ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

বেহুদা প্যাঁচাল

হুদার হুঁশ, ইভিএম এবং চ্যালেঞ্জ

শামীমুল হক
৭ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
mzamin

একি বললেন কে এম নূরুল হুদা? তিনি কি হুঁশে আছেন? হুঁশে থাকলে তো এমনটা বলার কথা নয়। যে ব্যক্তি ইভিএমে ভোটের জন্য রীতিমতো লড়াই করেছেন তিনি কিনা এখন বলছেন, ইভিএমে কিছুটা ত্রুটি আছে! কি সেই ত্রুটি? তার কথা- ইভিএমের ব্যালট ইউনিটকে টেকনোলজির আওতায় আনা যায়নি। এটা কমপ্লেক্সিটির জন্য। এখানেও ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। প্রশ্ন হলো এ ত্রুটি নিয়ে তিনি কীভাবে ইভিএমে একের পর এক নির্বাচন করে গেছেন। জেনে বুঝে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও তার ভোট নেয়া কি বৈধ হয়েছে? সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি কীভাবে প্রকাশ্যে এমন অবৈধ কাজ করলেন? নিজে জেনে বুঝে এমন কাজ করায় তার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় যে কেউ নিতে পারে। 

মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতার একটি লাইন- ‘এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে’ খুব মনে পড়ছে। সিইসি থাকাকালে কে এম নূরুল হুদার অনেক বক্তব্য আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন তিনি অবসর সময় কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় শনিবার তার দেয়া বক্তব্য দেশজুড়ে ফের নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এমনিতেই ইভিএম নিয়ে বিতর্ক সেই শুরু থেকেই।

বিজ্ঞাপন
বর্তমান সময়ে এসে এই বিতর্ক এখন তুঙ্গে। সাম্প্রতিক সময়ে ইভিএম নিয়ে মুখ খুলেছেন দুই নির্বাচন কমিশনার। একজন হলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, ইভিএমের ভুল ধরতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেয়া হবে। তার এ মন্তব্য নিয়ে খোদ সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়ালকেও সাংবাদিকদের সামনে জবাবদিহি করতে হয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ইভিএম প্রস্তুতকারীরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে কোনো একসময় এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। এটি একেবারেই আমাদের একান্ত বৈঠকে। তাদের এ বক্তব্যই নির্বাচন কমিশনার হয়তো বলেছেন। কিন্তু এটি আমাদের নিজস্ব বক্তব্য নয়। আমরা এ নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছি। আরও বৈঠক হবে। সিইসি জোর দিয়ে বলেন, ইভিএম নিয়ে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি। এ আলোচনা শেষ হতে না হতেই নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান মন্তব্য করেন, ইভিএমের বড় চ্যালেঞ্জ গোপন কক্ষের ডাকাত। ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে ডাকাত-সন্ত্রাসী দাঁড়িয়ে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইভিএমে চ্যালেঞ্জ একটাই। এ ছাড়া আর কোনো চ্যালেঞ্জ আমি দেখি না। একটা ডাকাত-সন্ত্রাসী গোপন কক্ষে একজন করে দাঁড়িয়ে থাকে আপনার ভোট হয়ে গেছে চলে যান। দিস ইজ দ্য চ্যালেঞ্জ। 

দেশবাসী আশাবাদী প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক সুরে কথা বলবে। সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আগামী নির্বাচন হবে জমজমাট। এর আগে সব দল মিলে সংকট মোকাবিলায় একটি পন্থা বের করবে। যে পথ দেখাবে আলোর রেখা। যে পথ দেখাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কৌশল। বিপরীতমুখী অবস্থান থেকে সরে আসবে প্রতিটি রাজনৈতিক দল।

