শেষের পাতা
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বৃটেনের উদ্বেগ
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৪ মে ২০২৩, রবিবার
বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন বৃটেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বাংলাদেশ দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশটির ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান ম্যারি ট্রিভেলিয়ান, এমপি ওই উদ্বেগের কথা জানান। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বেগম খালেদা জিয়ার বন্দি-জীবন বিশেষত তার চিকিৎসা বিষয়ে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে গত ১৪ই মার্চ বার্মিংহামের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান নিউ হোপ গ্লোবাল চেয়ারম্যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন এমবিই একটি চিঠি লিখেছিলেন। প্রায় দু’মাস পর (১২ই মে) বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ট্রিভেলিয়ান ওই চিঠির জবাব দেন। মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীনকে অ্যাড্রেস করে লেখা ওই জবাব চিঠিতে বৃটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ট্রিভেলিয়ান বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে গত ১৪ই মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরাবর আপনার পত্রের জন্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি আপনার চিঠির জবাব দিচ্ছি। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্টে বৃটেন বরাবরের মতো উদ্বিগ্ন। দেশটিতে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে আচরণসহ মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগগুলো আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে উত্থাপন করে চলেছি। পাবলিক এবং প্রাইভেট উভয় ফর্মে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরবো। আমরা আশা করবো বেগম খালেদা জিয়াসহ আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে মানবাধিকারের প্রতি বাংলাদেশের যে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার তা মেনে চলবে। বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়ার অখ-তা এবং স্বাধীনতা বিষয়ে আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত রয়েছি।
পাঠকের মতামত
ব্রিটিশ মন্ত্রী খালেদা জিয়ার মানবাধিকারের কথা বলেছেন , আর তাঁর বিরুদ্ধে যে অর্থ কেলেঙ্কারির মামলা এবং সাজা দেয়া দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় । ওই টাকা বেগম জিয়া ভোগ করেন নি বা বিদ্বেষেও পাচার করেন নি , অন্য একটি একাউন্টে এফ ডি আর করে রেখেছেন ,যা এখন সুদে মুলে দশ লাখ টাকা হয়েছে এবং সুযোগ পেলে ওই টাকা তিনি জিয়া অরফানেজের কাজে ব্যবহার করবেন ।।
রক্তের দোষ। ব্রিটিশরা কখনও আমাদেরকে স্বাধীন সত্তা হিসেবে মনে করে না। তারা মনে করে আমরা তাদের চাকর বাকর, কামলা।
ভাল কথা বৃটেন এর প্রতিমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন । উনি কি জানেন না যে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের প্রচলিত আইনের দ্বারা দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত দন্ডিত । আমি ঐ প্রতিমন্ত্রী বন্ধুকে বলতে চাই হে বন্ধু আপনার দেশে আমাদের একজন দন্ডিত আসামি রয়েছে তাকে কেন আপনার দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। জানেন না বুঝি আপনাদের দেশে থেকে আমাদের দেশে ষড়যন্ত্র এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটা কেন দেখছেন না। দেখলে সবটাই দেখেন নইলে চুপচাপ থাকিয়েন তাতে আপনিও ভাল আমরাও ভাল।
ব্রিটিশরা ভুলে গেছে এই ভারত উপমহাদেশে তাদের ১৯০ বছ রের
মন্তব্য করুন
শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]