শরীর ও মন
মলাশয়ের রোগ পাইলস সম্পর্কে সাধারণ ধারণা
ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল
৬ জুন ২০২২, সোমবারপায়ুপথ বা এনাল ক্যানালের ভেতরে যখন ফুলে গিয়ে ক্ষুদ্র বলের আকার ধারণ করে তখন তাকে পাইলস বলে। অবস্থানগত প্রকারভেদে পাইলস তিন প্রকারের হয়। যেমন-
১. ইন্টারনাল বা ভেতরে
২. এক্সটারনাল বা বাইরে
৩. ইন্টারো এক্সটারনাল বা ভেতর ও বহিরগত
ইন্টারনাল পাইলস
এর প্রধান লক্ষণ রক্তপড়া। সাধারণত ব্যথাহীন লাল টকটকে রক্তপাত এই রোগের লক্ষণ। এই পাইলস যখন বড় হয় তখন ভেতর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। একেবারে বের না হলে তাকে ১ ডিগ্রি পাইলস বলে। বের হয়ে নিজে নিজে ঢুকে গেলে তাকে ২ ডিগ্রি পাইলস বলে। আর বের হওয়ার পর নিজে নিজে ভেতরে না গেলে তাকে ৩ ডিগ্রি পাইলস বলে। আর যে পাইলস বের হয়ে থাকে, ঢুকিয়ে দিলেও আবার অল্প রূপে বা হাঁচি-কাশিতে বের হয়ে যায় তাকে ৪ ডিগ্রি পাইলস বলে। কখনো কখনো জটিলতা হলে এ ধরনের পাইলসে ব্যথাও হয়-
১. কিছু অসুখের কারণে পাইলস হয়ে থাকে।
ক. রেকটাল ক্যানসার
খ. গর্ভবতী মহিলা
গ. ক্রনিক, কষা পায়খানা
লক্ষণ
১. রক্ত ক্ষরণ
২. মিউকাস ক্ষরণ
৩. প্রোলাপস
৪. ব্যথা
৫. রক্তশূন্যতা
পরীক্ষা
১. ডিজিটাল রেকটাল পরীক্ষা- গ্লাভস পরে তর্জনি আঙ্গুল দিয়ে রেকটাম পরীক্ষা
২. প্রোকটোসকোপি
৩. সিগময়ডোসকোপি
জটিলতা
১. থ্রোম্বাস
২. পচন
৩. ঘা
একাধিক চিকিৎসা সমূহ
প্রাথমিক চিকিৎসা: মল নরম রাখতে হবে। মলত্যাগের সময় প্রেসার দেয়া যাবে না। মল নরম করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ও কিছু ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
অন্যান্য চিকিৎসা
১. ইনজেকশন
২. ব্যানডিং
৩. সার্জারি
৫. লঙ্গো বা কাটাবিহীন সার্জারি
এক্সটারনাল পাইলস:
পায়ুমুখে এই রোগের অবস্থান। এখানে যে চামড়া থাকে তার ভেতরে এই পাইলস অবস্থান করে। বাইরের দিকে ঝুলে থাকে।
কাদের: যারা শারীরিক পরিশ্রম করে, যেমন- ভারী ওজন উত্তোলন করে তাদের ওই স্থানে হঠাৎ করে রক্ত বাধে, যা খুবই বেদনাদায়ক।
জটিলতা
# রক্তপাত
# থ্রোম্বোসিস
# ইনফেকশন হতে পারে।
চিকিৎসা: প্রথমে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। ভালো না হলে সার্জারি করতে হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক (কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ), কলোরেক্টাল, লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
চেম্বার: ১৯ গ্রীন রোড, এ.কে কমপ্লেক্স, লিফট-৪, ঢাকা।
ফোন-০১৭১২৯৬৫০০৯।