স্টার্লিংয়ের ব্যাটে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো আয়ারল্যান্ড

টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগ মুহূর্তে আসে আচমকা ঘোষণা। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে বিশ্রামে পাঠিয়ে নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয় পল স্টার্লিংয়ের হাতে। আর ‘ছোট’ দলের বড় তারকা স্টার্লিং সিরিজের শেষ ম্যাচে তুললেন ব্যাটে ঝড়। এতে দাপুটে জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করলো আইরিশরা। এড়ালো হোয়াইটওয়াশ। গতকাল চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পায় আয়ারল্যান্ড।  জহুর আহেমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২৫ রান তাড়া করে ৩৬ বল বাকি রেখেই জয় তুলে নেয় সফরকারিরা।  ব্যাট হাতে ৪১ বলে ৭৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন স্টার্লিং। ১০ চার ও ৪টি ছয়ের মারে নিজের ইনিংস সাজান আইরিশ অধিনায়ক। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ১২৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার ২২তম ফিফটি।

চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম দুই ম্যাচে ২’শ ছাড়ানো ইনিংসের পর দলের ব্যাটার ছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসেই কিনা ৬১ রান তুলতেই বাংলাদেশ দল হারায় ৭ উইকেট। শেষ পর্যন্ত শামীম পাটোয়ারির ফিফটিতে মান বাঁচে দলের। সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ১২৪ রান। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৬ ওভার বাকি থাকতেই চলতি বাংলাদেশে সফরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নেয় আইরিশরা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পল স্টার্লিং ব্যাটে ঝড় তোলেন। তবে আরেক ওপেনার রস অ্যাডায়ারকে ৭ রানে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। এরপর শরীফুল ইসলাম ৪ রান করা লোরকান টাকারকে দেখান সাজঘরের পথ। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪২ বলে ৬৮ রান তুলে দলের বিপদ হতে দেননি আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টর। ৩১ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন স্টার্লিং। অবশেষে স্টার্লিং অভিষিক্ত লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে আউট হন। তার আগে দলকে দেখিয়ে যান জয়ের পথ।  তার বিদায়ের পর হ্যারি টেক্টর ১৪ ও কার্টিস ক্যাম্ফার ১৬ রানে অপরাজিত থেকে আয়ারল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন। ব্যাটিংয়ের পর বাংলাদেশ দেখিয়েছে বাজে বোলিংয়ের নমুনাও। বিশেষ করে সিরিজে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পাওয়া পেসার শরিফুল ইসলাম ছিলেন দারুণ ব্যর্থ। তার ওভারেই ছক্কার পর টানা তিনটি চার মারেন পল স্টার্লিং। শরিফুল ইসলামের এক ওভারে ২০ রান তুলে ম্যাচ পুরোপুরি মুঠোয় নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক।