অনলাইন
ওসমানীনগরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
জয়নাল আবেদীন, ওসমানীনগর (সিলেট) থেকে
(৩ দিন আগে) ২২ জুন ২০২২, বুধবার, ১:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৮ অপরাহ্ন

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে সিলেটের ওসমানীনগরে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলার গোয়ালাবাজার, সাদিপুর, উমরপুর, তাজপুর, পৈলনপুর, দয়ামীর, উসমানপুর, বুরুঙ্গা এই ৮টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। পানিবন্দি লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
উপজেলার ৮ ইউনিয়নে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বাসাবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন ওসমানীনগরবাসী। উপজেলার অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। প্রায় ইউনিয়নে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ঘরবাড়ি দোকানপাটে পানি উঠে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ত্রাণের জন্য মানুষ হাহাকার করেছে।
স্থানীয় রায়হান আহমদ বলেন, যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটা আগে কোনো সময়ে দেখিনি।
সাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুসা বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক আশ্রয় কেন্দ্রেসহ বিভিন্ন গ্রামে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছি। সরকারের পাশাপাশি প্রবাসীরাদের উদ্যাগে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি রয়েছে। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে মানুষ।
ওসমানীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন কান্তি রায় বলেন, পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যাক্রান্তদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ ২৪ টন চাল ও নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কার্যক্রম চলমান।
পাঠকের মতামত
স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষ দৈনিক কত চাল ব্যবহার করে ধারণা করা যায় ত্রাণের চালের হিসাব দেখে। ২৪ টন চাল বিতরণ কিন্ত দৈনিক চাহিদার নাম মাত্র অংশ । নিজের না থাকলে অন্যের সাহায্য চাহিদা মেটানোর জন্য অপর্যাপ্ত । এই চাল রান্নার জন্য চুলা আছে কি যাদের ঘর তলিয়ে গেছে । আমার মনে হয় খিচুড়ি রান্না করে দিলে ভাল হত।