ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাফ কথা

মানুষের মূল্য কতোটা বেড়েছে?

কাজল ঘোষ
১৪ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
mzamin

একটি বিজ্ঞাপন চিত্র দেখে চোখে পানি এসে গেল। এর গল্পটি আপনাদেরকে না বলে পারছি না। শুরুতে একটি কিশোর রেললাইন ধরে দৌড়াচ্ছে। প্ল্যাটফরমে লাটিম খেলছে। এর মধ্যেই কিছু ক্ষুধার্থ নিরন্ন মানুষের মুখাবয়ব। এক ফাঁকে মধ্যবিত্ত একজনের বাজারে যাওয়া। দরদাম করে পদ্মার ইলিশ কেনা। বাড়ি ফিরতা মানুষটি চায়ের দোকানে বসে একটি পাউরুটি আর চা খেতে বসেছে- এমন সময় ক্ষুধার্থ কিশোরটির করুণ চাহনি। লোকটির দয়ালু মন তাকে রুটিটি দিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে কিশোরটি রুটি নিয়ে দৌড়।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু চায়ের কাপ হাতে নিয়ে তাকাতেই বাজার ফেরত মানুষটি দেখলেন কিশোরটি ভুলে লাটিম ফেলেই দৌড় দিয়েছে। তাই এক হাতে লাঠিম আর অন্য হাতে বাজারের থলে নিয়ে তিনি ছুটলেন বস্তির দিকে। গিয়ে দূর থেকে দেখলেন কিশোরটি সেখানে রুটিটি সকলকে নিয়ে ভাগ করে খাচ্ছে। কিশোরের মুখের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন ভদ্রলোক, ওরা তোর কে? কিশোরটি হাসিমুখে ‘কেউ না’ বলে সরে পড়ে। 

 

বাজেটের আরেকটি মিথষ্ক্রিয়া থাকে বরাবরই তা হলো মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি নিয়ে। এবারও তা তিন হাজার ৭ ডলার ছাড়াবে বলে অর্থমন্ত্রী প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু বস্তিতে থাকা রহিমার মা, পোশাক কারখানায় কাজ করা হাজেরা বিবি বা রিকশাচালক বক্কর মিয়া কিন্তু এই আয়ের বিষয়ে ওয়াকিবহাল নন। তারা বিস্মিত হন যে, তাদের আয় তিন হাজার ৭ ডলারের বেশি। এরপরই বিস্ময় নিয়ে তাদের প্রশ্ন থাকে ‘আমগো ভাগ কই?

 

কিশোরটির অভিব্যক্তিতে লোকটির অকস্মাৎ ভাবান্তর ঘটে। তিনি তার বাজারের থলেটি সেখানে বৃদ্ধার হাতে তুলে দিয়ে হাসিমুখে বাড়ি রওনা হবেন তখন কিশোরের প্রশ্ন, এরা আপনার কে? তখন সেই লোকটিও গালভরা হাসি নিয়ে উত্তর দিলো ‘কেউ না’। গল্পের অবতারণা করেছি এই ভেবে, এটি কি নিছক একটি বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট? প্রশ্নটি আমাকে বারবার কুরে কুরে খাচ্ছে। না এটি নিছক বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট না। এই গল্পের একটি অসাধারণ মেসেজ আছে তা হলো- সকলে মিলে ভালো থাকা। কেউ না অথচ সকলেই সকলের। প্রতিবেশী যদি অভুক্ত থাকে তাহলে কখনো একা সুখে থাকা যায় না। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার পর সামাজিক মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনমানের কতোটা উন্নতি হলো- এ প্রশ্ন ঘুরে ফিরছে সবখানে। বাজেটে দেশের মানুষের কষ্টের টাকা যারা বাইরে পাচার করেছে তাদের কোনো শাস্তির আওতায় না এনে সহজ শর্তে অর্থ ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তেলের দাম বাড়বে না বললেও তা কিন্তু বেড়েই চলেছে।