কে এম নূরুল হুদা তার সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে নিয়েছেন। সেই নির্বাচন কি সুষ্ঠু হয়েছে? বাহ্যিক চোখে ফকফকা নির্বাচন হলেও অভ্যন্তরে ছিল ডাকাতের থাবা। সেখানকার ভোটাররা দেখেছেন সব। দুটি কেন্দ্রে দেখা যায় ভোট চলছে ঠিকঠাক মতো। আর এ ভোট পড়ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। খবর চলে যায় যথাস্থানে। এরপর ডাকাত এসে দাঁড়ায়। ভোটারদের লম্বা লাইন আরও লম্বা হচ্ছে। কিন্তু ধীরগতি। হঠাৎ এ ধীরগতি কেন হলো? এর কারণ উপস্থিত সবাই জেনেছেন। এখানেও প্রশ্ন যে ইভিএম ভোটারদের চাহিদা মেটাতে অক্ষম সেই ইভিএমের ওপর কারও কারও এত দরদ কেন? দেশের ইতিহাসে ইভিএমে এ পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোটের বেশি কাস্ট হয়নি। ৭০ শতাংশ ভোটারই থেকেছে ভোট দেয়ার বাইরে। যাদের অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট না দিয়ে ফিরে এসেছেন। যে ব্যবস্থা ভোটারদের চাহিদা মেটাতে অক্ষম সেই ব্যবস্থা কেন থাকবে? আর যখন সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা নিজেই বলছেন ত্রুটির কথা সেখানে তো আর কোনো কথাই থাকে না। কারণ এই ইভিএমকে জিইয়ে রাখতে তাকে বহু কৌশল করতে হয়েছে। দেশবাসীর কাছে বিতর্কিত হতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে তিনি বললেন, ইভিএমেও গলদ আছে। বলা হয়, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। এখন দেখছি, সবখানেই একই অবস্থা। 

 

 

দুই 
১৯৮২ সালে বাংলাদেশের বরেণ্য রাজনীতিক আব্দুল মালেক উকিলকে বহিষ্কার করা হয় আওয়ামী লীগ থেকে। এর প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। মালেক উকিল সেদিন বলেছিলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। এর প্রমাণও দিয়েছিলেন খ্যাতনামা এ উকিল। কয়েকদিন পর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়। দলে তিনি ফিরে এসে প্রমাণ করেছেন তার সেই বক্তব্য। এরপর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত উক্তি হয়ে যায়- রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। তাই তো দেখি এরশাদ আমলে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা আ.স.ম রবকে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভার শপথ নিতে। দীর্ঘ পাঁচ বছর তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দাপটের সঙ্গে দাবড়ে বেড়িয়েছেন গোটা দেশ। মন্ত্রী হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের গুণগান গেয়েছেন। কিন্তু এখন সেই রব ঘোর আওয়ামী লীগ বিরোধী। একই সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সরাসরি জেলখানা থেকে সংসদে এনে হাজির করা হয়। যদিও এরশাদকে হটাতে দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। সে সময় হরতাল, বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া এক টেবিলে বসেছিলেন এরশাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়েই। আওয়ামী লীগ ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর নির্বাচনে যাওয়াও রাজনীতির সেই কথা মনে করিয়ে দেয়। শেষ কথা বলতে কিছু নেই। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি। ওই সময় বিতর্কিত মাগুরা উপনির্বাচন মোড় ঘুরিয়ে দেয় রাজনীতির। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে জামায়াত মাঠে নামে। একই সঙ্গে একই দাবিতে মাঠে নামে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ দিন রাজপথে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত যুগপৎ আন্দোলন করে। শেষ পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের সামনে জনতার মঞ্চ করে দেশকে প্রায় অচল করে দেয়া হয়। তড়িঘড়ি করে বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন করে। পরে বিএনপি সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। পরবর্তী সময়ে জুনে আরেকটি নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সরকার গঠন করতে গিয়ে জাতীয় পার্টি আর জাসদ (রব)-এর সমর্থন নিতে হয় আওয়ামী লীগকে। যে এরশাদকে দীর্ঘ আন্দোলনে ক্ষমতা থেকে হটানো হয়, সেই এরশাদের দলের সমর্থনেই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আসলেই রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। যদি থাকতো তাহলে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে তীব্র আন্দোলন ও বিএনপি সরকারের পতনের মূলে যে জামায়াত সেই জামায়াতকে নিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে জোট করতো না বিএনপি। আর ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতার অংশীদারও বানাতো না। আর এই জোটের কারণেই চারদলীয় জোটের অন্যতম শরিক হিসেবে জামায়াত পেয়েছিল বিএনপি’র সব ধরনের অনুকম্পা। শুধু তাই নয়, এরশাদের জাপাকেও আনা হয়েছিল এ জোটে। পল্টন ময়দানের অনশন কর্মসূচিতে একমঞ্চে ছিলেন খালেদা-এরশাদ। কিন্তু এ জোট ভেস্তে যায় ২০০১ সালের নির্বাচনের আগেই। ১/১১-এর আগে ঘোষিত নির্বাচনেও জাতীয় পার্টিকে জোটে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জোটে না আসায় এরশাদের মনোনয়ন পর্যন্ত বাতিল করা হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সে নির্বাচন হয়নি। ক্ষমতায় আসে ১/১১ সরকার। জোটের রাজনীতি করতে গিয়ে বিএনপি ফজলুল হক আমিনীর ইসলামী ঐক্যজোটকে দেয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। এই আমিনীর দলই এখন বিএনপি জোট থেকে অনেকটা দূরে। ২০০৬ সালের না হওয়া নির্বাচনের আগে এরশাদ যোগ দেন আওয়ামী লীগ জোটে। অন্যদিকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু যোগ দেন বিএনপি জোটে। অথচ এই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ বছর যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এখানেই শেষ নয়, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফের আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই বলেই হয়তো মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে ছাড়তে হয়েছিল নিজের হাতে গড়া আওয়ামী লীগ। অথচ ভাসানীই ছিলেন আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এক সময় বি. চৌধুরী বিএনপি’র দুই নম্বর ব্যক্তি ছিলেন। বেগম জিয়ার পরই দলে তার অবস্থান ছিল। আর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের জন্য কিনা করেছেন। দুই জনকেই দল থেকে বেরিয়ে যেতে হয় বেদনাদায়কভাবে। রাজনীতিতে শেষ কথা নেই বলেই হয়তো আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ঐকমত্যের ঘোষণা দিয়েছেন বাম ঘরানার জুনায়েদ সাকি ও সাইফুল হক।  এক সময় আওয়ামী লীগের ঘোর বিরোধী ছিল যারা আজ তারাই আওয়ামী লীগার। তেমনি আওয়ামী লীগের হয়ে সারাজীবন দলের জন্য কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিও এখন আওয়ামী লীগের বাইরে। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত। বিএনপি সরকারে একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এখন বিএনপি থেকে অনেক দূরে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এরশাদ সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত হয়েছিলেন। এরপর এরশাদের পতনের পর ভিড়েন বিএনপিতে। দেশের আরেক প্রখ্যাত রাজনীতিক মিজানুর রহমান চৌধুরী আওয়ামী লীগ থেকে এরশাদের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। হন প্রধানমন্ত্রীও। জীবনের শেষ বেলায় তিনিও ফিরে আসেন নিজ ঘর আওয়ামী লীগে। হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, মতিয়া চৌধুরী, লেনিনরা এক সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলেছেন। সেই মতিয়া চৌধুরী এক সময় যোগ দেন আওয়ামী লীগে। আর জোটের রাজনীতি করতে গিয়ে হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন আওয়ামী লীগ সরকারের দাপুটে মন্ত্রীও হন। রাজনীতিতে শেষ কথা নেই বলেই হয়তো আমরা এখনো আশাবাদী দেশের রাজনীতি নিয়ে। 

