শেষের পাতা
যে কারণে নবীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে
২৪ মে ২০২২, মঙ্গলবারনবীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী দলীয় পদবি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। ২১শে মে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদকের নিকট লিখিতভাবে দলীয় পদবি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। গত শুক্রবার হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় দুই এমপির বাক-বিতণ্ডার ঘটনা মোবাইলে ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়লে নবীগঞ্জ আওয়ামী লীগে তোলপাড় হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হন সাইফুল জাহান চৌধুরী। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে তাকে তলব করে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এরই প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী।
লিখিত পদত্যাগ ও আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানায়, সমঝোতার ভিত্তিতে কাউন্সিলবিহীন উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ১১৭টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিদ্রোহ দেখা দেয়। গত ইউপি নির্বাচনে সাইফুলের সহোদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থী হন। তার পক্ষে মাঠে সরব হন সাইফুল জাহান চৌধুরী। এ ঘটনায় তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ।
দলীয় তদন্তে সত্যতা পেয়ে তৃণমূল কাউন্সিল স্থগিতের নির্দেশ দেন সিলেট বিভাগ আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় কাউন্সিলবিহীন কমিটি গঠন স্থগিত হয়। তৃণমূল কাউন্সিল নিয়ে বিরোধ, সাংগঠনিক নির্দেশনা, বিদ্রোহী প্রার্থী ও এর মদতদাতাদের বিষয়ে ১৯শে মে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট আবু জাহির এমপি ও স্থানীয় এমপি শাহনেওয়াজ গাজী মিলাদ এমপির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ ঘটনা মোবাইলে ধারণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী। একপর্যায়ে ওই ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হন সাইফুল জাহান চৌধুরী। তাকে তলব করে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এরই প্রেক্ষিতে ২১শে মে দলীয় পদবি থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তিনি।
সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন, এই ঘটনা অবশ্যই দলের শৃঙ্খলা বিরোধী। অসতর্কতার জন্য তার মোবাইল থেকে জনৈক যুবলীগ নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এছাড়াও পদত্যাগপত্রে তিনি তার এবং পরিবারের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহনেওয়াজ গাজী মিলাদকে অভিযুক্ত করেন।