দেশ বিদেশ
তামাক নিয়ন্ত্রণে তামাক কোম্পানির অর্থায়ন!
স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) ২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৮:৪১ অপরাহ্ন

বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ফিলিপ মরিস (পিএমআই) এর অর্থপুষ্ট ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক-ফ্রি ওয়ার্ল্ড (এফএসএফডব্লিউ) এর সহায়তায় ধূমপানের ক্ষতি হ্রাসে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশন (বিবিএম)। সংগঠনটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামকে সাথে নিয়ে তামাক আসক্তি মুক্তি (টোব্যাকো সিসেশন) বিষয়ে আগামী ২৭শে মার্চ ২০২৩ একটি ওয়ার্কশপ আয়োজনেরও উদ্যোগ নিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরকে ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক-ফ্রি ওয়ার্ল্ড এর কার্যক্রমে সহায়তা না করতে এবং এই ওয়ার্কশপটি বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, পিএমআই এর অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ‘ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক-ফ্রি ওয়ার্ল্ড’ এর নানা তৎপরতা জনস্বাস্থ্য এবং তামাকবিরোধী কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এফএসএফডব্লিউ মূলত ই-সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের ভ্যাপিং পণ্যের ব্যবহার ও বাজারজাতকরণকে উৎসাহিত করে থাকে। একারণেই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পরপই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, তামাক কোম্পানির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের সুস্পষ্ট স্বার্থ সংঘাত রয়েছে। এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ফাউন্ডেশনের সব ধরনের সহযোগিতা কিংবা যৌথ উদ্যোগ প্রত্যাহার করবে। সরকার এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই নীতি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও ডব্লিউএইচও এফসিটিসি সেক্রেটারিয়েট এক পৃথক বিবৃতিতে বলে, ‘তামাক কোম্পানির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যেকোন সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড হবে এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
উদ্বেগের বিষয় হলো, বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশেও সংগঠনটির তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতসহ বেশকিছু দেশ ‘ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক-ফ্রি ওয়ার্ল্ড’ এর বিতর্কিত কার্যক্রম প্রতিহত করতে সরকারিভাবে সংগঠনটির সাথে কাজ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও বাংলাদেশে এ ধরনের কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি। এফসিটিসি এর স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও উচিত হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী বিতর্কিত এই সংগঠনটির সাথে সম্পৃক্ত না হওয়া এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা। একইসাথে বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশন (বিবিএম)সহ সকল বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের উচিত হবে জনস্বাস্থ্যবিরোধী এধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত না করা।