ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

সরজমিন

নির্বাচন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টাইল

নূরে আলম জিকু ও মাহবুব খান বাবুল, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বুধবার
mzamin

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন আজ। এই নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা নাটকীয়তা। বিএনপি’র দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের আশীর্বাদ নিয়ে ভোটে লড়ছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন কিনলেও সাত্তার ইস্যুতে তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া   হয়েছে। সরে গেছেন আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা আরেক প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ। তার পরিবারের অভিযোগ উকিল আব্দুস সাত্তারকে জেতাতেই দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এই প্রার্থীকে। স্থানীয় ভোটাররা মনে করছেন অন্য প্রার্থীরা সরে গেলেও আবু আসিফের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে উকিল সাত্তারের। অনেকে বলছেন জাতীয় নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় থাকতে এই উপনির্বাচনে যা হতে যাচ্ছে তা নতুন এক মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল হয়তো প্রয়োগ হতে পারে সামনের নির্বাচনগুলোতে।

বিজ্ঞাপন
দলীয় প্রার্থীদের সরিয়ে দিয়ে উকিল আব্দুস সাত্তারকে বিজয়ী করতে একজোট হয়ে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতারাও তার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এমন অবস্থায় আজ অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। মোট চারজন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। পুরো দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে এই নির্বাচনের দিকে। কি হয়। কি হবে। এমন নানা প্রশ্ন ভোটারদের মাঝে।

   স্বামীর খোঁজে আবু আসিফের স্ত্রী: নির্বাচনের আগের দিন যখন ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা তখন প্রার্থী আবু আসিফের খোঁজে ব্যস্ত ছিলেন তার স্ত্রী মেহেরুন নিছা মেহেরীন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি মানবজমিনকে বলেন, ভোটের মাঠ নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আগে আমার স্বামীর সন্ধান চাই। সরকার যেভাবে নির্বাচন করতে যাচ্ছে- তাতে এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ভোটের আগে একজন প্রার্থী নিখোঁজ রয়েছেন। আইনঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক আমাকে নজরদারিতে রেখেছেন। আমার বাসায় কেউ আসতে পারছেন না। কেউ আসলে ছবি তুলে রাখেন সরকারের লোকজন। আমি আমার জীবন নিয়েও শঙ্কিত। আবু আসিফ না থাকায় নির্বাচনের কোনো খোঁজ-খবর নিতে পারছি না। ভয়ে কেউ এজেন্ট হচ্ছে না। যারা আগে আসিফের জন্য ভোট চেয়েছেন, তাদের সবাইকে ভোট কেন্দ্রে না যেতে ও এজেন্ট না হতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এখন ভোটের মাঠে প্রার্থী নেই। আমাদের এজেন্ট নেই। সরকার সাত্তারকে বিজয়ী করে বিএনপিকে বিতর্কিত করতে যাচ্ছে।  অন্য দুই প্রার্থী মাঠে থাকলেও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা আবদুস সাত্তারকে নিয়ে মাঠে সরব আওয়ামী লীগ। তার পক্ষেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট নিয়েও শঙ্কিত সরাইল- আশুগঞ্জের সাধারণ মানুষ। অনেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে নানা আশঙ্কা করছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন- কলার ছড়ি মার্কার প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তারকে বিজয়ী করতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করছেন তারা। দলটির হাইকমান্ডের নির্দেশেই বিএনপি’র সাবেক এমপি’র পক্ষে মাঠে নেমেছেন তারা।

  স্থানীয়রা বলছেন- বিগত ৫টি নির্বাচনের মধ্যে চারটিতে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে এমপি হয়েছেন তিনি। সে সময় বিএনপি’র ভোট ব্যাংকের কারণেই জয়লাভ করেছেন। তবে এবার দলের বিরেুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের আশীর্বাদপুষ্ট হয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাত্তারকে বিজয়ী করতে মরিয়া।  দীর্ঘ ২ যুগের বেশি সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী সাত্তার আওয়ামী লীগের আশীর্বাদ নিয়ে ভোট করছেন। অন্যদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও  সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ ভোটে নামেন। তিনিও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর প্রচারণা সমান তালে চললেও হঠাৎ ছন্দপতন হয়। আসিফ আহমেদ সশরীরে নির্বাচনের মাঠে না থাকায় মাঠের পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এদিকে গত কয়েকদিন আসিফের কর্মীরাও প্রকাশ্যে ভোট চাইতে পারেনি। তার কর্মীরা বলছেন- আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সরকারি দল সর্বোচ্চ সহায়তা দিলেও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আবু আসিফ আহমেদ বিপুলসংখ্যক ভোটে বিজয়ী হবেন।  গতকাল সরাইল ও আশুগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, অনেকটাই নীরব নির্বাচনী এলাকা। নেই ভোটের আমেজ। সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই কোনো কৌতূহল। ভোটে হার-জিত নিয়েও আগ্রহ নেই তাদের। মানুষ বলছেন- এবারের নির্বাচনে কোনো দলের মানুষের তেমন একটা আগ্রহ নেই। সম্পূর্ণ নতুন স্টাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোট হচ্ছে। বিএনপি ভোট বর্জন করছে। 

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী ভোটের মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। দেশের বৃহত্তম একটা দল নিজেদের প্রার্থী বাদ দিয়ে বিপরীত ধারার একজন মানুষকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়েছে। আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছফিউল্লাহ মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি থেকে পদত্যাগ করার কারণে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগ কাজ করেছে। এখানে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ রয়েছে। তিনি এখান থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একবার মন্ত্রী হয়েছেন। আমাদের কাছে তিনি একজন ভালোমানের লোক। এখন যেহেতু তিনি বিএনপিতে নাই। তাই আমরা তার জন্য কাজ করছি। উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া গণতন্ত্রের পক্ষের একজন লোক। এই উপনির্বাচনে তার বিজয় চাই।  নিখোঁজ প্রার্থীর স্ত্রী মেহেরীন জানান, ভোটের মাঠে আমরা কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাইনি। ভোটকেন্দ্রে যাদেরকে এজেন্ট দেবো তাদেরকেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। একজন প্রার্থীকে যেভাবেই হোক জিতিয়ে নেয়া হবে বলে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি না। কিন্তু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে আমার স্বামী আবু আসিফ আহমেদ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। অন্যদিকে গত সোমবার থেকে বিশেষ প্রার্থীকে জেতাতে ভোটাররা ইভিএমে আঙুলের ছাপ দেয়ার পর অন্যরা প্রতীকের বাটনে চাপ দেবে বলে এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে।

 এ ছাড়া সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া পূর্ব, কুট্টাপাড়া পশ্চিম, সৈয়দটুলা গরের পাড়, আবিথটুলা, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও উচালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করেন তিনি। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট একটি আবেদন করেন মেহেরীন। সেখানে তিনি স্বামীর সন্ধান পেতে ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। ওই চিঠিতে তিনি বলেন, ভয়ে আমার স্বামীর নিখোঁজের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করতে পারিনি। কিছুসংখ্যক সংবাদকর্মী স্বপ্রণোদিত হয়ে আমার বাসায় এলে আমি তাদের বিষয়টি অবহিত করি। এরপর এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন থেকে আমার স্বামীকে খুঁজে বের করাসহ তদন্তের নির্দেশ এসেছে বলে আমরা জানতে পারি। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন তাকে আশ্বস্ত করেছিল  মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ আসিফকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।  তিনি আরও বলেন, তার স্বামী মোটরগাড়ি প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পান। গত ২৭শে জানুয়ারি তার স্বামী বাসা থেকে বের হয়ে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। যাওয়ার সময় বাসায় মোবাইল ফোন রেখে গেছেন। এর আগে ২৫শে জানুয়ারি আসিফের প্রচারপ্রধান আবু মুসা মিয়াকে ডিবি পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে গ্রাম্য ঝগড়ার একটি মীমাংসিত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠায়।  এদিকে, ২৫শে জানুয়ারি থেকে নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয়ক মেহেরুনের ছোট ভাই শাফায়াত হোসেন সুমনও ভয়ভীতির কারণে নির্বাচনের মাঠ ছাড়া ছিলেন। গতকাল বিকালে শাফায়াত হোসেন নিখোঁজ প্রার্থী আসিফের বাসায় আসেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ভয়ভীতির কারণেই তিনি গত ৬ দিন এলাকা ছাড়া ছিলেন। তবে তার বোন জামাইর কোনো সন্ধান তিনি জানেন না। গত সোমবার রাতে আসিফের নিখোঁজের খবর প্রকাশের পর গণমাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয়। অনেকে অডিওটি নিখোঁজ আসিফের স্ত্রীর দাবি করলেও  বিষয়টি স্বীকার করেননি মেহেরীন।  

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম মানবজমিনকে বলেন, প্রার্থী নিখোঁজের বিষয়টি তাকে আসিফের পরিবারের কেউ জানায়নি। তিনি কোনো অভিযোগপত্র পাননি।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে কলারছড়ি মার্কা নিয়ে ভোট করছেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, মোটরগাড়ি মার্কা নিয়ে আবু আসিফ আহমেদ,  জাপা’র প্রার্থী এডভোকেট আবদুল হালিম লাঙ্গল প্রতীক ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপফুল মার্কা নিয়ে লড়ছেন।   উপনির্বাচন উপলক্ষে গতকালই ১৩২টি কেন্দ্রের ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে স্থাপিত হয়েছে ইভিএম মেশিন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন। আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট। চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সরাইল ও আশুগঞ্জ দুই উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। সরাইলে ৯টি ও আশুগঞ্জে ৮টি  ইউনিয়ন। মোট ১৭ ইউনিয়নের ১৩২টি কেন্দ্রে একসঙ্গে শুরু হবে ভোট। 

এরমধ্যে সরাইলের ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৪টি। আর আশুগঞ্জে ৪৮টি। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৭০ হাজার ১২৩ জন। সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ১৫৩ জন। আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ভোট সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৭০ জন। প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে দুই উপজেলায় থাকবে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। দু’জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক থাকবেন সরাইলে আর আশুগঞ্জে থাকবেন একজন।  সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, সব ঠিকঠাক মতো আছে। নির্দিষ্ট করে কোনো কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলতে চাই না। কারণ আমাদের কাছে সকল কেন্দ্রই ঝুঁকিমুক্ত। আবার কোনো কেন্দ্রই ঝুঁকিমুক্ত নয়। সমস্যা হলে যেকোনো কেন্দ্রেই হতে পারে। অর্থাৎ সবগুলো কেন্দ্রকে আমরা সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status