অনলাইন
অর্থনৈতিক সংকট, পাকিস্তান কোন পথে?
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ সপ্তাহ আগে) ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করা থেকে নিজেদের বিরত রাখছে। অথচ এই চুক্তি সম্পন্ন হলে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হতে পারতো। অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক সূত্র সোমবার ডনকে জানিয়েছে যে উভয় পক্ষ এখনও সাতটি দাবি নিয়ে আলোচনা করছে। আইএমএফ চায় যে পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সহায়তা পুনরায় শুরু করার আগে সরকার তাদের শর্ত মেনে নিক। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বৈদ্যুতিক ভর্তুকি প্রত্যাহার, গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত করা, ডলারের গতি অব্যাহত রাখা এবং এলসি ব্লক না করা। সরকার ভয় পাচ্ছে যে এই দাবিগুলির বাস্তবায়ন করলে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে পারে। যার জেরে নির্বাচনের মুখে সরকার জনপ্রিয়তা হারাতে পারে। পাকিস্তানের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক ইতিমধ্যেই সুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইন লিমিটেড (এসএনজিপিএল) এবং সুই সাউদার্ন গ্যাস কোম্পানিকে (এসএসজিসি) মন্ত্রিসভা অনুমোদন সাপেক্ষে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হার বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। ইসলামাবাদ একটি ঋণ-ব্যবস্থার নবম পর্যালোচনার জন্য অপেক্ষা করছে যা পূর্ববর্তী সরকার আইএমএফের সাথে স্বাক্ষর করেছিল। এই পর্যালোচনার ফলে পাকিস্তানে তহবিলের পরবর্তী অংশ মুক্তি পাবে যা সেপ্টেম্বর থেকে অমীমাংসিত ছিল।
সূত্র : dawn.com
পাঠকের মতামত
পাকিস্তানের উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে সতর্ক হতে হবে ।
একটু অসাবধান হলে বাংলাদেশ ও এই খাদে পড়তে পারে । তাই সরকারের সব সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাবধান হতে হবে। কুইক রেন্টাল চুক্তি গুলির নবায়ন বাতিল করে চিরদিন এর জন্য মুক্ত হতে হবে। ঐ সব বিদ্যুত কেন্দ্র এক ওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন না করে যে ক্যাপাসিটি চার্জ নিচ্ছে তা অযৌক্তিক ও বে আইনি কার্যকলাপ।