বাজেট নিয়ে আলোচনার টেবিলেই খেই হারিয়েছে সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি। পত্রিকার পাতায় যেখানে ক’দিন আগেও এটিই ছিল ব্যানার হেডিং। তা দুদিন বাদেই পত্রিকার ভেতরের পাতায় চলে গেছে। সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি, বাজেট অধিবেশনের পরে এক ফেসবুক বন্ধু লিখেছে রুটির দাম বেড়েছে বহুগুণ কিন্তু মানুষের মূল্য বেড়েছে কতোটা? কথাটির অনেক রকম ব্যাখ্যা হতে পারে। খুবই নগণ্য ছা পোষা মানুষ হিসেবে আমি কষ্ট পাই, যখন দেখি দেশে কোনো বড় দুর্ঘটনা বা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে নিহত ও আহতের স্বজনদের কাছে একটি বার্তা যায় প্রশাসনের। মৃত ব্যক্তির পরিবারকে এত টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। কি নির্মম পরিহাস! মানুষের জীবনের মূল্য কি টাকায় হয়? যার পরিবার স্বজন হারিয়েছেন, তারাই এর মর্মবেদনা বুঝে থাকেন। সামান্য বিশ বা পঞ্চাশ হাজার টাকায় এই পরিবারগুলোর স্বজন হারানোর ব্যথা কি গুছে। তার চেয়ে অনেক বেশি জরুরি এই ধরনের দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।

 

 

 বাজেট এলেই প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম কতটা বাড়লো, কতটা কমলো সে দিকেই সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেশি। তাদের কাছে চাল-ডাল অনেক বেশি মূল্যবান। মেগাপ্রকল্প নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। ঘোষিত বর্তমান বাজেটেও দ্রব্যমূল্য খুব একটা কমবে- এমন আশার খবর নেই। সার্বিক পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি টার্গেট শেষ পর্যন্ত রক্ষা হবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। আমরা যদি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে খেয়াল করি, সেখানে যুদ্ধে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে শুধু মানুষের জীবননাশের জন্য অথচ অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য গমের মূল্য বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী শত শত কোটি মানুষ এক টুকরো রুটির জন্য প্রতি মুহূর্তে অপেক্ষায় থাকে তার মূল্য নিয়ে খুব কমই মাথাব্যথা দেখছি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও এসব জরুরি খাদ্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। অনেকটা সময়ের আগেই ব্যবসায়ীরা তা করছেন নানা ছুতোয়। এক সময় রুটি ছিল অভিজাতদের খাবার কিন্তু বর্তমানে তা নেই। বর্তমানে দরিদ্র, শ্রমিক, অভুক্ত মানুষের খাবার হচ্ছে চা আর রুটি। এখন তাতেও স্বস্তি নেই। মনে আছে, ঢাকায় বসবাসের শুরুর দিনগুলোতে চার আনায় পুড়ি পাওয়া যেত। 

সময়ের সঙ্গে দাম বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক। তবে পাঁচ টাকার পুড়ি আর একই মূল্যের পরোটা এখন কিনতে হচ্ছে ডাবল মূল্যে। এক লাফে এগুলোর মূল্য পাঁচ টাকা থেকে দশ টাকা হয়েছে। যাতে হাত দেয়া হচ্ছে তারই চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। আর কোথাও না হোক বাজারে গেলে বোঝা যায় সরকার বলে দেশে কিছু নেই? সব চলছে লাগাম ছাড়া। ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের ফলে আগামী বছর গমের বাজারে প্রভাব পড়বে কিন্তু তার মাশুল মানুষ দিচ্ছে এখন থেকেই। চালের মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। সম্প্রতি একটি বড় শিল্প গ্রুপের প্রধানকে আগাম জামিন নিতে হয়েছে চালের অস্বাভাবিক মজুত রাখায়। এ ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, দেশের এই দরকারি পণ্যগুলো নিয়ে কারসাজিতে যুক্ত সকল মহলই। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার পর পর দুটি স্ট্যাটাস নজরে পড়লো। একটি লেখক মঈনুল আহসান সাবের আর অন্যটি সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজার। মঈনুল আহসান সাবের স্যাটায়ার করে লিখেছেন, এই বাজেটে পশুখাদ্যের দাম কমানো হয়েছে। স্বস্তিবোধ করছি।

