কলকাতা কথকতা
সমলিঙ্গের বিয়েতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ভিন্নমত, মামলা গেল বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চে
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(১ সপ্তাহ আগে) ১৪ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫৭ অপরাহ্ন

লেজিসলেশন না জুডিশিয়ারি-কারা ঠিক করবে দেশ কিভাবে চলবে। এই মহাবিতর্কের মাঝেই সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে আবার মতপার্থক্য হলো ভারত সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের। তাই ভারতে সমলিঙ্গের বিয়ে আইনি স্বীকৃতি পাবে কি-না সেই মামলা ঝুলেই থাকলো। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুর, পিএস নরসিংহাম এবং জেবি পারদিওয়ালা মামলাটি পাঠিয়েছেন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে। পাশাপাশি এই প্রশ্নও উঠে গেছে যে, সমাজ সংস্কারের এত বড় একটি বিষয়ের নিষ্পত্তি কেন মাত্র পাঁচজন বিচারকের হাতে থাকবে? কেন পার্লামেন্ট এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে না? ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আবার কেন্দ্রীয় সরকারের সমলিঙ্গের বিয়ের ব্যাপারে আপত্তির কথা জানিয়ে বলেন, দেশের ভারসাম্য এতে নষ্ট হবে। সামাজিক সংস্কার ধাক্কা খাবে। দত্তক নেয়া সংক্রান্ত আইন আমূল পাল্টে ফেলতে হবে। বিচারপতি চন্দ্রচুর সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে একমত না হয়ে বলেন, সমলিঙ্গে বিয়েতে দত্তক নেয়া সন্তান এলজিবিটিকিউ হবেই এমন নিশ্চয়তা নেই। এই বিয়ের ফলে জন্ম নেয়া শিশুর এলজিবিটিকিউ হওয়ার কোনও নিশ্চয়তা নেই। সুতরাং আশংকারও কোনও কারণ নেই।
পাঠকের মতামত
ভারতের প্রধান বিচারপতি দ্বায়িত্বটা নিজেদের কাদে না নিয়ে সংসদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ ভবিষ্যতে সমাজের অবক্ষয়ের শুরুটা এই আইন দিয়ে হলে এবং তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তখন সুপ্রিম কোর্টের উপর দায় চাপাবে। এখন রাজনৈতিক নেতারাই সিদ্ধান্ত নিক সমাজ অবক্ষয়ের দ্বার উম্মোচনের বিষয়টি সংবিধানে সংযুক্ত হবে কিনা। আর আমাদের দেশের বিচারপতিরা মুখিয়ে থাকেন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারকে উপহার স্বরুপ তত্ববধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের মত সিদ্ধান্ত দিয়ে নিজের বাহাদুরী প্রমাণ করতে। এবং রাজনৈতিতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে। তারা নিজের ক্ষণকালের লাভকেই বেশী দেখে, হোক গণতন্ত্রের কবর রচনা।