শেষের পাতা
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক বিষয়
সংসদ রিপোর্টার
২৭ জানুয়ারি ২০২৩, শুক্রবারর্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তিনি সংসদকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। শুরু থেকেই এর সমাধানের জন্য জোরালোভাবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর-পর্বে এসব তথ্য জানান তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত বিলটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু। লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ভবিষ্যতে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা যাতে না আসে, সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা একযোগে কাজ করছে। ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র্যাব, আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা, আইন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ মিশনের মধ্যে নিয়মিতভাবে সমন্বয় সাধন করছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পরই আমি যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সচিবের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলি।
সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে বিজিবি সতর্ক রয়েছে:
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের উচ্চ জন্মহার লক্ষ্য করা যায়। রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে তাদের পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণে অনীহা রয়েছে। তারপরও জন্মহার নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, দেশি-বিদেশি এনজিওরা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সেবা এবং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। পরিকল্পিত পরিবার গঠনে তাদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ক্যাম্পসমূহে চালু রয়েছে। একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে টেকসইভাবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে স্বদেশে ফেরত পাঠানোই বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রত্যাবাসন বিষয়ক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চলমান রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ, চীন এবং মিয়ানমারের ত্রিপক্ষীয় পাইলট উদ্যোগের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়েও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার এবং রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক একটি রেজ্যুলুশন গৃহীত হয়েছে যেখানে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এই রেজ্যুলুশন গৃহীত হওয়ার ফলে প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত আগস্ট মাসে উদ্ভূত সীমান্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছে। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে বিজিবি সতর্ক রয়েছে।