 আমাদের কথা তাদের মনে আছে। অন্যদিকে গোলাম মোর্তোজা লিখেছেন, মাস্কের দাম বাড়বে, উড়োজাহাজের দাম কমবে। দাম কমবে হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশের। হেলিকপ্টারের মেরামত খরচ কমানোর জন্য যন্ত্রাংশের দাম কমিয়ে নিলেন। গাড়ি, হেলিকপ্টারের পর এবার নিশ্চয় তারা ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ কিনবে। মধ্যবিত্ত কর দেয় না বলে পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ  কেটে দেয়ার হুমকি দিয়ে, নিজেরা উড়োজাহাজের দাম কমিয়ে নিলো। সহজভাবে বাজেটের বৈপরীত্যগুলো তুলে ধরেছেন সিনিয়র এই সাংবাদিক। এর সঙ্গে যুক্ত করা যায় সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত দশ টাকার চালে ছেদ পড়েছে তা এখন দরিদ্রদের কিনতে পাঁচ টাকা বেশি গুনতে হবে। আর মানুষ কর না দিলে তাদের ভাতে পানিতে ইউটিলিটি কেটে দেয়ার কথা সংসদে বললেন অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে বাইরে যারা হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন তাদের বৈধতা দেবেন কোনো শাস্তি ছাড়াই। যেদিন অর্থমন্ত্রী বাজেট দিলেন সেদিনই তেলের দাম বাড়লে লিটারে সাত টাকা। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তেলের দাম আর বাড়বে না। কই গেল তার বাস্তবায়ন?

 মন্ত্রী তার দেয়া কথা না রাখতে পেরে দায়িত্ব তো ছেড়ে দেন নি। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিশ্বাসের খেলা খেলছেন। আর সাধারণ মানুষ পরিহাসের শিকার হচ্ছেন। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে নানান রকম সমাধানের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় চাল আর তেলের বাজার ক্রমাগত টালমাটাল হচ্ছে তা সামাল দেয়ার কোনো কার্যকরি পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী দেশের পাঁচ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নিয়ে সুখে আছেন। অথচ দেশের একজন নাগরিকও যদি বাড়তি মূল্যে পণ্য ক্রয়ে কষ্ট পায় তা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হওয়ার কথা তো তার দপ্তরেরই। পাঁচ কোটি মানুষের বাইরে প্রায় পনের কোটি মানুষের দু’বেলা আহার কিনতে যে কষ্ট, তারা যে তেল ছাড়া রান্না করতে শিখছে- এটা নিয়ে দুঃখবোধ বা যন্ত্রণা মন্ত্রীর কথায় একেবারেই শোনা যায় না। অগুনতি মানুষের এই যে প্রতিদিনকার হাহাকার তা চাপা পড়ে যায় মন্ত্রীদের অতিকথনের ভারেই। 
বাজেটের আরেকটি মিথষ্ক্রিয়া থাকে বরাবরই তা হলো মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি নিয়ে।

 এবারও তা তিন হাজার ৭ ডলার ছাড়াবে বলে অর্থমন্ত্রী প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু বস্তিতে থাকা রহিমার মা, পোশাক কারখানায় কাজ করা হাজেরা বিবি বা রিকশাচালক বক্কর মিয়া কিন্তু এই আয়ের বিষয়ে ওয়াকিবহাল নন। তারা বিস্মিত হন যে, তাদের আয় তিন হাজার ৭ ডলারের বেশি। এরপরই বিস্ময় নিয়ে তাদের প্রশ্ন থাকে ‘আমগো ভাগ কই? এ নিয়ে নানা হাস্যরসও প্রচলিত আছে। একটি কথা বলা হয়, মাথাপিছু আয় নাকি মাথার পেছনে থাকে তাই দেখতে পাওয়া যায় না। সুতরাং, গরিব মানুষের মাথার পেছনেই তাদের আয় ঝুলতে থাকে শেষ পর্যন্ত। 

