ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খেলা

বোলারদের ধৈর্যচ্যুতিতে নাখোশ ডমিঙ্গো

স্পোর্টস ডেস্ক
২৭ জুন ২০২২, সোমবার
mzamin

সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা ছিল বাংলাদেশের। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেন খালেদ-মিরাজরা। কিন্তু সেই চাপ ধরে রাখা যায়নি। নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংয়ের ফায়দা তুলেছে উইন্ডিজ। শিষ্যদের এমন বোলিংয়ে হতাশ বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
৬৭/০ নিয়ে খেলতে নামা উইন্ডিজ ১৩৭/৪ সংগ্রহ নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায়। ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। এর মধ্যে একই ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন পেসার খালেদ আহমেদ। কিন্তু দ্বিতীয় সেশন কাটে সাফল্যহীন। তৃতীয় সেশনে মাত্র একটি উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হন টাইগাররা। বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩৪০ রান তুলে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘এই মুহূর্তে গল্পটা টেস্ট ক্রিকেটের মতোই, একটা সেশন ভালো কেটেছে আমাদের, আরেক সেশন খুবই বাজে।

বিজ্ঞাপন
হয়তো ছেলেরা অধৈর্য হয়ে গিয়েছিল। টানা যথেষ্ট পরিমাণে আঁটসাঁট বোলিং করে ওদেরকে চাপে ফেলতে পারিনি আমরা, যেটা পেরেছিলাম প্রথম সেশনে। খুবই হতাশার এটি।’
ডমিঙ্গো সবচেয়ে বেশি হতাশ বোলারদের ধৈর্যচ্যূতিতে। বারবারই বলছিলেন কথাটা, ‘প্রথম সেশনে আমরা দারুণ বোলিং করেছি। লাঞ্চের পর সেটা ধরে রাখতে পারিনি। উইকেটের জন্য বোলিং করতে গিয়ে কিছু আলগা বল করেছি। যখন ওভার দ্য উইকেট করার কথা, তখন রাউন্ড দ্য উইকেট করেছি। যথেষ্ট ধৈর্য না ধরে মৌলিক কিছু ভুল করেছি।’
লম্বা সময় ধরে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পারার দক্ষতা এখনও অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ঠিক এ কারণেই দল পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করেন ডমিঙ্গো। তিনি বলেন, ‘বার্তাটা সবসময়ই থাকে ডট বল করে চাপে ফেলা। রান রেট নিয়ন্ত্রণে রাখা। উইকেট নেয়ার জন্যই আমাদের সেই প্রক্রিয়াটা দরকার। কিন্তু উইকেটের তাড়নায় আমরা অনেক বেশি আলগা বল করে ফেলেছি। ধৈর্য ধরা, শৃঙ্খলা রাখা, এই প্রক্রিয়াগুলোয় আমরা জোর দিয়েই বলে যাচ্ছি। কিন্তু যথেষ্ট লম্বা সময় ধরে আমরা তা করতে পারছি না। আমরা এক সেশন করতে পারি, আরেক সেশনে পারি না। লম্বা সময় চাপ ধরে রাখতে পারি না।’
‘মায়ার্সকে দেখে শিখতে হবে সাকিবদের’
চাপের মুখে কীভাবে খেলতে হয়, বাংলাদেশি ব্যাটারদের তা  চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন কাইল মায়ার্স। মায়ার্সের সেঞ্চুরিতেই সেন্ট লুসিয়া টেস্টে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তার শিষ্যদের কাছ থেকে মায়ার্সের মতো বড় ইনিংস দেখতে চাইছেন।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, ‘মায়ার্সের মতো ১২০ রানের ইনিংস খেলতে হবে আমাদের কারও। গত বছর ওরা আমাদের বিপক্ষে ৪০০ রান তাড়া করেছে চট্টগ্রামে, মায়ার্স তখন ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। আমাদের কেউ এখন তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারছে না। মায়ার্সকে দেখে শিক্ষা নিতে হবে। টেস্ট ম্যাচ অনেক কঠিন। এরকম ভালো ব্যাটিং করতে না পারলে ভালো দলগুলি শাস্তি দেবে এবং আমাদেরকে এখন সেই শাস্তি পেতে হচ্ছে।’
সিরিজে বাংলাদেশের পক্ষে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না। অ্যান্টিগায় ব্যাটিং ভরাডুবিতে বরণ করে নিতে হয় ৭ উইকেটের হার। সেন্ট লুসিয়ায় অপেক্ষাকৃত ভালো উইকেটে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৪। সর্বোচ্চ ৫৩ রান আসে লিটন দাসের ব্যাট থেকে। তামিম ইকবাল করেছেন ৪৬ রান। একজন সেঞ্চুরি পেলেও সংগ্রহটা ২৩৪ না হয়ে তিনশ’ ছাড়াতো। ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমাদের বেশ কজন ক্রিকেটার এখন ফর্ম ও ছন্দ খুঁজে ফিরছে। এখান থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায় লম্বা সময় ব্যাট করা। ৩০-৪০ রানের ইনিংস অনেক হচ্ছে, দু-একটা ফিফটি হচ্ছে। কিন্তু কাইল মায়ার্স যেমন ১২০ ছাড়িয়ে গেল, তেমন বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারছে না। দলের রান ২৩০ আর ৪০০ হওয়ার মধ্যে মূল পার্থক্য এখানেই।’
ডমিঙ্গো বলেন, ‘ব্যাটিং ও বোলিংয়ে এই মুহূর্তে গুরুতর জিজ্ঞাসা আছে আমাদের। কারণ, এটা কোনোভাবেই আড়াইশ’র উইকেট নয়। শেষের ওই ৩০ রানের জুটি (ইবাদত-শরিফুল) না হলে ১৯০ রানে অলআউট হতাম আমরা। ব্যাট হাতে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স আমরা দেখাতে পারছি না এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেখিয়ে দিচ্ছে, কেন তারা আমাদের চেয়ে ভালো। ওদের একজন সেঞ্চুরি করেছে, ওরা বড় স্কোর করছে। বোলিংয়ে ওরা জুটি গড়ে বোলিং করেছে, ব্যাটিংয়েও জুটি গড়ে লম্বা সময় উইকেটে থেকেছে।’

 

খেলা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

খেলা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status