দুর্যোগে পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণে সরকারি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা। সরকারি সংস্থাগুলোর যথাযথ নজরদারি না থাকায় চৌমুহনী শহরের এসব পুকুর ও দীঘির জায়গাগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে মিলেমিশে দখল করে রেখেছে।  এলাকাবাসী জানান, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও জেলা পরিষদের মালিকানাধীন এসব পুকুর ও দীঘিতে প্রথমে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। পরে মাটি ফেলে খুঁটি গেড়ে কৌশলে ধীরে ধীরে ভরাট করে নির্মাণ করা হয় দোকানপাট।

বিজ্ঞাপন
এমনকি সুযোগ বুঝে গড়ে উঠছে বহুতল ভবনও। বিগত বছরে চৌমুহনী পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর যুবলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে সরকারি পুকুর দখলকে ঘিরে দুই গ্রুপের মাঝে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। যা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নির্দেশে এমপি ও সাবেক মেয়র এর সালিশি বৈঠকে উভয় গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা হয়। জানা যায়, জেলার এ প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীতে সম্প্রতি এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সে সময়ে পুকুরের পানির অভাবে ব্যাহত হয় ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ কাজ। ফলে কয়েকশ’ কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। দখলকৃত এসব পুকুর ও দীঘি দ্রুত উদ্ধার করে তা ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। চৌমুহনী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের (জামাই খায়ের) বলেন, চৌমুহনী বাজারের ভেতরে অবস্থিত বড় মসজিদ পুকুর, সিনেমা হলের পেছনের পুকুর, রেল স্টেশনের পশ্চিমের পুকুর পাড়ের দোকানগুলোর কারণে অগ্নিকাণ্ডের মতো বড় দুর্ঘটনায় প্রয়োজনে পানি ব্যবহার করা যায়নি। পৌরসভার পুকুরপাড়গুলো কিছু কিছু লিজ নিয়ে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ দখল করেছে। এসব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে প্রয়োজনে কিছু লিজ বাতিল করে হলেও চৌমুহনী বাজারের সুপেয় পানি নিশ্চিত করা দরকার।  চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, একসময় এসব পুকুর ও দীঘি চৌমুহনী পৌরসভার অধীনে ছিল। বর্তমানে সরকারি নীতিমালার কারণে তা পৌরসভার তত্ত্বাবধান করার সুযোগ নেই। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করলে তিনি বলেন, দ্রুত এসব পুকুর-দীঘি ও জলাশয় দখল এবং ভরাট রোধে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এগুলো জনকল্যাণে ব্যবহার করার জন্য সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।  

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status