ঢাকা, ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন

সাত্তার-মৃধা নিয়ে নানা সমীকরণ

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০২৩, শনিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনকে ঘিরে একের পর এক নাটকীয়তা চলছে। দলত্যাগী নেতা সাত্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় খুবই চটেছেন স্থানীয় বিএনপি’র একাংশের নেতাকর্মীরা। আরেকটি অংশ উকিল আব্দুস সাত্তারকে অনেকটা গোপনে শক্তি ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। অসমাপ্ত কাজগুলো করতেই সংসদ থেকে পদত্যাগের পর দল ত্যাগ করে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কথা জানান সাত্তার। ওদিকে আর মাত্র ৯ মাসে জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারবেন না বলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মৃধা। 

সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দলে অবমূল্যায়ন। দলীয় চেয়ারম্যানের সাত্তার সাহেবের ফোন রিসিভ না করা। দলের গুরূত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সাত্তার সাহেবের মতামত গ্রহণ না করা। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের একাধিক কমিটি গঠনে আবদুস সাত্তারকে পাত্তা না দেয়া। বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থ্যতার কারণে ওনার সঙ্গে কোনো পরামর্শ করতে না পারা। এমন সব অগণিত কারণে সাত্তার দলত্যাগ করার কথা জানান।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে যে আসন থেকে পদত্যাগ করলেন সেই আসনে আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন কেন? এই প্রশ্ন দলীয় নেতাকর্মীর চেয়ে সাধারণ মানুষের ভেতরেই বেশি ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুস সাত্তার বলেছেন, অবমূল্যায়নের কারণে দল ত্যাগ করেছি। কিন্তু স্থানীয় জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি ও প্রক্রিয়াধীন কাজগুলো শেষ করতে হবে। নতুবা জনগণের সমস্যা হবে। তাই আগামী ৯ মাস আমার এমপি থাকা প্রয়োজন। এজন্যই এখানে সতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। তবে ওনার নিজের দল ও সাধারণ মানুষের উল্টো প্রশ্ন হচ্ছে- তিনি ৩৭ বছরে জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারেননি। সেখানে মাত্র ৯ মাসে এই জনপদের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ওনার দ্বারা সম্ভব? বিষয়টি বুঝেননি অনেকেই। একই আসনে মহাজোটের সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধাও ছিলেন সতন্ত্র প্রার্থী। সাত্তার ও মৃধা দু’জনই ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন মৃধা। ভোটের মাঠে মৃধা অনেক এগিয়ে ছিলেন। তারপরও অজানা কারণে হঠাৎ থেমে গেল মৃধার নির্বাচনের রথ। অনেকটা হতভম্ভ ও থমকে গেলেন সাধারণ ভোটার ও মৃধার সমর্থকরা। মৃধা জানালেন একটি গুরূত্বপূর্ণ কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। কারণ কি জানতে চাইলে বলেন, গত ৪ বছরে এলাকার অনেক রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। অনেক কাজ জমে গেছে। গত ১০ বছরে অনেক কাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু মাত্র ৯ মাসে জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা বা তাদের চাহিদা পূরণ করা আমার পক্ষে মোটেও সম্ভব না। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, এই দুই অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের উল্লেখিত কারণগুলো মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ সাত্তার ৩৭ বছরে যা পারেননি মাত্র ৯ মাসে তা করে ফেলবেন। বিষয়টি হাস্যকর। অনুরূপভাবে মৃধা ৯ মাসে কিছুই করতে পারবেন না। মনোনয়ন জমা বা প্রচারণা শুরু করার আগে কি বিষয়টি একবারও ভাবেননি মৃধা? সমস্যা অন্য জায়গায়। আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি এই আসনের উপনির্বাচন। ১৪ থেকে এখন পর্যন্ত মাঠে আছে সাত্তারসহ ৪ জন প্রার্থী। একে একে মনোনয়ন অবৈধ, প্রত্যাহার ও সরে দাঁড়ানো নিয়ে এ পর্যন্ত সটকে গেলেন ১০ প্রার্থী। 
 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status