ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

জগন্নাথপুরে এখনো পানির নিচে গ্রামের পর গ্রাম, বাড়ি ছাড়া লাখো মানুষ

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৬ জুন ২০২২, রবিবার
mzamin

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গ্রামের পর গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো লাখো মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া। এসব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরমধ্যে বন্যার পানিতে স্রোতের কবলে পড়ে উপজেলার এরালিয়া গ্রামের ফল ব্যবসায়ী আনহার মিয়া মারা গেছেন। জগন্নাথপুরের ইকছগাঁও গ্রামের সানুর মিয়া নামে এক বৃদ্ধ বন্যার পানির তোড়ে ডুবে গত দুইদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া জগন্নাথপুর-সিলেট সড়ক, জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কসহ উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের সবক’টি সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এ ছাড়া আংশিক কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে গত ১০ দিন ধরে বিদ্যুৎ চালু করা সম্ভব হয়নি। উপজেলার সদরে পানি কমতে শুরু করলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার বাড়িঘরে এখনো উরু থেকে হাঁটু সমান পানি রয়েছে। উপজেলার সদরের প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র জগন্নাথপুর বাজারের বিভিন্ন গলি পানিতে তলিয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন
বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি প্রবাসী, বিত্তশালী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কাজ করছে। তবে সরকারি ত্রাণ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পৌর এলাকার ইকড়ছই, ভবানীপুর, খালিকনগর, আলখানাপাড, মোমিনপুর, হাসিনাবাদসহ জগন্নাথপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের সিংহভাগ মানুষের বসতঘরে পানি ওঠায় বাড়িঘর তালাবদ্ধ রেখে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু স্থানে উঠেছেন। ফলে অসংখ্য গ্রাম লোক শূন্য হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ডাকাত আতঙ্ক। পানিতে ভেসে গেছে কৃষকের গোলার ধান, চাল। পৌর এলাকার মোমিনপুর এলাকার দরিদ্র আব্দুল মনাফ জানান, গত শুক্রবার হঠাৎ করে ঢলের পানি বসতঘরে প্রবেশ করে ধান, চাল ভাসিয়ে নিয়েছে। বুক সমান পানি ঘরে থাকায় কোনোভাবে পরিবারের লোকজন নিয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিয়েছি। গত ৮ দিন ধরে বাড়ি ছাড়া। এখনো ঘরে উরু সমান পানি রয়েছে। নানা অভাব অনটনে আছি।  নলুয়া হাওর বেষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, ইউনিয়নের সর গ্রামের বাড়িঘরে পানি। শত শত পরিবার এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। পানি কিছুটা কমলেও দুর্ভোগের শেষ নেই মানুষের। বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। তবে ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে ৯৩ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আমরা একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে একজন করে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের  মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়েছি। আমি প্রতিদিন দুর্গতের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে কাজ করছি।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status