ইউক্রেনীয় সেনাদের পূর্বাঞ্চলীয় শহর থেকে পিছু হটার নির্দেশ

দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদনেতস্ক থেকে সেনাদের পিছু হটার নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির লুহানস্ক প্রদেশের শীর্ষ আঞ্চলিক কর্মকর্তা সেরহি হাইদাইয়ের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি। এই নির্দেশের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেভেরোদনেতস্কের শতভাগ এলাকায় রুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যুদ্ধের প্রথম থেকেই এই শহরটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করছিল রুশ বাহিনী। মাঝে মারিউপোল, খারসনের মতো শহরগুলো দখলের সময় এখানে মনোযোগ কম থাকলেও গত এক মাস ধরে সেভেরোদনেতস্ক জয়ই ছিল রাশিয়ার প্রধান টার্গেট। 

লুহানস্কের গভর্নর সেরহি জানান, এরকম চতুর্মুখী চাপের মধ্যে অবস্থান ধরে রাখার কোনো অর্থ হয় না। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রুশ বাহিনী পুরো শহরটিই ঘিরে ফেলেছে। শহরের প্রায় পুরোটাই তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এমন অবস্থায় সেখানে থাকা সেনাদের যুদ্ধ না করে জীবন বাঁচানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রুশ বাহিনী এখন সেভেরোদনেতস্কের প্রতিবেশি লিসিচানস্ক দখলে মনোযোগ দিয়েছে। 

সেরহি বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাদের সেভেরোদনেতস্ক থেকে পিছু হটে অন্যত্র যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে এক টেলিভিশন ভাষনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি জানান, শহরের বেশিরভাগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ৯০ ভাগ বাড়িতেই হামলা হয়েছে এবং ৮০ ভাগই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় সেনারা এরইমধ্যে পিছু হটেছে কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। কারণ শহরের একাংশে শুক্রবার সকালেও যুদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে বৃহস্পতিবারই লিসিচানস্কের বেশ কিছু এলাকা দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। সেখানেও দ্রুত অবরুদ্ধ হতে চলেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ২৪শে ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া রুশ অভিযানের প্রধান টার্গেট ছিল ডনবাস অঞ্চলকে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে আনা। এ জন্য সেভেরোদনেতস্ক এবং লিসিচানস্ক দখল তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এগুলো দখলের পর লুহানস্কের পুরোটাই রাশিয়ার অধীনে চলে যাবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, লুহানস্ক এবং দনেতস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে গণহত্যা চালিয়ে আসছে। তিনি এই দুই অঞ্চলের স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থন করে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, ইউক্রেনে আক্রমণ করার অযুহাত দাড় করাতেই এসব পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন নয়, বরঞ্চ রাশিয়াই ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে।