চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩৫ বছর করা, আবেদন ফি ২০০ টাকায় নামিয়ে আনাসহ ৩ দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। গতকাল রাজধানীর শাহবাগে ৩ দফা আদায়ে শিক্ষার্থী সমাবেশের ডাক দেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা এতে যোগ দেন। সমাবেশে দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ৩০ ঊর্ধ্ব সার্টিফিকেট ছেঁড়ার আয়োজন করা হয়। শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শুরুতে জড়ো হলেও আন্দোলনকারীরা বেলা ১টার পর শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ ও এর আশপাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। রাত আটটার পর লাঠিচার্জ করে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।  

অবরোধপূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা চাকরির বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। সারা বাংলাদেশে অনেক আমলা, অনেক কূটনীতিক ও অনেক মন্ত্রী আছেন কিন্তু তারা আজ পর্যন্ত আমাদের এই দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে পারেননি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি তখন লাখ লাখ তরুণের হয়ে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চেষ্টা করেছিলেন। বিষয়টি ২০১৮ সালের প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছিল কিন্তু দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। যারা নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন কমিটিতে ছিলেন তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবগত করতে পারেননি। কিন্তু আমরা তরুণসমাজ দমে যাইনি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফুল হাসান শুভ।