ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতেই মাজার পূজারীর ছদ্মবেশ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) সংবাদদাতা
২২ জানুয়ারি ২০২৩, রবিবার
mzamin

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি আব্দুর রউফ (৪২) পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে এবং গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনের পর ছদ্মবেশে বনে যান মাজার পূজারী। থাকেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলের তিশিখালী মাজারে।  সেখানেও করতেন মাদকের কারবার। সে নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা সোনাপুকুর এলাকার মৃত আতাহার আলীর ছেলে।  ২০২০ সালে আত্মগোপনের আগে তার হালকা গোঁফ ছিল। সাড়ে তিন বছর পর তার বড় গোঁফের সঙ্গে লম্বা এবং জটা দাড়ি দেখা গেল। মাথার চুলগুলোও প্রায় দেড় ফুট লম্বা। গলায় বেশ কয়েকটি তাসবিহ্‌র সঙ্গে আছে তাবিজ এবং হাতে বালার জটলা। নিজেকে  গোপন রাখতে চেহারার পরিবর্তন এনেছেন। অবশেষে পুলিশ চলনবিলের তিশিখালী মাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বিজ্ঞাপন
গত শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে রউফকে কারাগারে পাঠানো হয়।  শনিবার নন্দীগ্রাম থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, একটি মাদক মামলায় তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রিসিভ করেন তিনি। গত সাড়ে তিন বছর অনেক সোর্স কাজে লাগিয়েও রউফের অবস্থান জানতে পারেননি। এরমধ্যেই তার বিরুদ্ধে আরেকটি মাদক মামলার ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় আসে। বেশ কয়েকজন সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারেন, রউফ বর্তমানে চলনবিলের তিশিখালী মাজারে অবস্থান করছে। গত বৃহস্পতিবার সিংড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে রণবাঘায় প্রথম স্ত্রী রেখে আত্মগোপনের পর আসমা নামের এক জটা পাগলিকে বিয়ে করে তিশিখালী মাজারেই থাকতেন।  নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ২০১৬ সালের মে মাসে  পৌর সদরের কলেজপাড়া এলাকায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ রউফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। একই বছরের নভেম্বর মাসে সদর ইউনিয়নের রনবাঘা  সোনাপুকুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গাঁজাসহ এবং ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে রণবাঘা বাজার মসজিদ এলাকার একটি চায়ের  দোকানের সামনে থেকে গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আব্দুর রউফের প্রথম স্ত্রী আলেমা বেগম বলেন, আত্মগোপনের পরিকল্পনা করে ২০২০ সালে গ্রামের দাদন কারবারির কাছে বাড়ি বন্ধক রেখে ২০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় রউফ। আত্মগোপনের পর থেকেই সে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখেনি। দাদন কারবারির চাপে অসহায় স্ত্রী একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি বন্ধকের টাকা পরিশোধ করেন। এনজিও’র ঋণের কিস্তি টাকার জন্য বাড়ি ছেড়ে জমাদারপুকুর পরগাছা এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মরিচক্ষেতে শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। ৯মাস দিনমজুরির কাজ করে সেই টাকায় এনজিও’র ঋণও পরিশোধ করেছেন। আলেমা বর্তমানে রণবাঘায় নিজ বাড়িতে থাকেন এবং অন্যের জমি নিড়ানিসহ দিনমজুরির কাজ করে তার তিন বেলার খাবার জোটে।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

সিন্ডিকেট চক্রের ঈদ বাণিজ্য/ ট্রেনের ১০৫৩ টাকার এসি চেয়ার ২৫০০

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status