খেলা
লজ্জার হারে সাকিবের কাঠগড়ায় ব্যাটাররা
স্পোর্টস রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ২০ জুন ২০২২, সোমবার, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৪ অপরাহ্ন

অ্যান্টিগা টেস্টে হার নিশ্চিত হয়েগিয়েছিল তৃতীয় দিনেই। টাইগারদের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দিতে চতুর্থ দিনে মাত্র ৭ ওভারে জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে উপহার দেয় লজ্জার ৭ উইকেটের হার। এমন পরাজয়ের জন্য টাইগার ব্যাটারদেরই কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছেন নেতৃত্ব ফিরে পাওয়া সাকিব আল হাসান। দলকে শুন্যতে রেখে গিয়েছিলেন এই অধিনায়ক। ফের শুরু করলেন শুন্য হাতেই। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য কোন ভনিতা করেননি, হার নিয়ে সোজা দায়টা চাপিয়ে দিলেন ব্যাটারদের উপর। তিনি বলেন, ‘এটা (ব্যাটিং) গ্রহণযোগ্য নয়। এরকম আমরা নিয়মিতই করছি এখন। গত ৪-৫ টেস্ট ধরেই এটা হচ্ছে।
জয়ের পথটা তৃতীয় দিনই তৈরি করে রেখেছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৫ রানের দূরত্ব ঘোচাতে খুব বেশি সময় নিল না স্বাগতিক ব্যাটাররা। বাংলাদেশের বোলাররা পারলেন না আর কোনো প্রভাব রাখতে। জন ক্যাম্পবেল ও জার্মেইন ব্ল্যাকউডের জুটিতেই ক্যারিবীয়ানরা ম্যাচ জিতে গেল অনায়াসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ৮৪ রান। সৈয়দ খালেদ আহমেদের তোপে রান তাড়ার শুরুতে ৩ উইকেট হারালেও এরপর আর কোনো হোঁচট খায়নি তারা। তৃতীয় দিন শেষ করে ৩ উইকেটে ৪৯ রানে। গতকাল চতুর্থ দিন সকালে ৭ ওভারে জয়ের অনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলে ক্যারিবিয়ানরা। অনিয়মিত স্পিনার নাজমুল হোসেন শান্তর ওভারে চার ও ছক্কা মেরে খেলা শেষ করে দেন জন ক্যাম্পবেল। বাঁহাতি ওপেনার অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। ব্ল্যাকউড জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ২৬ রানে। টেস্ট শুরুর আগের দিন ফিটনেস পরীক্ষায় উতরে যিনি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন, সেই কেমার রোচ ৭ উইকেট নিয়ে হয়েছে ম্যান অব দা ম্যাচ। টেস্ট ইন্ডিজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৯ ম্যাচে জিতল ৩টিতে।
বাংলাদেশ অ্যান্টিগা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অলআউট হয় মাত্র ১০৩ রান করে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ৫১ রানের সাথে তামিম ইকবালের ২৯ রানে মান বাঁচে। দলের ৬ ব্যাটারই যে ফিরেছে কোনো রান না করে। এরপর টাইগার বোলাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৬৫ রানে আটকে রাখলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় ফিরে আসে দ্বিতীয় ইনিংসেও। এবার ৬ উইকেট হারাতে হয় ১০৯ রানে। শেষ পর্যন্ত সাকিব ৬৩ ও নুরুল হাসান সোহান ৬৪ রান করে জোড়া ফিফটিতে দলের মান বাঁচায়। এই দুজন ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগাররা গুটিয়ে যায় ২৪৫ রানে। গেল ৫ বছরে ২০ বার ১০০’র ঘরে পৌঁছে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এমন বাজে ব্যাটিংয়ের নজির ১৫ ইনিংসে ছিল চোখে পড়ার মত। এর মধ্যে চারবার ১০০’র নিচের অলআউট হওয়ার লজ্জা তো আছেই। ২০১৮তে অ্যান্টিগায় ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে নিজেদের সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোরের (৪৩) রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। একই মাঠে ৪ বছরেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