মানুষের অধিকার আদায়ে যে মানুষটি রাজপথে থাকেন তাকে অন্যায়ভাবে কেন আটকে রাখা হলো? কেন সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি আর বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদের মুখে তাকে হয়রানি থেকে মুক্তি দেয়া হলো? আপনাদের নিশ্চয়ই মনে থাকবে, বেশ ক’মাস আগে ওয়াসার পানিতে ময়লার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। কাওরান বাজারে সংস্থার প্রধান দপ্তরে ময়লা পানি একটি কাঁচের পাত্রে করে তিনি অভিনব প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন।  রাজধানীর অসংখ্য মানুষ পানিতে ময়লা নিয়ে যখন জেরবার তিনি বিষয়টিকে মিডিয়ায় অন্যভাবে তুলে ধরেন। প্রশংসিতও হন। তিনি জুরাইন এলাকাসহ ঢাকার ঐ অংশের নানা ইস্যুতে প্রতিবাদী সচেতন মানুষ। বলছিলাম, একজন মিজানুর রহমানের কথা। গেল সপ্তাহে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে জুরাইন এলাকার মানুষের রোষানলে পড়ে তিন সার্জেন্ট পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনার পর তাকে পুলিশ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তা নিয়ে চলে ধোঁয়াশা। পুলিশ কর্মকর্তারা সেদিন মিডিয়ায় জুরাইনের ঘটনার পেছনে ‘গোপন ইন্ধনদাতা’ হিসেবে অনেককেই তারা খুঁজছেন বলে বলেছেন। তাহলে প্রতিবাদী মিজানুর রহমানকেও কি সেই কাতারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডিবি অফিসে। কথা হচ্ছে, যেকোনো অন্যায় অনিয়ম নিয়ে যাদের ভূমিকা পালন করার কথা তা না করলেই তো বাধ্য হয়ে মানুষ প্রতিবাদী হয়। রাজপথে নামে। মিজানুর রহমান ও তার পরিবার রাষ্ট্রের নানা ক্ষতিকর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে থাকে বরাবরই। 

এটা শুধু ময়লা পানি আছে ওয়াসার পানিতে তা নিয়ে নয়, পণ্যের ন্যায্যমূল্য চেয়ে, খেলার মাঠ চেয়ে, নদী বাঁচাতে, পরিবেশ বাঁচাতে, সুন্দরবন রক্ষা করতে এগিয়ে যান তিনি ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও। যে বিষয় নিয়ে মিজানুর রহমান আন্দোলন করেন তার কি কোনো যৌক্তিকতা নেই? তা কি শুধুই ব্যক্তি মিজানুর রহমানের ভালো থাকার জন্য? নাকি রাষ্ট্রের অপরাপর সকল মানুষের জন্য কল্যাণকর। তাহলে কোন অপরাধে এই মানুষটিকে এভাবে দিনদুপুরে পুলিশের বড় কর্তা ডেকেছেন বলে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। এরপর সংশ্লিষ্ট থানা কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে না জানার ভান করলো। পরিবারকে হয়রানি করলো। এ প্রশ্নগুলো করা কি খুব অসঙ্গত? মানুষের প্রাপ্য অধিকারগুলো নিয়ে যখন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো টালবাহানা করে তখন তাদের নির্দিষ্ট পথে চলতে এ ধরনের মানুষ খুবই দরকার। কারণ, এ দেশে অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে, সবকিছুই দাবি করে আদায় করে নিতে হয়। না হলে দেশের বয়স পঞ্চাশ অতিক্রম করেছে অথচ এখনো এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানির জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিতে হবে কেন? তা নিয়ে এমনিতেই কর্তৃপক্ষের রীতিমতো গলদঘর্ম হয়ে যাওয়ার কথা? কিন্তু বিচিত্র এই দেশ। এই লেখাটির ইতি টানতে চাই মিজানুর রহমানের পুলিশি হয়রানি থেকে মুক্তির পর দেয়া স্ট্যাটাসের উল্লেখ করে- ‘কথার স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার।’ 

 

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status