বিশ্বজমিন
ভূমিকম্প: হিম ঠাণ্ডায় উদ্ধার তৎপরতায় বিঘ্ন
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সোমবার, ৬:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
ভূমিকম্প কবলিত তুরস্কের গাজিয়ানতেপের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের কিলিসের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি। ওসমানিয়ার তাপমাত্রা মাইনাস ২ ডিগ্রি। সিরিয়ার তাপমাত্রাও এর কাছাকাছি। সঙ্গে আছে তুষারপাত, বৃষ্টি। ফলে সোমবার ভূমিকম্পের পর যারা বেঁচে আছেন, তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হিমশীতল পরিবেশে উদ্ধার তৎপরতাও বিঘিœত হচ্ছিল। এ অবস্থায় তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই বলেছেন, চরমভাবাপন্ন পরিবেশের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ লড়াই করছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা দুর্গতদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। ইস্তাম্বুল থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক সিনেম কোসেওগলু বলছেন, শীতের এই ভয়াবহ ঠাণ্ডায় সেখানকার পরিস্থিতিকে মারাত্মক জটিল করে তুলেছে।
তুরস্কের দিয়ারবাকির শহরে উদ্ধারকারীদের দেখা গেছে টিভির ইমেজে। তাতে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক উদ্ধারকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবক ধ্বংসস্তূপের ভিতর উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের পরনে জ্যাকেট। তুষারপাত হওয়ার কারণে পরেছেন ‘ফেস স্কার্ফ’।
ওদিকে লেবাননের বৈরুত থেকে সাংবাদিক জেইনা খোদর বলেন, তীব্র শক্তিশালী ঝড় আঘাত করেছে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে। তিনি বলেন, ভয়ানক ঠাণ্ডা। বহু মানুষ বাড়িঘর হারিয়েছেন। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে। ফলে বিষয়টি সহজেই সমাধান হওয়ার নয়। সিরিয়ার ইদলিব থেকে আলা নাফি চরমভাবে ভয়াবহ ও আতঙ্কসৃষ্টিকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন এই ভূমিকম্পকে। তিনি বলেন, ঘুম থেকে জেগে রাতের বেলা পুরো বাড়ি দুলতে দেখে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা কমপক্ষে ৪০ বছর এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়নি। একদিকে রাত, তার ওপর ভূমিকম্পে দুলছে বাড়ি। ফলে এসব মানুষের ঘরের বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না বললেই চলে। মানুষ বাচ্চাদের কোলে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। গাজিয়ানতেপ থেকে সাংবাদিক আহমেদ আল খতিব বলেন, অসহায় মানুষকে আশ্রয় দিতে অনেক মসজিদ তাদের দরজা খুলে দিয়েছে। একের পর এক ভূমিকম্পের কারণে ভবনের ভিতরে মানুষ নিজেদেরকে আর নিরাপদ মনে করছে না। পুরো রাস্তা ভরে গেছে গাড়িতে। মানুষ বসে আছে তার ভিতর। বিষয়টি এক ভৌতিক দৃশ্যের মতো।