ঢাকা, ১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

ভিসা স্যাংশন নীতি

কতোটা পাল্টাবে পরিস্থিতি

শুভ কিবরিয়া
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবারmzamin

বিরোধীরা বিশেষ করে বিএনপি’র জন্য এটা একটা উভয়মুখী চ্যালেঞ্জ। সহিংসতা অথবা চাপিয়ে দেয়া সহিংসতার অভিযোগ বিএনপি কতোটা মোকাবিলা করতে পারবে? সামনের দিনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবে, সেই সক্ষমতাকে তারা বাস্তবে কতোটা কাজে লাগাতে পারবে, সেটা একটা বড় বিষয়। তবে, মার্কিন এই নীতি ঘোষণা তাদের কর্মীদের যে মনোবল বাড়াবে তাতে কোনো ভুল নেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপি বাদ দিয়ে আমরা আমজনতার দৃষ্টিতে এখন বাংলাদেশকে দেখি। তাহলে দেখবো স্বাধীনতার ৫২ বছর পর একটা স্বাধীন দেশের নিয়তি হচ্ছে, আমেরিকার ভিসা-স্যাংশন নীতি অর্জন। দেশের সম্পদ-সার্বভৌমত্ব এখন আমেরিকার ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপরে অনেকটাই জিম্মি। ক্ষমতার পুরুষ্টু উপরিকাঠামো নিজের ও নিজের পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশকে বেচে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের সচিব, তার মাঠপ্রান্তের তরুণ সহকর্মীদের একটা ধন্যবাদপত্র পাঠিয়েছিলেন নিজের স্বাক্ষরে। সেই নির্বাচন কেমন হয়েছিল, তা এখনো মানুষের স্মৃতিতে আছে। তবে নির্বাচন কমিশনের সচিব ভদ্রলোক খুব খুশি, উৎফুল্ল ছিলেন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে। তার প্রভাব ছিল এই চিঠিতে।

বিজ্ঞাপন
ভদ্রলোক সিনিয়র সচিব হিসেবে রিটায়ার্ড করেছেন। সরকারের আনুকূল্যে কাজ করার প্রাইজ হিসাবে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য পদেও বসেছেন। প্রশাসনে যেসব জুনিয়র কর্মকর্তা এই নির্বাচনের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত ছিলেন বিশেষত ডিসি, ইউএনও, এসি ল্যান্ড-তাদের অনেকেই নির্বাচন কমিশনের সচিবের এই থ্যাঙ্কস লেটার নিয়ে চুপচাপ থাকলেও কেউ কেউ ছিলেন খুবই প্রচারমুখীন। আমাদের পরিচিত এক ছোট ভাই, ভালো অফিসার, কিন্তু এই চিঠি পাবার পর, তার ছোটবেলার রাজনীতির জিগির চাগা দিয়ে উঠলো ভীষণ। তিনি যে নির্বাচন কমিশনের সচিবের দলীয় আনুগত্যের পথের মানুষ সেটা জানান দিতে, ফেসবুকে তার আইডিতে সেই চিঠিকে ‘গৌরবের স্মারক’ হিসাবে টানিয়ে রেখেছিলেন বহুদিন। এই ছোট ভাই’র সঙ্গে দেখা নাই অনেককাল। তার খবরও রাখি না। ভেবেছিলাম চাকরিতে তার আয় উন্নতি হয়েছে নিশ্চয়। কিন্তু ক’দিন আগে খবর পেলাম ভদ্রলোকের পরের প্রমোশনটা ঠিকমতো হয় নাই। তার ব্যাচের অনেকের প্রমোশন হলেও তিনি প্রমোশন পান নাই। খবরটা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কেননা একজন জুনিয়র অফিসার, সামনে তার বিস্তর পথ বাকি। অথচ প্রথম জীবনেই হোঁচট খেয়ে গেল, দলীয় ক্যাডার হিসেবে গভীরতর আত্মপ্রকাশের পরও! আজ হঠাৎ সেই পরিচিত ছোটভাই’র মুখটা ভেসে উঠলো, আমেরিকার সাম্প্রতিক নতুন বাংলাদেশের মানুষের ভিসা নীতি ঘোষণার আওয়াজ শুনে। 

অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে ঘটলো। 
এক. আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এই নয়া ঘোষিত বাংলাদেশের জন্য ‘বিশেষ ভিসা নীতি’ টুইট করেন। অর্থাৎ তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দুনিয়াজোড়া জানালেন।
দুই. পরে এ বিষয়ে তার বিস্তারিত বিবৃতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। 
তিন. তারপরে আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের স্পোক্সম্যান বা মুখপাত্র ম্যাথু মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ‘অ্যানাউন্সমেন্ট অফ ভিসা পলিসি টু প্রমোট ডেমোক্রেটিক ইলেকশনস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি চালুর বিষয়টি তুলে ধরেন। এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। 

চার. তারপরই বাংলাদেশের চ্যানেল আই’র তৃতীয়মাত্রায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এসে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সেই ভিসা নীতি বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিলেন। এই বিষয়গুলো কোনোটাই কাকতালীয় নয়। খুবই যোগসূত্র মূলক এবং পূর্বপরিকল্পিতও বটে। এবং এ ঘটনাও জানানো হয় যে, মে মাসের ৩ তারিখে এটা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ গত ক’দিন ধরে, তাতে বোঝা যাচ্ছিল কোথাও তাল-লয় সুর কেটেছে। এটা এখন পরিষ্কার , আমেরিকার ভিসা-নীতি নিয়ে অবহিত সরকার, তার দল-কর্মীবাহিনী এবং দলঅনুগত সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে সাহসহারা করতে চায় নাই। কিন্তু মার্কিন পক্ষে এই প্রবলতর কায়দায় ভিসা-নীতি ঘোষণা ও ভিসা স্যাংশন বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতি জানিয়ে দেয়ার ফলে দল অনুগত বাহিনীর সাহস কি আগের মতোই থাকবে? মাঠপ্রান্তে দলের লোকজনের মনোবল কি আগের মতোই চাঙ্গা থাকবে? সেই আলোচনায় যাবার আগে আমরা এই ভিসা স্যাংশন বিষয়ে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গির নীতিগত দিকটা বোঝার চেষ্টা করি।

কেনো এই স্যাংশন?
আমেরিকার ভাষ্য হচ্ছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন এই ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের আমেরিকায় যাবার ভিসা দেবে না তারা।
কারা এই স্যাংশনের আওতায় পড়বে?

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত থাকছে। এমনকি, ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চাকে সহিংসতার মাধ্যমে বাধাদান যারা করবে তারা এর আওতায় আসবে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থাৎ অভিযুক্ত হওয়ার পরিসর প্রায় অসীম। ব্যাপারটা অনেকটা আমাদের দেশে নানা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করার মতো ব্যাপার। যখন যাকে দরকার হবে নানা অজুহাতে তাকে এর আওতায় এনে ফেলা যাবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে আমেরিকার ভিসা না পেলে কী হবে? এর দুটো দিক আছে। প্রথমত, আজ অবধি আমেরিকাই একমাত্র দেশ যেখানে সবাই যেতে চায়, থাকতে চায়। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, নিরাপত্তা বিবেচনায় এখনো সেটাই সেরা দেশ। সেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ডান-বাম নেতানেত্রী, সামরিক-বেসামরিক-বিচারিক আমলাতন্ত্রের পরিবারের কারা কারা আমেরিকায় থাকেন তাদের একটা তালিকা করলেই বোঝা যাবে। দ্বিতীয়ত, সকল প্রকারের ক্ষমতাবানদের অনেকেরই নানাভাবে অর্জিত সম্পত্তি আমেরিকায় আছে। এদের অনেকেরই পরের জেনারেশন ওখানেই থাকতে চায়। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য না হলেও, ক্ষমতাবানদের জন্য আমেরিকার ভিসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার ভিসা স্যাংকশনের নামে ওখানে রাখা সম্পত্তির ওপর স্যাংশন নাজির হলে অনেকেরই পরের জেনারেশন হাপিত্যেশ করে যাবে। এ ছাড়াও ভিসা নীতির কারণে বিপদে পড়তে পারে আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা, গবেষকরা, এনজিওবিদরা, সুশীল সমাজের অংশীজনরা, সামরিক-বেসামরিক এলিটরা, ব্যবসায়ীরা, রাজনীতিবিদরা। সুতরাং ভিসার ব্যাপারে আমেরিকা কট্টর হলে গজব নেমে আসবে পাওয়ারফুলদের জীবনে।

