শেষের পাতা
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে নেতৃত্ব দেবে বেসরকারি খাত- ডিসিসিআই
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৮ মে ২০২২, শনিবারবাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসার কোনো সীমানা নেই। তাই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য উভয় দেশের বেসরকারি খাতকে নেতৃত্ব দিতে হবে। বর্তমানে দু’দেশের ১০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য পর্যাপ্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমান।
বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় আইসিসি সদর দপ্তরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স (ডিসিসি) এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) একটি ইন্টারেক্টিভ ব্যবসায়িক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অরূপ রায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন সহযোগিতার নির্বাহী পরিচালক পি কমলাকান্ত এবং কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।
ডিসিসিআইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে রিজওয়ান রহমান বলেন, ‘দু’দেশের মধ্যে ব্যবসার কোনো সীমানা নেই। কিন্তু চলমান প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, আইটি এবং আর্থিক প্রযুক্তি শিল্পে বাণিজ্যের বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে কলকাতা ও বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তবে, ব্যবসার জন্য নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ-ভারত সংযোগ সেতুর মতো কাজ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে দু’দেশের স্থলবন্দরগুলো আরও উন্নত করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভালো বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগের জন্য পারস্পরিক আলোচনার ওপর জোর দিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে কিছু নীতি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) সভাপতি প্রদীপ সুরেকা বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যে অর্থনৈতিক, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে তা বলার প্রয়োজন হয় না। তাই উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার জন্য কাজ করেছি।
চার্নক হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত শর্মা বলেন, বাংলাদেশ আজ ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক খাতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছাড়িয়ে যায়।
বর্তমানে ৩৫০টির বেশি ভারতীয় স্বনামধন্য কোম্পানি বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) করেছে এবং বাংলাদেশের ইকোনমিক জোনের পুরোপুরি কাজ শেষ হওয়ার পরে বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।