প্রবাস
সিলেটের করিমউল্লাহ মার্কেটে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর দোকান দখলের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২২ জানুয়ারি ২০২৩, রবিবার, ৯:৩৩ অপরাহ্ন
সিলেট নগরীর করিমউল্লাহ মার্কেটে স্থায়ী বন্দোবস্তকৃত ১টি দোকানকোঠা, মার্কেট-মালিক কর্তৃক জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম নজমুল। তিনি বলেন, দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে একাধিক মন্ত্রী, এমপি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তিনি তার দোকানটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাননি।
সম্প্রতি লন্ডনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হওয়ার কথা বিস্তারিত তুলে ধরেন এই প্রবাসী। তিনি বলেন, মালিকানার দলিলপত্র ও খাজনা সবকিছু ঠিক থাকার পরও এভাবে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল করে নেয়ার ঘটনা সকল প্রবাসীর জন্য একটি অশনি সংকেত।
প্রবাসী এই ভুক্তভোগী বলেন, ২০০১ সালে করিমউল্লাহ মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হলে তিনি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ১০৪ স্কয়ার ফিটের একটি দোকানকোঠা ক্রয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০০৩ সালে মার্কেটের নির্মাণ সম্পন্ন হলে মূল চুক্তিপত্র সম্পাদন করে তাকে দোকান বুঝিয়ে দেয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণকালীণ তিন বছরে তিনি দোকানকোঠার মূল্য বাবদ কিস্তিতে মোট ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। বর্তমানে এই দোকানকোঠার বাজারমূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা বলে তার দাবি।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে তিনি টের পান তার ভাড়াটিয়া দোকানটি দখলের উদ্দেশ্যে মার্কেটের ম্যানেজারের যোগসাজসে একটি জাল চুক্তিপত্র করে নিয়েছেন। আইনের আশ্রয় নিয়ে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ওই ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করেন। ১ অক্টোবর থেকে নতুন ভাড়াটিয়া দেন। কিন্তু ৫ দিন পরেই ওই ভাড়াটিয়াকে বের করে দিয়ে নিজেদের পছন্দের লোক বসিয়ে দেয় মার্কেট কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে বিচার-সালিশের কথা বলে নানা অজুহাত দেখিয়ে মার্কেটটি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে করিমউল্লাহ মার্কেটের মালিক ছানাউল্লাহ ফাহিম এবং আতাউল্লাহ সাকের।
এদিকে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মার্কেট কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ না করায় তারা আইনিভাবে দোকানটি দখলে নিয়েছেন।
মার্কেট কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম বলেন,
দোকানটি আমি স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়েছি। এখানে ভাড়া দেয়ার কোনো বিষয় নেই। এমন উদ্ভট কথাবার্তা বলে তারা আমাকে হয়রানি করছে। তিনি বলেন, প্রবাসী হওয়ার কারণে দেশে গিয়ে খুব বেশি দিন থাকতে পারেন না। অবৈধ দখলদাররা এই সুযোগটাই নিচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বিষয়টি নিয়ে গত ডিসেম্বরে সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলা (কতোয়ালী সি আর-১৭৫৭/২০২২ ইং) দায়ের করেছেন বলে জানান এই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে ।