ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজায় হাজির কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার

(১ বছর আগে) ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, সোমবার, ৩:১১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:১২ পূর্বাহ্ন

mzamin

গ্রেপ্তার আসামিদের ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর ক্ষেত্রে নীতিমালা করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জানাজায় হাজির করার সময় ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা ও তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, কারা মহাপরিদর্শক, গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার ওসি এবং শরীয়তপুর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে মায়ের জানাজায় হাজির করার ঘটনার শুনানিতে আদালত উষ্মা প্রকাশ করে এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার করার জন্য বিএনপির দুই নেতা আলী আজম ও সেলিম রেজাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে মায়ের জানাজায় হাজির করা হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এটা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ অন্যায় ও আইন বহির্ভূতভাবে এটা করা হয়েছে, এটা অমানবিক। আমাদের সংবিধানও এটা সমর্থন করে না। 
এর আগে গাজীপুর ও শরীয়তপুরে বিএনপির দুই নেতা আলী আজম ও সেলিম রেজাকে কারাগার থেকে মায়ের জানাজায় ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করার ঘটনায় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন কায়সার কামাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজীপুরে একজন আসামি ডাণ্ডাবেড়ি পরিহিত অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়াচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন
তার পরপরই গত ১৭ জানুয়ারি ছবিসহ আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানেও দেখা যায়, শরীয়তপুরে আরেকজন আসামি একইভাবে ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়াচ্ছেন। এ সময়ের মধ্যেই একজন আইনজীবীসহ কয়েকজনকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে ঢাকা কোর্টে আনা হয়। এসব ঘটনা পত্র-পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া কাছাকাছি সময়ে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, তানভীর হাসান তানু, প্রবীর শিকদার, শিল্পী জে কে মজলিস এবং কয়েকজন শিশুসহ অনেক আসামিকে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status