তিন.
হ্যাঁ। দেশবাসী আশাবাদী প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক সুরে কথা বলবে। সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আগামী নির্বাচন হবে জমজমাট। এর আগে সব দল মিলে সংকট মোকাবিলায় একটি পন্থা বের করবে। যে পথ দেখাবে আলোর রেখা। যে পথ দেখাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কৌশল। বিপরীতমুখী অবস্থান থেকে সরে আসবে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে এর সমাধান হবে। রাজনীতিতে শেষ কথা নেই বলেই এমনটা ভাবছে দেশবাসী। ইতিহাস অবশ্য সাক্ষী দেয়, সব কিছুরই শেষ আছে। দেশের রাজনীতির এ সংকটও শেষ হবে। রাজনীতিবিদরা অবশ্যই এ নিয়ে ভাববেন। এটা যত তাড়াতাড়ি হয় ততই মঙ্গল। আর তা না করে যদি সবাই নিজেরটা ভাবেন তাহলে দেশবাসীর আশা গুড়েবালিতে পরিণত হবে। ওই দুই প্রতিবেশীর মতো। এক প্রতিবেশী নারী তার পাশের বাড়িতে গেছেন। তাকে দেখে খুশি হলেন ওই প্রতিবেশী। দুইজনে মিলে অনেক কথা বললেন। এক পর্যায়ে একজন জিজ্ঞেস করলেন আপা, আপনার মেয়ে কেমন আছে শ্বশুরবাড়িতে? উত্তরে বললেন, আপা দোয়া করবেন। আমার মেয়ে খুব সুখী। জামাইটা এত ভালো যে, আমার মেয়ে যা বলে তাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি হ্যাপি মেয়ে জামাইকে নিয়ে। এবার ওই প্রতিবেশী জিজ্ঞেস করলেন, মেয়ের কথা শুনলাম। আপনার ছেলে, ছেলের বউ কেমন? আর বলবেন না আপা। ছেলেটাকে নিয়েই যত সমস্যা। একেবারে বউয়ের কথায় উঠে আর বসে। এমন মনোভাব যদি থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। সকল আশাই দুরাশায় পরিণত হবে। 

 

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status