অর্থ-বাণিজ্য
বাজেটে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ বৈধ করার প্রস্তাব
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ৯ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৩:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৪ অপরাহ্ন

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ বৈধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কর দিয়ে এসব অর্থ বৈধ হয়ে গেলে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যেকোনো কর্তৃপক্ষ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য এক দিকে আমাদের অধিক পরিমাণে রাজস্ব জোগান দিতে হবে, অন্য দিকে বেসরকারি খাতেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে হবে। এ অবস্থায় বিদেশে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ অর্থনীতির মূল স্রোতে আনার মাধ্যমে বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।
নতুন বিধানের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী বিদেশে অবস্থিত যে কোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যে কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে এর ওপর ১৫ শতাংশ, বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে ১০ শতাংশ ও বাংলাদেশে পাঠানো (রেমিটকৃত) নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ হারে করারোপের প্রস্তাব করেন তিনি। এ সুবিধা ২০২২ সালের ১লা জুলাই হতে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিধান কার্যকর হলে অর্থনীতির মূল স্রোতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে, আয়কর রাজস্ব আহরণ বাড়বে; আর করদাতারাও বিদেশে অর্জিত অর্থ-সম্পদ আয়কর রিটার্নে প্রদর্শনের সুযোগ পেয়ে স্বস্তিবোধ করবেন। এ প্রস্তাব অনুমোদন হলে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ দেশে ফিরবে। আর সেই অর্থ মিশে যাবে অর্থনীতির মূল প্রবাহে।
পাঠকের মতামত
শুনলাম জ্যোতিষ সম্রাট মহাজাতকও ভবিষ্যৎ বলা বন্ধ করে দিয়েছেন, জ্যোতিষী টিয়াপাখিদেরও আজকাল তেমন কদর নাই আর এইযুগের ভবিষ্যৎও নাকি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই জ্যোতিষীদের এমন নাকানি চুবানি খাওয়ায় যে উনারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পেশা ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছেন। অর্থাৎ আমদের দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন একেবারেই বলা বা বোঝাযাচ্ছেনা। আ হ ম মুস্তফা কামাল একজন অতি উঁচু মাপের অর্থমন্ত্রী, উপযুক্ত জ্যোতিষীর অভাবে আমি মনে করি উনার প্রস্তাবটি একটি খুবি সময় উপযোগী কাজ হবে। এতে তারাতারি ঘুষ, চুরি, বাটপারি, চাঁদাবাজি, উন্নয়নের কমিশন, চেতনার কমিশন ইত্যাদি সহ যত ধরনের অপকর্ম রাজনীতির নামে চেতনার নামে করেছে তা গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে পুতপবিত্র করার বা অসম্ভব কে সম্ভব করবে। তবে আমাদের মহান সংসদের কাছে, অর্থমন্ত্রীর কাছে আমার বিনীত আবেদন থাকবে যেন যাদেরকে এই গঙ্গাজলে পবিত্র করা হবে তাদের সবাইকে তাদের নামের আগে 'সৈয়দ' লাগানোর অনুমোদন দিতে হবে। এর জন্য সরকার তাদের উপর কোন প্রকার ফীস আরোপ করতে পারবেনা।
So that her money in UAE becomes legal.