পাঠকের মতামত
টেস্টে ম্যাচ ৫ দিনে ১৫ সেশনের হয়। আর বাংলাদেশের ৫ থেকে ১৫ ওভার শেষে ম্যাচের ফল বলে দেয়া যায় এমনকি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ও। এমনটা ধারাবাহিক ভাবে হচ্ছে। প্রায় সব ম্যাচেই। ডাক দিয়ে ভরে ফেলে স্কোর বোর্ড। টেস্ট ম্যাচের প্রতি ইনিংসে ৫ / ৬ টা করে ডাক মেরে বসে থাকে। অন্য দলের কে কয়টা সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করল সে হিসেব করে আর বাংলাদেশের শুধু ডাক গোল্ডেন ডাক গুনতে গুনতে ইনিংস শেষ হয়। কোচের কাজ শেখানো। আর বর্তমান স্টাফদের কাজ হচ্ছে ভুলিয়ে দেয়া মনে হয়! পরীক্ষিতরা টানা বাজে খেলছে। অথচ এরাই এক সময় ছিল দলের পরীক্ষিত খেলোয়ার। কেউ কি নেই বিষয়টা দেখার।
২০১৮ বিশ্ব কাপে আর্জেন্টিনা খারাপ করার পর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ফেসবুক এ মেসিকে নিয়ে কত যে টিপ্পনি, বাজে মন্তব্য, ছবি বিকৃত করে শাড়ি পরিয়ে কলা হাতে ধরিয়ে, গাছের সাথে দড়ি দিয়ে ফাসিঁতে ঝুলিয়ে, কত ধরনের যে বাজে,নোংরা ছবি শেয়ার করা হয়েছে, কেউ কেউ লিখছেন 7up, 4g ইত্যাদি, কিন্তু নিজের গায়ের গন্ধ না দেখে মানুষের গায়ের গন্ধ খুঁজে তাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে ভালোই লাগে, অনেকেই বলবেন এটা বিশ্বকাপের দল গুলোকে ভালোবাসা থেকে জিদ, তবে কি নিজ দেশের খেলার প্রতি ভালোবাসা নেই, দেশের প্লেয়ারদের কোন অভাবে রাখা হয়ে? বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার এর কাছে দেশ ও দেশের মানুষের কোন প্রত্যাশা, আকাংখা নেই? হয়তো ভবিষ্যতে আরো খারাপ খবর পাবো!! বিশ্বের সেরা অল রাউন্ডের নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেষ্ট ক্রিকেট খেলতে যায়, সেখানে নতুনদের সমন্বয়ে গড়া, ওয়েষ্টইন্ডিজের কাছে #টেষ্ট ক্রিকেটে ৪৩ রানে অল আউট হয়ে যায়, খেলায় জয়পরাজয় আছে, তাই বলে টেষ্টে ৪৩ রান, এই লজ্জা আমাদের ১৭ কোটি জনগণের, এত বড় লজ্জার পরো অধিনায়ক, বোর্ড কর্মকর্তা, কেউ ই এখনও জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলো না, তাদের লজ্জা বলে কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না, ভালো খেললে কোটি কোটি টাকার ঘোষণা করা হয়, এখন কি ঘোষনা করা হবে? আসলে রাজনীতি আর খেলা এক সাথে চলে না, এখন সাকিবের মাথায় ভর করে আছে এমপি ইলেকশন, তাই খেলায় কনসেন্টেশন দিতে পারছেন না, আমরা যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ ও নবাগত দল আফগানিস্তান এর সাথে বাজে ভাবে হেরেছি, হোয়াইট ওয়াশ হয়েছি, টি২০ বিশ্বকাপ এখন থেকে বাংলাদেশ সরাসরি অংশ নিতে পারবেন না, নিচের থেকে খেলে কোয়ালিফাই হয়ে আসতে হবে! কত বড় লজ্জার!! আসলে ক্যাপ্টেন হিসেবে সাকিব খেলায় মন বসাতে পারছেন না, রাজনীতি, এমপি নির্বাচন,চারিদিকে মেয়র নির্বাচনী প্রচারণা ,জনসভায়, লবিং, জনসংযোগ, প্রচুর বিজ্ঞাপন, খেপ খেলা, প্রেকটিস করা ও খেলায় মনসংযোগ দিতে পারছেন না, আপনার মত কি?