শ্রীলংকার জন্য বড় স্বস্তির খবর দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক

শ্রীলংকাকে দেয়া ঋণের বিপরীতে অর্থ ফেরত দেয়া দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছে চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম ব্যাংক)। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফ থেকে তারা যাতে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ পায় তাতে সমর্থন দিয়ে তদ্বির চালানোর কথা বলেছে চীন। বার্তা সংস্থাটি এ বিষয়ে একটি চিঠি দেখতে পেয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়েছে, আর্থিক খাত এবং ঋণ থেকে কিছুটা স্বস্তি পাওয়ার জন্য শ্রীলংকাকে সমর্থন করে যাবে ভারত। এ মাসের শুরুর দিকে এ কথা জানিয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি লিখেছে ভারত। কিন্তু এতেই শ্রীলংকার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমন নয়। বৈশ্বিক আর্থিক এই ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে শ্রীলংকার প্রয়োজন চীনেরও সমর্থন।

শ্রীলংকার জনসংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ। সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে দেশটি। সেখানে দ্বিপক্ষীয় সবচেয়ে বেশি ঋণদাতা আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চীন এবং ভারত।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বকেয়া ঋণের ক্ষেত্রে ২০২২ এবং ২০২৩ সালের সময়সীমা বর্ধিত করতে চলেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। গত বছর মার্চে আইএমএফ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সে অনুযায়ী, ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকাকে ২৮৩ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। এই ঋণ পুরো শ্রীলংকার মোট ঋণের শতকরা ৩.৫ ভাগ। চিঠিতে তারা বলেছে, উল্লেখিত সময়সীমার জন্য ব্যাংক থেকে দেয়া ঋণের মূল অর্থ এবং সুদ পরিশোধ করতে হবে না। এ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করতে চাই মধ্যম এবং দীর্ঘ মেয়াদে ঋণের বিষয়ে। 

চীনের ঋণদাতাদের কাছে শ্রীলংকার ৭৪০ কোটি ডলার ঋণ আছে। তারা সরকারি পর্যায়ে বিদেশি যে ঋণ নিয়েছে তার শতকরা প্রায় এক পঞ্চমাংশ এই অর্থ। গত বছরের শেষ নাগাদ এ হিসাব চায়না আফ্রিকা রিসার্স ইনিশিয়েটিভের। চিঠিতে বলা হয়, তারল্য সংকট থেকে স্বস্তি পেতে আইএমএফ এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির জন্য যে আবেদন করেছেন, তার জন্য ব্যাংকটি শ্রীলংকাকে সহায়তা করবে। শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান পি. নন্দলাল বীরাসিংহে মঙ্গলবার বলেছেন, চীন এবং জাপান থেকে নিশ্চয়তা প্রত্যাশা করে শ্রীলংকা।