সরকার কী করবে?

সরকারের জন্য দুরকম পথ খোলা আছে। প্রথমত, মার্কিন এই অধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পপুলিস্ট আন্দোলন গড়ে তোলা। সম্ভবত সেই পজিশনে সরকার আর নাই। দীর্ঘদিনের ক্ষমতার অনেক নোংরা পলি জনগণের মন বিষিয়ে দিয়েছে। বাজারে গেলে তা বোঝা যায়। চাল-আটা-সব্জি-পিয়াজসহ সকল খাদ্যপণ্যের দাম সরকার জনমুখী রাখতে পারে নাই। সুশাসন-ন্যায়বিচার-সুনীতির প্রেক্ষিতে জনমনের হিসাব বাদই দিলাম। সরকারের জনভিত্তি ঠিক কতোটা জনপ্রিয় সেটা পুলিশ-প্রশাসনের ঘেরাটোপে বোঝা কঠিন। তাই আমেরিকাবিরোধী কোনো আন্দোলন লিড করলে সরকার তাদের কতোটা পাশে পাবে সে হিসাবে সন্দেহ আছে।

দ্বিতীয়ত, সরকার এটাকে সুযোগ হিসাবেও নিতে পারে। এই স্যাংশনকে উপলক্ষ্য করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করে তার মাধ্যমে জনরায় মেনে নিয়ে পরের ধাপে যাত্রা করা। অনেকে সেটাকে সেফ এক্সিটও বলতে চান। কিন্তু সন্দেহ হয়, যে সিস্টেম সরকার তৈরি করে রেখেছে, সেই সিস্টেমের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা আর আছে কিনা? চাইলেও এই মেশিনারি দিয়ে সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কিনা?

তৃতীয়ত, বিরোধীরা বিশেষ করে বিএনপি’র জন্য এটা একটা উভয়মুখী চ্যালেঞ্জ। সহিংসতা অথবা চাপিয়ে দেয়া সহিংসতার অভিযোগ বিএনপি কতোটা মোকাবিলা করতে পারবে? সামনের দিনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবে, সেই সক্ষমতাকে তারা বাস্তবে কতোটা কাজে লাগাতে পারবে, সেটা একটা বড় বিষয়। তবে, মার্কিন এই নীতি ঘোষণা তাদের কর্মীদের যে মনোবল বাড়াবে তাতে কোনো ভুল নেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপি বাদ দিয়ে আমরা আমজনতার দৃষ্টিতে এখন বাংলাদেশকে দেখি। তাহলে দেখবো স্বাধীনতার ৫২ বছর পর একটা স্বাধীন দেশের নিয়তি হচ্ছে, আমেরিকার ভিসা-স্যাংশন নীতি অর্জন। দেশের সম্পদ-সার্বভৌমত্ব এখন আমেরিকার ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপরে অনেকটাই জিম্মি। ক্ষমতার পুরুষ্টু উপরিকাঠামো নিজের ও নিজের পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশকে বেচে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আমাদের রাজনীতি, রাজনীতিবিদরা নিজেরাই এতটা দুষ্টুক্ষত অর্জন করেছে যে, এই রাষ্ট্রনৈতিক বিপদের দিনে জনগণকে পাশে পাবে না। কেননা, জনগণের কথা তারা ভাবে নাই। ভেবেছে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতাকে আঁকড়ে থাকার কথা। এক অর্থে বাংলাদেশের এখন গভীর অসুখ। আমেরিকান এই অজুহাত আমাদের বড় বিপদের কারণ হয়ে যেতে পারে। লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানের কথা ভুললে চলবে না। তাই দেশকে বাঁচাতে সকলকে সাবধান হতে হবে। এই স্যাংশন যদি আমাদের সতর্ক না করে, তাহলে আরও অনেকরকম বহুমাত্রিক আন্তঃরাষ্ট্রীয় স্বার্থের প্রতিযোগিতার বলি হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ। কাজেই সাধু সাবধান!! নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার ধনুপণ এখন ছাড়তে হবে ক্ষমতাবানদেরই।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাংবাদিক।

