সুতাং নদীতে বাঁধ দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সুতাং নদীতে অভিনব কায়দায় বাঁধ দিয়ে নদীর পানি প্রবাহ অন্যদিকে প্রবাহিত করে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের রজব আলী এবং তার ছেলে নুর ইসলাম মিলে ওই নদী ও কৃষি জমির সিলিকা বালু ও মাটি করে। ওই বালু সাহেব আলীর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শানখলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সন্নিকটে মহিমউরা গ্রামের সংলগ্ন সুতাং নদীতে এ ঘটনা ঘটে।  সরজমিন দেখা যায়, নদীর পূর্ব দিকে একটি খাল খনন করে এটিকে অন্যদিকে ছোট ড্রেনের আকারে প্রবাহিত করা হয়েছে। নদীর বাঁকের মধ্যবর্তী কয়েক একর কৃষি জমি ও নদী থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে ২০ থেকে ৩০ ফুট গভীর গর্ত করে লাখ লাখ ঘনফুট সিলিকা বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এ নদীতে ঢল নামলে গর্তগুলো পুনরায় সিলিকা বালুতে ভরাট হয়ে যায়। এরপর আবার বালু উত্তোলন করা হয়। এভাবে কয়েক বছর ধরে এ স্থান থেকে সিলিকা বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে প্রভাবশালী ওই চক্রটি। এলাকার লোকজন জানান, তারা প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় এদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না কেউ।

এর আগে স্থানীয় তহশিলদারকে জানালেও এ ঘটনা বন্ধ করা হয়নি। এদিকে সুতাং নদীর উজান অংশের একাধিক স্থানে এভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে বালু ও মাটি উত্তোলন করায় নদীতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ ও লাখাই উপজেলার কৃষকরা পানি বঞ্চিত হয়ে জমিতে পানি সেচ দিতে পারছেন না। ধানসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে রজব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নদীর মাঝখানে বাঁধ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান এখান থেকে মাটি ও বালু তিনি সাহেব আলীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। সাহেব আলী জানান, তার মাধ্যমে ইটভাটার কাছে মাটি বিক্রি করছেন রজব আলী। এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধান্ত ভৌমিক জানান, সাত-আট মাস পূর্বে ওখানে অভিযান পরিচালনা করে মাটি ও বালু উত্তোলন করার দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছিল। আবারো ওখানে এ ধরনের কাজ হচ্ছে বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আবারো অভিযান চালানো হবে।