অনলাইন
যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতিকে প্রধানমন্ত্রীর তরফে চায়ের দাওয়াত
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ মাস আগে) ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ২:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:২৬ অপরাহ্ন

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে আজ (শুক্রবার) ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জ্যাকসন হাইটসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে আনন্দ মিছিল করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। দুইপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান সেখানে অবস্থানরত যুক্তরাজ্য বিএনপি'র সভাপতি এম এ মালিককে চায়ের আমন্ত্রণ জানান।
সেখানে টাইম টেলিভিশনের তরফে ড. সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয় যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালিকের কাছে কী প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ড. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। উনি আমাকে একটা নির্দেশনা দিলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি মালিক সাহেব এখানে এসেছেন। উনি তাকে স্বাগত জানানোর জন্য আমাকে বলেছেন এবং তাকে চায়ের দাওয়াত ও আপ্যায়ন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
উনার নির্দেশ মোতাবেক আমি কিছুক্ষণ আগে তার সাথে দেখা করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমি সেই দাওয়াত তাকে পৌঁছে দিয়েছি। আমি বলেছি, আপনাকে আমি চা খাওয়াতে চাই। কারণ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে এসেছেন।
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘উনি বলেছেন যদি প্রধানমন্ত্রী রাজি হন তাহলে আমার সাথে এক জায়গায় বসে উনি (এম এ মালিক) চা খাবেন। এটাই উনার সাথে আলাপ হয়েছে। এখানে কোনো নাটকীয়তা নাই।’
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে এই প্রস্তাব আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী করবেন সেই বিষয়টি তিনি আমাকেও জানাতে পারেন অথবা উনি যার মাধ্যমে আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন তাকেও জানাতে পারেন।’ এটার মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওখানে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। যুদ্ধাংদেহী ভাব আমি লক্ষ্য করিনি।’
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি আমার কাছে এসেছিলেন। শেখ হাসিনা উনাকে বলেছেন আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। উনি চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা স্বাগত জানিয়েছি। তবে আমরা বলেছি যে, আমাদের নেত্রী অসুস্থ। উনার সুস্থতার জন্য বিদেশে আসা দরকার। উনি যদি নেত্রীকে বিদেশে পাঠানোর ঘোষণা দেন, তাহলে আমরা উনার সঙ্গে চা খেতে রাজি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেছেন, এই বার্তা উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিবেন এবং পরবর্তীতে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।'
কর্মসূচির বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট থেকে কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত আছেন। তারা ইতোমধ্যে পুলিশের অনুমতি নিয়েছেন। আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্টেট থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছে। আগামীকালের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চলবে।
পাঠকের মতামত
দেশেরগুলোর কোন দাম নাই l
এইসব নাটক দেশের মানুষ ভালো করেই বুঝে। ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়।
২০১৮ সালেই এভাবে চা’য়ের দাওয়াত দিয়ে দিনের ভোট রাতে করে ফাইনাল খেলা শেষ করে।
দলের মহাসচিবের চেয়ে কি একজন প্রবাসী নেতা বেশি ক্ষমতাবান ব্যাক্তি ? যদি চায়ের দাওয়াত দিতে হয় দিতে হবে দলের মহাসচিবকে যার নেতৃত্বে দল চলে কিন্তু কেন একজন বিদেশে কর্মরত নেতাকে ? সে কি সিদ্ধান্ত দিতে পারবে ? আসলেই কি সে দলের হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বা দিতে পারবে ?
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য না পাঠানোয় সরকার হিংসাত্মক ভাব দেখাচ্ছে, তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো উচিত!
Fazlamu korar jaiga nei. Joto sob natok..
খুবই ইতিবাচক আমরা এটাই চাই কারন আমরা একই দেশের সন্তান বিভেদ ভুলে তৈরি করি ঐক্য
দারুণ ব্যাপার। রাজনীতির উপর রাজনীতি। politics makes politics
চা তো নয়। যেন কপির বাবা, নাটকের নাটক, সুপার নাটক। কপি হাউজ এর আড্ডা চলুন সিংগাপুর যাই।.....