পাঠকের মতামত

একটা গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে এটা অথ্যাৎ স্যাংসন খুবই লজ্জা জনক। যা বাংলাদেশ জন্য আসলেই দুঃখজনক। তারপরেও বলতে হয় বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা খুব জঘন্যতম পযায়ে পৌছে গেছে, যেটা সাধারণ মানুষ হিসেবে কারও কাম্য নয়। ক্ষমতার জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজের স্বার্থে সংবিধান ও রাষ্ট্রকে ব্যবহার করছে, যা খুবই দুঃখজনক।

Juwel Rana
২৯ মে ২০২৩, সোমবার, ৬:৪২ পূর্বাহ্ন

আজ গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ নির্বাচনী ব্যবস্থাটা এমন ভাবেই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে যে, একটি দেশ কে সুষ্ঠু ও বাধাহীন নির্বাচন করতে একটি আমেরিকা কে তার ভিসা নীতি ঘোষণা করতে হয়।যা আমাদের নির্বাচন আয়োজকদের জন্য কতটুকু লজ্জার।এরপরও আমরা বেহায়ার মতো কথা বলছি।মার্কিন এই ভিসা নীতি ব্যক্তি স্যাংশের চেয়েও ভয়ংকর। এই ভিসানীতি যদি সরকারের আনুকুল্যে হতো তবে ৩ মে আমেরিকা সরকার কে অবহিত করার ৩সপ্তাহেও কেন তা প্রকাশ করা হলো না? বাধ্য হয়ে আমেরিকান সরকারই তা প্রকাশ করলো।প্রশ্ন হচ্ছে তাদের এই ভিসা নীতি"র শর্তগুলো তারা পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন করবে কি ভাবে? আর যে পাপীদের জন্য এটা প্রযোজ্য হবে তারা কি এর কর্ণপাত করবে?কারন দীর্ঘ ক্ষমতা মানুষ কে অন্ধ ও বিবেকহীন করে দেয়।

ইকবাল কবির
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই গণতন্ত্রের জন্য যতরকমের উৎকৃষ্ট বাবস্থা তা কেবল আওয়ামী লীগকেই করতে হবে।আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাহিরে থাকলে এসবের প্রয়োজন নাই।বিদেশিদেরও স্যাংশন দেওয়ার প্রয়োজন হয়না বা মনে করে না। তখন কেন জানি জ্ঞান দেওয়ার লোকের আঁকাল পড়ে যায়।আওয়ামী লীগ দলটার কপাল খারাপ ,যে যেরকম গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্যে দিয়ে দলটি যেতে চায় তার সিকি ভাগও যদি অন্য দল থেকে আসতো তাহলে আওয়ামী লীগ বর্তে যেতো গনতন্ন্ত্রও বর্তে যেতো। সর্বংসহা হয়ে কেবল আওয়ামী লীগকেই গণতন্ত্রের সকল সূচকের মান ধরে রাখতে হবে , ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক এই বোধটা কেন জানি অধিকাংশের।গণতন্ত্রের উৎকর্ষতা যে কেবল একপক্ষের নয় এটা বুঝেও না বোঝার ভান করা। আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল ভবের জগতের বাসিন্দা নয়।সেই স্বাধীনতার পর থেকে বামপন্থী মার ,সেপাইপন্থী মার, ধর্মপন্থী মার,বিদেশপন্থী মার খেতে খেতে গণতন্ত্রের নাজেহাল অবস্থা হলেও এই থেঁতলানো গণতন্ত্র টিকে আছে কিন্তু আওয়ামী লীগেরই জন্য। গণতন্ত্রের উৎকর্ষতা যে কেবল একপক্ষের নয় সকল দলের সকল মানুষের এটা যতো বুঝা যাবে ততই মজবুত হবে গণতন্ত্রের খুঁটি। তাই গণতন্ত্রের জন্য যথাযথ আচরণ সকলের কাম্য।

