শেষের পাতা
আইএমএফ অর্থ না দিলে দেউলিয়া হতে পারে পাকিস্তানও
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ মে ২০২২, মঙ্গলবারআইএমএফের কাছ থেকে বিপদ উদ্ধারের কর্মসূচিতে যদি অর্থ না পায় তাহলে দেউলিয়া হতে পারে পাকিস্তান। কারণ, সেখানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় সেখানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। এ নিয়ে সরকার কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এর মধ্যে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান সুদের হার বাড়িয়েছে গতকাল। বৃদ্ধি পেয়ে সুদের হার দাঁড়িয়েছে এখন শতকরা ১৩.৭৫ ভাগ। ডলারের দাম বেড়ে গেছে এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। গতকাল ১ ডলার বিক্রি হচ্ছিল ২০০.৯৩ রুপিতে। সঙ্গে আছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। গতকাল এসব কথা লিখেছে অনলাইন জিও নিউজ।
বিজ্ঞাপন
ওই বৈঠকে সরকার দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওদিকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা করতে কাতারের দোহা’র উদ্দেশ্যে পাকিস্তান ত্যাগ করেছেন অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। ফলে অর্থনীতিতে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে কয়েকদিনের মধ্যে। জিও নিউজ লিখেছে, আগাম নির্বাচন দেয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ আছে ক্ষমতা হারানো পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দল থেকে। তার মধ্যেই ক্ষমতাসীন জোটের প্রধানরা রোববার রাতের ওই বৈঠকে জড়ো হন। পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ইসলামাবাদমুখী লংমার্চের ঘোষণা দেয়ার পর দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিয়ে এতে আলোচনা হয়। এর আগে প্রথম এমন আলোচনা হয়েছিল গত সপ্তাহে। তাতে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পিডিএম প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান, পিএমএলকিউয়ের প্রেসিডেন্ট চৌধুরী সুজ্জাত, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও পিএমএলএনের অন্য মন্ত্রীরা।
পিটিআই যদি র্যালি শেষে ফিরে যেতে চায় তাহলে তাদের লংমার্চে সরকার অনুমোদন দেবে বলে বলা হয়েছে। কিন্তু যদি পিটিআই অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সিস্টেমকে প্যারালাইজড করে দিতে চায়, তাহলে তা বন্ধ করতে আইনগত দিকে অগ্রসর হবে সরকার। ওদিকে রোববার ইমরান খান তার ‘আজাদি মার্চ’ নামের লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, ২৫শে মে হবে এই লংমার্চ। এ সময়ে তিনি সেনাবাহিনীকে তাদের প্রতিশ্রুত নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আইএমএফের কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে কিছু শর্ত দিয়েছে তারা। তার মধ্যে অন্যতম হলো- পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যে ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হবে। যদি এই ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হয় তাহলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে। তা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন দলগুলো এ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করছে। কারণ, এর উচ্চ রাজনৈতিক মূল্য আছে। ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হলে এর প্রভাব পড়বে সরাসরি জনগণের ওপর। তাতে চাপ বাড়বে সরকারের কাঁধে। অল্প কয়েকদিন আগে ক্ষমতায় আসা জোট সরকারের দিক থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। এ অবস্থায় অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সব পক্ষের সমর্থন প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকার। রাজধানী ইসলামাবাদে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে, যদি কয়েকদিনের মধ্যে এমন সমর্থন পাওয়া না যায়, তাহলে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে।