বিশ্বজমিন
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই বাংলাদেশে বিপর্যয়কর হয়ে উঠছে বন্যা
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ দিন আগে) ২২ জুন ২০২২, বুধবার, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৭ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের বিপর্যয়কর বন্যার পেছনে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আর সেটিই প্রভাব ফেলছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃষ্টিপাতের ধরনে। ভবিষ্যতে এই বৃষ্টিপাত আরও অনিশ্চিত এবং প্রবল হবে বলেও সাবধান করেছেন তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে জানানো হয়, গত সপ্তাহের ভারি বর্ষণের পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা আছে তা পরিমাপ করতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। তবে বিজ্ঞানীরা এখনই নিশ্চিত যে, গরম বাতাসের কারণে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে। এই বাতাস তুলনামূলক বেশি জলীয় বাষ্প সঞ্চয় করতে পারে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেটেরোলোজির জলবায়ু গবেষক রক্সি ম্যাথিউ কোল বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে যে মৌসুমি বাতাস প্রবেশ করে তা প্রচুর পরিমাণে আদ্রতা নিয়ে আসে। এখন আমরা যে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত দেখতে পাচ্ছি, তার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ দেখা যায়।
এবারের বন্যায় আটকা পড়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। তাদেরকে ছোট নৌকায় করে সাহায্য ও ত্রান পৌছে দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত এই বন্যায় ৬৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত এক সপ্তাহের ভারি বর্ষণে বাংলাদেশের নদীগুলো উপচে পরে আসেপাশের এলাকা প্লাবিত করেছে। ভারতের আসাম রাজ্যেও ভয়াবহ বন্যা আঘাত হানে কয়েক দিন আগেই। সেখানে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম দিকেই রয়েছে। ২০১৫ সালে বিশ্ব ব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩৫ লাখ বাংলাদেশি বন্যা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই বন্যা বাংলাদেশের কৃষি, অবকাঠামো এবং নিরাপদ পানির সরবরাহে জন্য বড় সংকট সৃষ্টি করেছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী আন্ডার্স লেভারম্যান বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলো বৃষ্টি না হওয়ার কারণেও ভুগছে আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণেও ভুগছে। তাদের দরকার স্থিতিশীল বৃষ্টিপাত। অতীতে সেরকমই ছিল। কিন্তু এখন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবস্থাটি হুমকির মুখে পড়েছে।
পাঠকের মতামত
Not true. Climate change is partially responsible. Main culprit is the mindless construction of roads, buildings obstructing natural flow of water. So damn those so called scientists.