এম্রান
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

বহু দিন পর মেটাপরের খোলস থেকে বেরিয়ে এসে বিজ্ঞ অভিজ্ঞ রাজনীতি বিশ্লেষক নিবন্ধকার অনেকগুলি সরাসরি অতি গুরত্বপূর্ন কথা বলেছেন। যেমন চলমান সিস্টেমে কেন্দ্র ও মাঠ প্রশাসনের আগামী নির্বাচনে দল বা গোষ্ঠি নিরপেক্ষ হয়ে পরিচালনার সক্ষমতা আর অবশিষ্ট আছে কিনা ? এক কথায় নেই নেই নেই। পুরো পরিকাঠামো তাদের মৌলিক বৈশিষ্ট্য সেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বিষর্জন দিয়ে একটা দলের স্বার্থে নিজেদের নিবেদিত রেখেছেন । এমন মৌলিক ব্যতয় ও অসংগতি তুলে এলে জাতিকে আগামী দিনে সঠিক রাস্তায় ফেরৎ নিতে কার্যকর ভূমিক রাখবে যদি নীতি নির্ধারকগন এর গুরত্ব অনুধাবন করে সে মত ভয় শংকাহীন ভাবে কাজ করেন। তখন মার্কিন ভিসানীতি যত কঠোরই হোক অন্তত দেশের কোন ক্ষতি হবে না।

