ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

‘পারমাণবিক যুদ্ধের খুব কাছে চলে গিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান’

মানবজমিন ডেস্ক
২৬ জানুয়ারি ২০২৩, বৃহস্পতিবার
mzamin

পারমাণবিক যুদ্ধের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। এমন অবস্থায় ২০১৯ সালে সেই উত্তেজনা প্রশমনে হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাতেই একটি ভয়াবহ পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত  থেকে ফিরে আসে এই দুটি দেশ। এসব কথা নিজের স্মৃতিকথা ‘নেভার গিভ অ্যান ইঞ্চ’তে লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক শীর্ষ কূটনীতিক মাইক পম্পেও। তিনি বলেছেন, কাশ্মীর নিয়ে ওই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। এতে দুই দেশই পারমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই আয়ত্তে আনে যুক্তরাষ্ট্র। মাইক পম্পেও লিখেছেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান একটি পারমাণবিক যুদ্ধের কতো কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, আমার মনে হয় তা বিশ্ববাসী ঠিকমতো জানেন না। মাইক পম্পেও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তারও আগে তিনি ছিলেন সিআইএ’র প্রধান। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে তার এই স্মৃতিকথা।

বিজ্ঞাপন
 ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীর অঞ্চলের একটি ফ্লাশপয়েন্টে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এতে ভারতের আধা-সামরিক বাহিনীর ৪১ জন সদস্য নিহত হন। এর জন্য পাকিস্তানি জঙ্গি গ্রুপকে দায়ী করে ভারত। জবাবে ওই মাসেই পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে আকাশপথে হামলা চালায় ভারত। এর নাম দেয়া হয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। ওই সময় ভারতীয় একটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে পাকিস্তান। আটক করে এর পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে। পরে শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে তাকে মুক্তি দেয় ইসলামাবাদ।  ওই সময়ে ডনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে সামিটে যোগ দিতে মাইক পম্পেও ছিলেন হ্যানয়ে। তিনি বলেছেন, ভারতের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার আর্জেন্ট  ফোনকলে তার ঘুম ভাঙে। পম্পেও লিখেছেন, ‘ওই কর্মকর্তা বিশ্বাস করেছিলেন যে, হামলা চালানোর জন্য পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত করা শুরু করেছে পাকিস্তান। তিনি আমাকে জানান যে, ভারতও এই উত্তেজনার জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন কিছু না করতে তাকে অনুরোধ করি আমি। বলি বিষয়টি দেখার জন্য আমাদেরকে এক মিনিট সময় দিতে’।  মাইক পম্পেও বলেন, ভারত এবং পাকিস্তানকে পারমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি থেকে বিরত রাখতে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা। পম্পেও লিখেছেন- ‘ভয়াবহ একটি পরিণতি এড়াতে ওই রাতে আমরা যা করেছি, তা অন্য কোনো দেশই করতে পারতো না’। পম্পেও আরও লিখেছেন, ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছিল কাশ্মীরের ২০ বছর বয়সী এক যুবক। এ হামলায় তাকে ‘সম্ভবত মদত’ দিয়ে থাকতে পারে পাকিস্তান। পম্পেও বলেছেন, এ নিয়ে তিনি ‘পাকিস্তানের প্রকৃত নেতৃত্ব’ তখনকার সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে কথা বলেন। এর মধ্যদিয়ে তিনি তখনকার বেসামরিক সরকারের দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।  ওই সময় ভারতের অধিকারের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন।  তার স্মৃতিকথায় পম্পেও জোর দিয়ে কথা বলেছেন ভারতের বিষয়ে। ভারতের কর্মকর্তাদের মতো না হয়ে তিনি চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘কাউন্টারঅ্যাক্ট’ করতে দক্ষিণ এশিয়ার গণতান্ত্রিক মিত্রদের সঙ্গে মিত্রতার বিষয়ে কোনো গোপনীয়তা রক্ষা করেননি। ১৯৯৮ সালে ভারত ও পাকিস্তান তাদের পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়। একে বলা হয় ‘ওয়াটারশেড’ মুহূর্ত হিসেবে। তখন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তার একটি বিখ্যাত উক্তি আছে কাশ্মীর নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, কাশ্মীর এই দুটি দেশকে বিভক্ত করেছে। কিন্তু কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান।

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status