প্রথম পাতা
দেশব্যাপী উৎসব
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ জুন ২০২২, রবিবারছবি: জীবন আহমেদ
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী উৎসবে মেতেছিল পুরোদেশ। বন্যাকবলিত এলাকা ছাড়া প্রায় সারা দেশেই ছিল নানা আয়োজন। আনন্দ র্যালি, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পের উদ্বোধনকে স্মরণীয় করে রাখা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলায় বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়। সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছিল নানা উদ্যাপন। সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে পদ্মাপাড়ে ছিল উৎসবের দোলা। পদ্মার দুই তীর এক করে মাথা উঁচু করা পদ্মা সেতুর নিচে পদ্মা নদীতেও ছিল নানা আয়োজন। নৌকাবাইচ, পাল তোলা নৌকা প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিলেন স্থানীয়রা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দক্ষিণের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন মাদারীপুরের শিবচরে। সেখানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেন।
ওদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে রাজধানীতে ছিল নানা আয়োজন। মোড়ে মোড়ে বড় পর্দায় দেখানো হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এছাড়া বিল বোর্ড, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয় বিভিন্ন সড়কে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে রাজধানীতে বের করা হয় বর্ণাঢ্য র্যালি। পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে বড় পর্দায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়েছে। বেলুন ও ফেস্টুনে সাজানো হয় ডিআরইউ প্রাঙ্গণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতেও বড় পর্দায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবস্থা করেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বরিশালে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণ থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিতে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান, রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার প্রলয় চিসিম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ওয়াহেদুর রহমান, রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম এহসান উল্লাহ্, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আতশবাজি ও লেজার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনী শেষে রাতে বঙ্গবন্ধু উদ্যান ও শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে আনন্দ মিছিল ও বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যাপন: পদ্মাজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে হবিগঞ্জের কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগারে জড়ো হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা সেখানে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ক্ষণকে উদ্যাপন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা, রাজেন্দ্র চন্দ্র দাস গুপ্ত, মুরশেদুল হাসান রশিদ, কমরু মিয়া, লাল মিয়া, ধরণী সরকার, আব্দুল গাফ্ফার, আব্দুল আলী, শিশু মিয়া তালুকদার, দুদু মিয়া, মোহাম্মদ আলী মোমিন, সাবিত্রী নায়েক, রাজিয়া খাতুন, মৃণাল কান্তি রায়সহ কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগারের পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।