মোহাম্মদ হারুন আল রশ
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

রাজনৈতিক বক্তব্যের হালচাল এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মার্কিন ভিসা নীতি ------------------------------ ------------------------------ সেই ছেলে বেলার কথা। বাড়ির সদর দরজা ধরে খালের উপর দিয়ে সাঁকো পার হয়ে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের রাস্তায় ওঠে স্কুল, কলেজ, গ্রাম্য বাজার ও জেলা সদরে যেতে হতো। ভরা বর্ষায় বানের পানিতে খালি-বিল টইটুম্বুর হয়ে যেতো। খালের ওপরের সাঁকো থেকে আমরা প্রায়ই খালে লাফিয়ে পড়ে সাঁতার কেটেছি। কখনো পুকুর পাড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা আমা গাছের মগডালে ওঠে পুকুরের পানিতে লাফিয়ে পড়া আমাদের নিত্যদিনের আনন্দের খোরাক জোগাতো। আমরা একজন আরেকজনকে ঠেলা দিয়ে সাঁকো থেকে বা আম গাছের মগডাল থেকে পানিতে ফেলে দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতাম। আমরা সবাই কিশোর বয়সী ছিলাম। তাই একে অন্যকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিলেও কারোই কোনো ক্ষতি হতোনা এবং এতে কেউ কাউকে দোষারোপও করতোনা। একজনের ধাক্কা আরেকজন সামাল দেয়ার মতো হিম্মত সবারই ছিলো। আমরা কখনো মুরুব্বি বয়সের কাউকে সাঁকো থেকে ধাক্কা দেয়ার কথা কল্পনাও করতে পারিনি। তাছাড়া আমাদের ছেলে বেলায় মুরুব্বিদের সাথে বেয়াদবি বা অসৌজন্যমূলক আচরণের কথাও আমাদের কল্পনার অতীত ছিলো। আজকাল অবশ্য বয়োবৃদ্ধ কাউকে খরস্রোতা নদীতে ফেলে দেয়ার কথা নিছক রাজনৈতিক বলে মনে করা হয়। অনেকের রাজনৈতিক বক্তব্যকে খেলার ছলে উপেক্ষা করা হয়। আবার, অনেকের ওপর নেমে আসে অন্ধকার। মুখ ফসকেও অনেক সময় মানুষ অনেক কথা বলে। ধরলে বিরাট কিছু, না ধরলে কিছু না। সহনশীল সমাজের মানুষ বাত কি বাত মনে করে ওসব কথা উড়িয়ে দেয়, গায়ে মাখেনা। রাজনীতিবিদদের পরষ্পরকে আক্রমনাত্মক বক্তব্যও আগেকার দিনে তাঁরা আমলে নিতোনা। যেমন গোলাম মাওলা রনি লিখেছেন, "আমাদের দেশের ষাটের দশক-সত্তরের দশক-আশির দশক থেকে আজ অবদি বহু রাজনৈতিক হম্বিতম্বি বলে আসছে। আইয়ুব-ইয়াহিয়া-টিক্কা খানদের নিয়ে কার্টুন আঁকা অথবা তাদেরকে গালাগাল খিস্তিখেউরের জন্য যদি কাউকে পাকড়াও করা হতো তবে কিংবদন্তি চিত্রশিল্প পটুয়া কামরুল হাসানের নির্ঘাত ফাঁসি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও একই পরিণতি ভোগ করতে হতো। বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত ৭ মার্চের ভাষণের সেই তোলপাড় করা উক্তি- তোমাদেরকে ভাতে মারব- পানিতে মারব শব্দমালা পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরাচাররা কিভাবে হজম করেছিল তা হাল আমলের আওয়ামী লীগ নেতাদের ভেবে দেখা উচিত। পাকিস্তান জমানা বাদ দিয়ে আমরা যদি স্বাধীন বাংলাদেশের বাকশালী আমলের কথা চিন্তা করি তবে মতিয়া চৌধুরীর সেই বিখ্যাত উক্তি চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানানো এবং হাড্ডি দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর বাতচিত কিন্তু বাকশালীরা হজম করেছিল। (গোলাম মাওলা রনি, নয়া দিগন্ত ২৫ মে ২০২৩) তখনকার সময়টাই ছিলো পারষ্পরিক শ্রদ্ধার, পরমতসহিষ্ণুতার, মমতার ও ক্ষমাশীলতার। রাজনীতির সব কথা যদি ধরা হয় তাহলে রাজনীতি বন্ধ হয়ে যায়। বিএনপির ২০২২ সালের বিভাগীয় মহাসমাবেশের শেষ আয়োজন ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশের আগে আমান উল্লাহ আমান যখন বললেন ১০ ডিসেম্বরের পরে দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায় তখন রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছিলো। সেই বক্তব্যের সূত্র ধরে বিএনপির অফিসে তল্লাশি ও গ্রেপ্তার এবং সমাবেশের স্থান সরে যায় গোলাপ বাগ মাঠে। পরে দেখা যায় আমানের বক্তব্য নিছক রাজনৈতিক ছিলো। এধরণের রাজনৈতিক বক্তব্য কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে বেশ কার্যকর। কিন্তু, রাজনৈতিক ভাষা শালীন ও পরমতসহিষ্ণু হওয়া উচিত। যাতে কারো কথা কারো সম্মানে গিয়ে আঘাত না করে। আবার মুখ ফসকে বেরিয়ে আসা অনিচ্ছাকৃত কথা- যা নাকি রাজনৈতিক বক্তব্য- তা গায়ে মাখলে রাজনীতি চলেনা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাতে মারব পানিতে মারব বক্তৃতার পরে দেখতে হবে আসলেই কি তিনি পাকিস্তানিদের ভাতে ও পানিতে মেরে ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কিনা। না, তিনি সেরকম কোনো উদ্যোগ বাস্তবে গ্রহণ করার প্রমাণ নেই। তা-ই বুঝতে হবে এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। তেমনি কারো ক্ষমতার কবর রচনা করা বললে তাও প্রাণহানী বুঝায়না। চামড়া দিয়ে ডুগডুগি তৈরি করে ও হাড্ডি দিয়ে সেই ডুগডুগি বাজানোর মধ্যে ধৃষ্টতা থাকলেও বঙ্গবন্ধুর মতো বড়ো মাপের মানুষ বলেই তা সহজেই হজম করে নিয়েছেন। আজকাল রাজনৈতিক বক্তব্য হজম করার মতো রাজনীতিবিদ ক’জনই বা পাওয়া যাবে! