অর্থ-বাণিজ্য
বাজেটে উৎসে কর কমানোর দাবি বিজিএমইএ’র
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ১৩ জুন ২০২২, সোমবার, ৩:৪০ অপরাহ্ন

পোশাক শিল্পে উৎসে কর এক শতাংশের অর্ধেক কমানোর দাবি জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান। সোমবার একটি হোটেলে বিজিএমইএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।
ফারুক হাসান বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে পোশাক শিল্পে উৎসে কর বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে, সে অবস্থায় রাখার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী সুবিবেচনায় রাখবেন।’ তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের একান্ত অনুরোধ, রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ০.৫০ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখলে শিল্পটি বর্তমান সংকটকালীন সময়ে স্বস্তিতে থাকবে। তিনি বলেন, ‘শিল্প টিকে থাকলে রাজস্ব আসবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’
ফারুক হাসান জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের পোশাক রপ্তানি ছিল ২৭.৯৫ বিলিয়ন ডলার। ৮৩.৪৫ টাকা এক্সচেঞ্জ রেট হিসেবে টাকার অঙ্কে রপ্তানি আয় হয়েছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ০.৫০ শতাংশ হারে উৎসে ১,১৬৬ কোটি টাকা উৎসে কর প্রদান করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে রফতানি ছিল ৩১.৪৫ বিলিয়ন ডলার। ৮৩.৯৫ টাকা এক্সচেঞ্জ রেট হিসেবে টাকার অঙ্কে রফতানি আয় হয়েছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ০.৫০ শতাংশ হারে উৎসে ১,৩২০ কোটি টাকা উৎসে কর প্রদান করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘চলতি অর্থবছর ২০২১-২২ শেষে রফতানি ৪১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। ৮৭ টাকা এক্সচেঞ্জ রেট হিসেবে টাকার অঙ্কে রপ্তানি আয় হবে ৩ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ ০.৫০ শতাংশ হারে উৎসে ১,৭৮৩ কোটি টাকা উৎসে কর প্রদান করা হবে। আর সামনের অর্থবছর ২০২২-২৩ এ আমরা যদি ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারি, তবে ৯২ টাকা এক্সচেঞ্জ রেট হিসেবে টাকার অঙ্কে রপ্তানি হবে ৪ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা।
এসময় তিনি নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০% হারে বিশেষ প্রনোদনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ৭৪ শতাংশ কটনের তৈরি, যেখানে বিশ্বের মোট টেক্সটাইল কনজাম্পশনে কটনের শেয়ার মাত্র ২৫ শতাংশ।’ বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন, পরিবেশবান্ধব কারখানা তৈরির অন্যতম উপাদান সোলার প্যানেল আমদানিতে শুল্কহার শূন্য থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। শিল্পে পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সূচিত হয়েছে, তার ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে আমাদের অনুরোধ, সোলার প্যানেল আমদানিতে শুল্কহার শূন্য করা হোক।