শেষের পাতা
প্রবাসী ও রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ মে ২০২২, শুক্রবারদেশে আমদানি ব্যয় বাড়ায় বাড়ছে ডলারের চাহিদা। সংকট তৈরি হওয়ায় বাড়ছে ডলারের দাম, বিপরীতে কমছে টাকার মান। এ নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে চলছে ব্যাপক অস্থিরতা। অনেক চেষ্টা করেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি মে মাসের মধ্যেই তৃতীয় বারের মতো ডলারের দর নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে এবার প্রবাসী ও রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে কোনো ব্যাংক বেশি দাম দিয়ে বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করতে পারবে না। পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের নিজ ব্যাংকের মাধ্যমে বিল নগদায়ন করতে হবে। ব্যাংকগুলো মিলে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। ফলে এখন থেকে ডলারের বেঁধে দেয়া দামে আসবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়।
বৃহস্পতিবার ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস এসোসিয়েশন (বাফেদা)’র সঙ্গে সভা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এবিবি’র চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন ও বাফেদা’র চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধানসহ দুই কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিয়মিত ভিত্তিতে যে ডলার বিক্রি হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকবে। রপ্তানিকারকদের নিজ ব্যাংকে ডলার নগদায়ন করতে হবে। বাফেদা ও এবিবি ডলারের একটি মূল্য নির্ধারণ করে দেবে, যা মেনে চলবে সব ব্যাংক। এই দামেই প্রবাসী আয় আনতে হবে।
সম্প্রতি ডলারের বিপরীতে টাকার মান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কমে যায়। সর্বশেষ ডলার প্রতি ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ব্যাংকগুলো ৯৫ থেকে ১০০ টাকার নিচে বিক্রি করছে না। আর খোলাবাজারে ডলারের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন। রেমিট্যান্স সংগ্রহে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। গত ১৭ই মে বাড়তে বাড়তে ১০৪ টাকা পর্যন্ত উঠে ডলারের দাম।