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'হত্যার হুমকি' দেয়ার অভিযোগে বিএনপির রাজশাহী জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চামড়া দিয়ে ডুগডুগি তৈরি এবং হাড্ডি দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে তা করতে দেখা যায়নি। তার মানে কথাটি রাজনৈতিক বক্তব্য। তেমনি কবরে পাঠানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে তা করার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি, তাই ধরে নেয়া যায় কথাটা নিছক রাজনৈতিক ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। দু:খের বিষয় হচ্ছে আজকাল রাজনীতিকদের রাজনৈতিক কথা হজম করার শক্তি ও সাহস শূন্যের কোঠায়। এদিকে বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে- তাঁরা সমাজের সরকারি বেসরকারি যে পর্যায়েরই হোকনা কেন, তাদের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি মার্কিন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে। এমতাবস্থায় ধরে নেয়া যায় বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে জনগণ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাঁধার সম্মুখীন হবেনা বা জনগণের ভোট ছাড়া সরকার গঠনও আগামীতে হবেনা। তবে জনগণের জন্য দু:খজনক ব্যাপার হচ্ছে, রাজনীতিবিদরা জনগণের সাথে কৃত অঙ্গীকার সবসময় রক্ষা করতে দেখা যায়না। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে অতীতে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার কোনটাই গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু হয়নি। সেজন্যই নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে আবার বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এখন মার্কিন ভিসা নীতির ফলে গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য আবারো নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠবে। প্রকৃতপক্ষে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রাজনীতিবিদরা সত্যিই যদি আন্তরিক হয় তাহলে এই পদক্ষেপগুলো অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। ১. পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। ২. শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের বক্তব্য অনুযায়ী ব্যবসায়ী ও মন্ত্রীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। ৩. বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমাতে হবে। ৪. গুম হওয়া মানুষদের তাদের স্বজনদের কাছে ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. রাজনৈতিক নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। ৬. রাজনীতিতে সহনশীলতার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে। ৭. আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার বাস্তবসম্মত ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ৮. সকল আলেম-ওলামা এবং সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি দিতে হবে। ৯. বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তির এবং যথোপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও আলেমদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেজন্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে এবং রাজনৈতিক সভাসমাবেশ ও ওয়াজ মাহফিল বা তাফসিরুল কুরআন মাহফিল নির্বিঘ্নে করতে দিতে হবে। অর্থাৎ, সভাসমাবেশ ও সকলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে। ১১. কুরআনের যে সকল মুফাসসির দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং যারা জেলে বন্দী তাদের পুনরায় ওয়াজ মাহফিলে ফিরিয়ে এনে তাদের অনুসারীদের ক্ষোভ নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ১২. সর্বোপরি, নির্বাচন কালীন নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে বাধাহীনভাবে। ১৩. নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য দমনপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ১৪. রাজনীতির মাঠে 'খেলা হবে' ধরনের উগ্র আচরণের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে এবং পরমতসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

আবুল কাসেম
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৬ অপরাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

বেহুদা প্যাঁচাল/ বিএনপিতে এত বিশ্বাসঘাতক!

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status