শেষের পাতা
বিএনপি ভোটে এলে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে
স্টাফ রিপোর্টার
২১ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারবিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলে পুনঃতফসিল দেয়ার কথা বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে বিএনপিকে ফরমালি (আনুষ্ঠানিকভাবে) ভোটে আসার কথা জানাতে হবে। গতকাল নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।
ভোটের বাইরে থাকা বিএনপিসহ অন্যান্য দল যদি ভোটে ফিরতে চায়, সেক্ষেত্রে এ তফসিলে কি ফেরা সম্ভব নাকি বিএনপি’র জন্য কোনো বিবেচনা থাকবে- এমন প্রশ্নে রাশেদা সুলতানা বলেন, দেখেন যদি ফিরতে চান, আমার জানামতে আগেও ওনারা একটু পরেই এসেছিলেন এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন। ওনারা যদি ফিরতে চান, কীভাবে কী করা যাবে, নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করবো। সিদ্ধান্ত নেবো। ওনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম (স্বাগত) করবো। কখনোই চাইবো না যে, ওনারা আসতে চেয়েছেন, আমরা ফিরিয়ে দেবো- এটা হবে না। রাশেদা সুলতানা বলেন, বিস্তারিত এখন কিছুই বলবো না। ওনারা যদি আসেন, আমরা কমিশনাররা বসবো। আইনকানুন দেখবো। তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয়। অগ্রিম কিছু বলতে পারবো না। তার মানে আপনারা বিবেচনা করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, এলে তো বিবেচনা করবোই। অবশ্যই করবো। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।
এই বিবেচনার মধ্যে কী পন্থা আছে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, কী পন্থা আছে, এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত বলতে পারবো না। আপনারা দেখেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার জানামতে, ওনারা এসেছিলেন। ওই নির্বাচনে কিন্তু ওনাদের জন্য একটু স্পেস (জায়গা) তৈরি করা হয়েছিল। আমরা যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করবো। আমি ডিটেইল (বিস্তারিত) আর কিছু বলবো না।
জাতীয় পার্টি (জাপা) তফসিল পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে, তো তফসিল একটু পেছানো যায় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, এই বিষয়ে আমরা কিছুই বলবো না। অগ্রিম বলার সময় এখনো আসেনি। যখন আসবে, যেটা হবে, সেটাই বলবো। পরিস্থিতি যখন আসবে, পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। অগ্রিম এ বিষয়ে কোনো কথাই বলবো না। বলা উচিতও নয়। ওনারা এলে আমরা ওয়েলকাম করবো। এটার জন্য আইন অনুযায়ী যেভাবে পথ সৃষ্টি করতে হবে, সেভাবে করবো। রাশেদা সুলাতানা বলেন, সংকট সৃষ্টি হওয়ার আগেই যদি ওনারা আসেন, কাজেই এখনই কিছু বলবো না। অতীতে যেভাবে হয়েছে, আমরা দেখবো। যদি বাড়ানো প্রয়োজন হয়, বাড়াবো। যদি বাড়ানোর মধ্যে না হয়ে এমনিই হয়, তাহলে হবে। কোনো অসুবিধা নেই। যদি এই তফসিলের মধ্যেই আসেন, তাহলে তো তফসিলে হাত দেয়ার দরকার নেই।
আরেক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, নিশ্চয়ই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনো স্পেস (জায়গা) আছে। মাঠের রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত, তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে না- এমন কোনো কথা নয়। যেকোনো মুহূর্তে শান্ত হতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের প্রতি আস্থা রাখেন। আসেন, নির্বাচন করেন। নিঃসন্দেহে আপনারা একটা ভালো, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন।