শিক্ষাঙ্গন
সাইড চাওয়ায় সিনিয়রকে চড় মারলো ইবি ছাত্রলীগ কর্মী
ইবি প্রতিনিধি
(১ মাস আগে) ২৩ মে ২০২২, সোমবার, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

সাইকেল নিয়ে হলে প্রবেশের সময় সাইড চাওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক জুনিয়র কর্মীর বিরুদ্ধে সিনিয়রকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ফারহান লাবীব ধ্রুব বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শনিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল গেটে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাদরিল হাসান হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, সাদরিল বাইসাইকেল নিয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের রিডিং রুমে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঐ হলের ছাত্রলীগ কর্মী ধ্রুবসহ কয়েকজন হল গেটে দাঁড়িয়ে থাকায় তাদের সরে দাঁড়াতে বলেন সাদরিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদরিলের গালে চড় মারেন ধ্রুব। এসময় সাদরিলও তাকে মারতে উদ্যত হলে পাশে থাকা ছাত্ররা তাদের থামান। পরে ধ্রুব তার বন্ধুদের ডেকে এনে আরো একধাপে সাদরিলকে মারতে উদ্যত হন বলে জানা যায়। পরে উপস্থিত সকলে তাদের থামিয়ে দেন।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাদরিল। সাদরিল বলেন, আমি অ্যাসাইনমেন্ট করতে হলের রিডিং রুমে যাচ্ছিলাম। ধ্রুবসহ আরও একজন হলে ঢোকার গেটেই দাঁড়িয়ে ছিল। আমি জিজ্ঞেস করি তোমরা এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন? তখন ধ্রুব দাঁড়িয়ে আছি মানে বলেই খুব জোরে আমার গালে চড় দেয়। পরে তারা আবার মারতে আসে। পরে সে হলের ছাত্রলীগ নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট করতে প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু আমি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
ধ্রুবর বিরুদ্ধে এর আগেও সিনিয়র শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ১২ই নভেম্বর সাদ্দাম হোসেন হল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরিফ ও তার বন্ধুদের মারধর করেন ধ্রুব ও তার বন্ধুরা। অভিযোগের বিষয়ে ধ্রুব বলেন, উনি আমার পায়ে সাইকেল লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আমি সাবধানে চালাতে বলায় বুকে হাত দিয়ে আমাকে সরিয়ে দেন। পরে তার সাথে হাতাহাতি হয়েছিলো। এসময় আমিও হাতে ব্যথা পাই।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সাদরিল ও ধ্রুব উভয়ই আমাকে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন সহকারী প্রক্টর মুর্শিদ আলম, আমজাদ হোসেন এবং শাহাবুব আলম। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার মধ্য দিয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
পাঠকের মতামত
ছাত্র! কী শিখছে? নাকি দলীয় দোষে?
বাংলাদেশে ছাত্র রাজনৈতি আর ডাকাতের গলায় ফুলের মালা পরানো সমান। যেখানে ছাত্র সংগঠন থাকবে সকলের সম্মানের সংগঠন , সেখানে আজ ছাত্র সংগঠনের কথা শুনলে মানুষ তীব্র নিন্দা করে
দেশ আজ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে এই ছাত্রলীগ,যুবলীগ এবং আওয়ামীলীগের জন্য। নেই কোন শিষ্টাচার,শ্রদ্ধা, স্নেহ। এরাই আবার বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারন করে লালন করতেছে।ক্ষমতার দাপট চিরস্থায়ী নয় মনে রেখ,সব কিছুর সমাপ্তি আছে খুব সন্নিকটে, অপশক্তির বাহু ক্ষয় হবেই নিশ্চিত। তাই এখন থেকেই নিজেকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা কর।
আওয়ামীলীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে পুরো দেশটাতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, গ্রামের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ, গ্রামের ছেচড়া পাতি নেতার সাথে ও কথা বলা যায়না বড় ছোট কাউকেই সমীহ করেন, কারণ তারা আওয়ামীলীগ করে দেশটা কি শুধু আওয়ামীলীগের?? আমরা কি রোহিঙ্গা?? এই ইস্যুতে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর দেয়া উচিত..
বাংলাদেশে শুধু শিক্ষার মানের অবনতিই হয় নাই, শিক্ষারথিদের মধ্যে কুচরিত্রের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। এটা তো এমন বড় কিছু না। ভাগ্যিস তাকে যে পিটিয়ে আহত বা নিহত করে নাই। যতই জুনিয়র হউক না কেন (কোন দলের) নেতা, কর্মীর সামনে দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাবে, ঘাড়ে কয়টা মাথা? এতো বড় সাহস কিভাবে হয়? কারণ রাষ্ট্রটা তো আমাদের বাপের। তারা আমাদের সামনে দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাবে, এটা তো মানা যায় না।
ছাত্রলীগের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলুষিত। যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে দেশের শান্তি গেছে, রাজনীতি হারিয়েছে স্বাভাবিক গতি, অর্থনীতি হয়েছে স্থবির, মানুষের ঘাড়ে চেপেছে ঋণের বোঝা, দ্রব্যমূল্যের চাপে মানুষের ভেঙেছে কোমর, নির্বাচন গেছে আইসিইউতে, গনতন্ত্র গেছে নির্বাসনে।