বাংলারজমিন
জুনে পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখবে: কাদের
স্টাফ রিপোর্টার
২২ মে ২০২২, রবিবার
জুন মাসেই চন্দ্রালোকিত পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পারবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহের শেষে সামারি পাঠাবো নেত্রীকে। তিনি তখন সময় দেবেন। সেই সময় আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবো। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে বিশ্বব্যাংক তাদের সহযোগিতার হাত ফিরিয়ে নিয়েছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বজ্রকণ্ঠে বলেছিলেন বিশ্বব্যাংক চলে গেলেও আমরা আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো। বঙ্গবন্ধু কন্যার সে স্বপ্ন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৩ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ কোথায়! শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই দেশের চেহারা পাল্টে গেছে। শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রী। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
দেশের মানুষ ভালো থাকলে বিএনপি’র মন খারাপ, দেশের মানুষ ভালো থাকলে মির্জা ফখরুলের মন খারাপ থাকে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ১৩ বছর আন্দোলন করলেন। ঈদ আসলেই বলেন ঈদের পর।
১৩ বছরে কত ঈদ এলো আর গেল, দেখতে দেখতে প্রায় ১৪ বছর। আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপি সেখানেও ফেল করেছে, নির্বাচনেও ফেল করেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু হয়েই গেল, কর্ণফুলী টানেল হয়েই গেল, তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল হয়েই গেল। ফখরুল সাহেব কী বলবেন, শেখ হাসিনা সব করেই ফেললো, আমরা কিছু করতে পারলাম না। নির্বাচন আসছে কী দেখাবেন, কী দেখিয়ে ভোট চাইবেন। নেতা তো পলাতক দণ্ডিত তারেক রহমান? প্রধানমন্ত্রী হবে কে দণ্ডিত খালেদা জিয়া?
ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল। এ ছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
পাঠকের মতামত
কথার খৈ হারিয়েছেন কাদের সাস । জুনে পদ্মাসেতু চালু হলে গাড়ি চলবে । মানুষ কোথায় দাঁড়িয়ে পূর্ণিমার চাঁদ দেখবে ? গাড়ির নীচে পড়ে মরার জন্য ? পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে হলে সেতু চালুর আগে সবাইকে আমন্ত্রণ করেন সেতুর উপর গিয়ে দেখার জন্য।
আজ্ঞে দাদা আপনাকে এইজন্যেই ভাল লাগে যে মাঝে মাঝে আপনি মুখ ফস্কে সত্যটা বলে ফেলেন তাই !! দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন এই পদ্মাসেতুতে দাঁড়িয়ে পুর্ণীমার চাঁদ দেখেই সময় কাটাতে হবে কারন এখানে যা বিনিয়োগ হয়েছে তা থেকে রিটার্ন আসবে যৎসামান্যই ! আর সেকারনে অন্তত পুর্ণীমার চাঁদ দেখে দেখে আপনারা আপনাদের কস্ট ভোলার চেস্টা করবেন !! আর সেতুর নির্মান খরচ বাবদ জনগনের থেকে জোর করে নেয়া পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা (সূচনায় আট হাজার কোটি থেকে সমাপ্তিতে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা !!) জ্বলে যেতে দেবেনা এদেশের মানুষ !! তারা সূদে আসলে টাকা উশুল করার জন্যে এখন কেবল সুযোগের অপেক্ষায় মাত্র !!
পূর্নিমার চাঁদ দেখতে যেয়ে কেহ আবার পানিতে পড়ে যাবে না তো....?
কোম্পানিগঞ্জে, সিলেটে বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ নিয়ে মানুষ যেভাবে কাড়াকাড়ি করছে তাতেই বুঝা যায় পদ্মাসেতুর উপর দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখার সখ কারো মনের মধ্যে নেই।
জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্যে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। পূর্ণিমার চাঁদ দেখার আহ্লাদ বা সখ বা সুখ মানুষের মনের মধ্যে নেই। চাঁদ তারাই দেখবে যাদের পেটের চিন্তা নেই। পকেট ভারি। গরীবের আবার চাঁদ।
পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে এতো হাজার কোটি টাকা চায়না থেকে সুদ