ভূয়া ভূয়া
বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের মূল পার্থক্যটা এখানেই, আর সেটা হল সৌজন্য। এম এ মালিক সাহেবকে ধন্যবাদ বিচক্ষণতায় বিষয়টি মোকাবেলা করার জন্য। তোমরা বেগম জিয়ার চিকিৎসার বাধা তুলে নাও,আমরা তোমাদের সাথে চা পান করবো। সুন্দর।
অসুস্থ ব্যক্তি তার ইচ্ছা অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া একটি মানবাধিকার এমনকি আদালত কর্তৃক দন্ডিত হলেও।
ইজ্জত বাচাতে আওয়ামী নাটক..তবে মালেক সাহেবের দাবি খুব যৌক্তিক। খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ তাকে দ্রুত বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হোক এই মুহুর্তে বিএনপির প্রধান দাবি।
গরু মেতে জুতা দানকে যদি এম এ মালেক সাহেব উত্তম মনে করেন তাহলে স্বৈরাচারিনী শেখ হাসিনার চা এর দাওয়াতে অংশ নিতে পারেন। গত দেড় দশকে বাংলাদেশকে যিনি একটা জলন্ত নরক কুন্ডে পরিণত করেছেন, হাজার হাজার নেতা কর্মি হত্যা করেছেন গুম করেছেন পঙ্গু ল্যাংড়া লুলা অন্ধ করে দিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ মামলার জালে নেতা কর্মীদের আটকে রেখেছেন, মানুষের মৌলিক ভোটাধিকার নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রিকে মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধ মানবতা বিরোধি অপরাধের নামে মিথ্যা অপবাদে বিএনপি জামায়াতের অগণিত শীর্ষ নেতাকে ফাঁসি দিয়েছেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক অধিকার হরন করেছেন, সেই নেত্রীর চা এর দাওয়াতে সায় দেওয়া মানে জাতির সাথে দেশের সাথে মীরজাফরী করা। শেখ হাসিনা নিজের স্বার্থ ব্যতিত অন্য কিছু বুঝেনা। চা- এর দাওয়াত মানেই কোন একটা উদ্দেশ্য সাধন করা। এম এ মালেক সাহেব কি তা বুঝেন? শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে এখন এক পায়ে খাড়া থাকতে কোন সমস্যা নেই যদি মালেক সাহেবরা শেখ হাসিনাকে ওয়াদা দেয় যে তার অধীনেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। তখন আইন আদালতকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে খালেদাকে সুপার সনিক বিমানে করে পৃথিবীর যেকোন দেশে হাসতে হাসতে শেখ হাসিনা পাঠিয়ে দিবে।শর্ত একটাই ক্ষমতা শেখ হাসিনাকে ছাড়লেও শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে ছাড়বে না। মালেক সাহেবরা কি এটা বুঝেন? না বুঝেন না।
দেশে এক রকম আর বিদেশে আরেক রকম!!!
কে কি বলল তাতে যায় আসে না। তবে আমি মনে করি বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জয় হবে।
বিরোধী না করে এভাবে প্রস্থান এর মানসিকতা থাকলে রাজনৈতিক গুণগত পরিবর্তন হবে। তবে অসুস্থ কাউকে উন্নতচিকৎসার জন্য সরকারের ছাড় দেয়া উচিৎ এবং প্রাকৃতিক বিষয়ের উপর ঝুকি নিয় সরকারের দোষ কাঁধে নেয়া উচিৎ নয়।। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ও ছাড় দেয়া যায়। বাংলাদেশ জন্মের পর আওয়ামী লীগের নেতারা যে নির্যাতন ও অবৈধ হরতাল শিকার হয়েছে তারপরও যদি বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য সরকার প্রধান বা প্রেসিডেন্ট তার অধিকার বলে মুক্তি দান করে অবশ্যই বাহাবা পাবে সবার কাছে। আবার যদি আন্দোলনে ভিত বলে মুক্তি দিয়েছে প্রচার করে তাও হবে ঐ দলের জন্য লজ্জা।
এসব তঞ্চকতা দিয়ে দেশের মানুষের পেট ভরবে না! আমরা বিএনপি-আওয়ামীলীগ বুঝি না! আমরা আমাদের ভোটের অধিকার ফেরত চাই!
দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথায় ভুলবেন না।
If ice is melted no problem but to bring back democracy needs a free, fair, neutral, credible and participatory election under a non-partisan government. It is the people's only demand can't be avoided at any rate.
চা খাওয়া যেতে পারে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আলাপের শর্তে
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মুচলেকা দেওয়ার শর্তে চা খাওয়ার দাওয়াত গ্রহনে রাজি হলে জনগণ ভালোভাবে গ্রহণ করতো।
এটাই রাজনীতি। এভাবে যদি সমস্যার সমাধান হয় তবে তা খুবই ভালো। রাতের কারবারে থাকা এদেরও তো ভয় আছে।
এই দাওয়াতে যদি সভাপতি যায় তাহলে bnp এর বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমে যাবো আর কমপক্ষে ত্রিশ হাজার লোক সরাবো bnp থেকে সেই সাথে ঐ ত্রিশ হাজার লোকের পরিবার আর আত্মীয় সজনকে সরানোর চিন্তা নিয়ে ও কাজ করবো।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি কি দু:ক্ষ প্রকাশ করবেন বা করেছিলেন কখনও?
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ/ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন/ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় 'হস্তক্ষেপ'কে হাইলাইট করলেন মোমেন
গুম-খুন-কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতাদের স্বজনদের আহাজারি/ বাঁচার অধিকার না থাকলে সবাইকে একসাথে মেরে ফেলুন

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]